হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৫ নং লাইন:
মনীষা দেবী কলকাতার প্রখ্যাত সার্জেন ডি এন চ্যাটার্জির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি এডিনবরাতে শিক্ষা নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে অসমে বসবাস করতেন। তাদের কন্যা দীপ্তি চৌধুরী পাঞ্জাবের প্রখ্যাত [[আদি ধর্ম]] সমাজ সংস্কারক পণ্ডিত নবীন চন্দ্র রায়ের পরিবারে বিবাহ করেন। সুষমা দেবী ব্যারিস্টার দ্বারিকানাথ মুখার্জির সঙ্গে বিবাহ করেন, তাঁদের চার পুত্র এবং দুই কন্যা: জ্যেষ্ঠ সন্তান ([[সন্ন্যাসী]] হয়েছিলেন), লোকেন্দ্রনাথ মুখার্জি (কখনো বিবাহ করেননি) একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন, তৃতীয় পুত্র (সন্ন্যাসী হয়েছিলেন), ডা. ভার্গনাথ মুখার্জি গৌরী দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, কন্যা ভারতী জনক প্রকাশ গাঙ্গুলিকে (চিত্রশিল্পী জামিনী প্রকাশ গাঙ্গুলির সন্তান) বিবাহ করেন, কন্যা (শৈশবে মৃত), ভাস্করনাথ মুখার্জি ঊষা দেবীকে বিবাহ করেন।
 
হেমেন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন একজন কন্যা সুদক্ষিণা ওরফে [[পূর্ণিমা দেবী]] (পরবর্তীকালে শ্রীমতী জ্বালা প্রসাদ) যিনি কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ৬ নম্বর দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ণিমা দেবী কলকাতায় পার্ক স্টিটের লরেটো কনভেন্টে (ইউরোপীয়দের জন্যে এক বিদ্যালয়) শিক্ষালাভ করেছিলেন; একজন অনাবাসী ছাত্রী হিসেবে ইংরেজির অতিরিক্ত তিনি বাংলা, সংস্কৃত, উর্দু, হিন্দি, ফরাসি ভাষা, পিয়ানো এবং বেহালা বাজানো জানতেন। তিনি কেম্ব্রিজ ট্রিনিটি কলেজ থেকে সংগীত পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। তিনিই যুক্ত প্রদেশে বিবাহ করা প্রথম বাঙালি মহিলা, তাঁর স্বামী ছিলেন প্রয়াত সম্মাননীয় পণ্ডিত জ্বালা প্রসাদ, এমএ, ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের হারদইয়ের ডেপুটি কমিশনার, (ইম্পিরিয়াল সিভিল সার্ভিসের একজন আধিকারিক, এক অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতা, প্রয়াত কানোয়ার [[জিতেন্দ্র প্রসাদ|জিতেন্দ্র প্রসাদের]] মহান পিতামহ ছিলেন। তিনি ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়র জন্যে ডায়না ম্যাচে বিপিআরএ পদক জিতেছিলেন। তিনি একজন কুশলী ঘোড়সওয়ার হয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে তাঁর গ্রামের চারিদিকে ঘুরতেন এবং এক বিশেষজ্ঞ শিকারি হয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে বড়ো ধরনের শুটিংয়ে অংশ নিতেন। ভারতে নারীদের শিক্ষা এবং উন্নতিতে তিনি একান্তাবে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর স্বামীর স্মৃতিতে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে তিনি 'দ্য পণ্ডিত জ্বালা প্রসাদ কন্যা পাঠশালা' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুক্ত প্রদেশের মজফফরনগরে হিউয়েট মডেল গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি সাহায্য করেছিলেন, এবং শাহজাহানপুর ও মজফফরনগরে পর্দানসীন মহিলাদের উন্নয়নকল্পে পর্দা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি শাহজাহানপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম এবং উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে একটা সুন্দর পাহাড়ি সম্পত্তির (যাকে বলা হয় [[অ্যাবটসফোর্ড, প্রসাদ ভবন]]) মালকিন ছিলেন[http://www.abbotsford.in/History.htm] (এখন সেখানে তাঁর চতুর্থ প্রজন্মের প্রসাদেরা তাঁদের পূর্বসুরিদের ঐতিহ্য নিয়ে আজ পর্যন্ত অবস্থান করছেন), এবং একটা বাড়ি বাদামি বাগ, কাশ্মীরের শ্রীনগরে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনী দখল করেছিল, বর্তমানে সেই জগন্নাথ পুরীতে সেনাপ্রধানের আবাস এবং বাড়ি সৈকত। তিনি হিন্দি প্রকাশন 'উনকি বুনত কি প্রথাইজি শিক্ষা' বইয়ের লেখিকা যেটা যুক্ত প্রদেশের এডুকেশনাল টেক্সটবুক কমিটি বিদ্যালয়ের পাঠ্য বই হিসেবে নির্বাচন করেছে। 'দ্য লাস্ট ল্যাম্প আউট' নামে এক ইংরেজি বইয়ের লেখায় তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তিনি কৈসার-ই-হিন্দ পদকের প্রাপক এবং প্রথম ভারতীয় নারী যিনি সেনা আইন প্রয়োগের থেকে মুক্ত ছিলেন।<ref>WHO'S WHO IN INDIA - SECOND SUPPLEMENT. https://archive.org/details/secondsupplement00luckrich</ref>
 
[[বিষয়শ্রেণী:ঠাকুর পরিবার]]