চন্দ্রবোড়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩২ নং লাইন:
==বিস্তৃতি==
চন্দ্রবোড়া [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] দুর্লভ আবাসিক সাপ। এটি সব বিভাগে সচরাচর এবং ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। বিশেষ করে [[রাজশাহী]] অঞ্চলে এ সাপ বেশি পাওয়া যায়। রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। অন্যান্য সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও এ সাপটি স্বভাব ঠিক তার উল্টো। তাই প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কেবল এ সাপটির কামড়েই প্রাণ হারান। আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে বদনাম রয়েছে সাপটির।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2019/08/20/14100/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%9F%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A7%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA|শিরোনাম=চাঁদপুরে ধরা পড়েছে ভয়ংকর বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপ|তারিখ=2019-08-20|ওয়েবসাইট=Dhaka Tribune Bangla|সংগ্রহের-তারিখ=2019-10-01}}</ref> নদীয়া জেলাসহ [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] বিভিন্ন অংশে এছাড়াও [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[নেপাল]], [[ভূটান|ভুটান]], [[শ্রীলঙ্কা|শ্রীলংকা]], [[চীনের প্রদেশসমূহ|চীনের দক্ষিণাংশ]], [[তাইওয়ান]], [[থাইল্যান্ড]], [[মিয়ানমার|বার্মা]] ও [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়ায়]] পাওয়া যায়।<ref name="এশিয়াটিক"/> এরা সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।<ref name=":0" />
 
রাসেল ভাইপার সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। অন্যান্য সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও এ সাপটি স্বভাব ঠিক তার উল্টো। তাই প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কেবল এ সাপটির কামড়েই প্রাণ হারান। আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে বদনাম রয়েছে সাপটির।”
 
জোহরা মিলা বলেন, “তীব্রতার দিক দিয়ে সাপটি বিশ্বের ৫ নম্বর ভয়ংকর বিষধর সাপ। কিন্তু মাত্র ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কাউকে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে সাপটি! তাই কামড়ের ক্ষিপ্রগতির দিক দিয়ে সব সাপকে হারিয়ে রাসেল ভাইপার প্রথম স্থান দখল করেছে। তাছাড়া এ সাপটির বিষ দাঁত বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এ সাপের কোনো অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। বলা যায়, এর এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত। কারণ রাসেল ভাইপারে কামড়েছে অথচ বেঁচে গেছেন এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে। আবার কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই একমাত্র পথ।”
 
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে আসা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এমরান হোসাইন সজিব জানান, আমার ধারণা উত্তরাঞ্চলের পানি মেঘনা হয়ে নেমে আসার সময় সাপগুলো স্রোতে চাঁদপুরে চলে আসতে পারে।
 
বনবিভাগের কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এই সাপ আমরা এই অঞ্চলে আগে কখনো দেখিনি। এদিকে এমন সাপ ধরা পড়ায় কোরালিয়া এলাকার মানুষ আতংকে রয়েছে।
 
চাঁদপুর সামাজিক বনায়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, “সাপের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিনিধিরা চাঁদপুরে আসেন। তাদের কাছে সাপটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে রাখা হবে। তারা সেখানে গবেষণার কাজে লাগাবেন।”
 
==অবস্থা==
৩৮ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
==ব্যবহার==
লুপাস অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নামে [[গর্ভপাত|গর্ভপাতকারী]] এক রোগ নির্ধারণের পরীক্ষায় (ডাইলিউট রাসেল ভাইপার ভেনম টাইম টেস্ট) চন্দ্রবোড়ার বিষ ব্যবহৃত হয়।
 
<br />
 
==প্রজনন==