হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
সংশোধন
১ নং লাইন:
 
{{টেমপ্লেট:কাজ চলছে/ব্যাঘ্র প্রকল্প এডিটাথন}}
'''হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর''' (১৮৪৪–-১৮৮৪) হলেন মহর্ষি [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] তৃতীয় পুত্র; তাঁর আরো এক পরিচয় হল ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে [[কলকাতা|কলকাতায়]] জন্মানো ২১ জন আসল ব্রাহ্ম সন্তানদের মধ্যে তিনিই প্রথম ছিলেন, যাঁদের পরিবার ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর কলকাতায় প্রথম ব্রাহ্ম আদর্শে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর এক নিবিড় ব্যক্তিগত সত্তাকর্মপদ্ধতি ছিল; তাঁর বহুল পরিচিতি ছিল তিনি কঠোর অনুশাসনে দায়িত্ব সহকারে ছোটছোটো ভাইদের পড়াশোনায় নজর দিতেন; তৎসহ বিশাল পারিবারিক সম্পত্তির প্রশাসকও ছিলেন ।
 
তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর [[ব্রাহ্মধর্ম]] প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; আর তিনি তাঁর পিতার নিয়মিত আধ্যাত্মিক সহযোগীও ছিলেন এবং বয়সে তরুণ হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর পিতা এবং ''তত্ত্ববোধিনী সভার'' প্রবীণদের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মেদর প্রথম মতবিরোধের সময় কলকাতা [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্ম সমাজ]] থেকে অ-ব্রাহ্মণ কর্মীদের বহিষ্কার করার ব্যাপারে তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [[আদি ব্রাহ্মসমাজ|আদি ধর্ম]] নামে এক ধর্ম কেবলমাত্র তাঁর দর্শনের ওপর ভিত্তি করেকরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং [[ব্রাহ্মধর্ম]] থেকে বৃহত্তর উন্নয়ন হয়ে আজ শুধুমাত্র ভারতেই ৮০ লক্ষেরও বেশি অনুগামী তৈরি হয়েছে।
 
হেমেন্দ্রনাথের অন্যান্য ভাইবোনদের মতো তাঁর নিজেরও বিবিধ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল যা একটা [[বহুবিদ্যাবিশারদ|পলিম্যাথ]] এবং 'এই পরিবারের বৈজ্ঞানিক' হিসাবেহিসেবে বিবেচিত হতে পারত। তিনি [[মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিকেল কলেজে]] (তাঁর ঠাকুরদা প্রিন্স [[দ্বারকানাথ ঠাকুর]] দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল) পড়াশোনা করেছিলেন এবং ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে নিবন্ধসমূহ রচনা করেছিলেন যেটা বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের জন্যে একটা পাঠ্যপুস্তকরূপে তাঁর সংকলন এবং সম্পাদনা করার পরিকল্পনা ছিল। যদি তাঁর অকাল মৃত্যু প্রকল্পটি শেষ করতে বাধা হয়ে না-থাকত, তাহলে এটাই বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক হতে পারত।
 
হেমেন্দ্রনাথের অন্যান্য ভাইবোনদের মতো তাঁর নিজেরও বিবিধ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল যা একটা [[বহুবিদ্যাবিশারদ|পলিম্যাথ]] এবং 'এই পরিবারের বৈজ্ঞানিক' হিসাবে বিবেচিত হতে পারত। তিনি [[মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিকেল কলেজে]] (তাঁর ঠাকুরদা প্রিন্স [[দ্বারকানাথ ঠাকুর]] দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল) পড়াশোনা করেছিলেন এবং ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে নিবন্ধসমূহ রচনা করেছিলেন যেটা বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের জন্যে একটা পাঠ্যপুস্তকরূপে তাঁর সংকলন এবং সম্পাদনা করার পরিকল্পনা ছিল। যদি তাঁর অকাল মৃত্যু প্রকল্পটি শেষ করতে বাধা হয়ে না-থাকত, তাহলে এটাই বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক হতে পারত।
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর বেতার তরঙ্গ এবং বিদ্যুৎচুম্বকীয় প্রসারের ক্ষেত্রে তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছিলেন। ১৮৭২-৭৩ সময়কালে তিনি তাঁর গবেষণার ফলাফলের ওপর বিভিন্ন নিবন্ধ লিখেছিলেন; আর একজন ব্রাহ্মণ রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদি তাঁর ওই বিষয়গুলোর প্রতিলিপি লিখেছিলেন। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর সংকলিত পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রথম এশীয় পদার্থবিজ্ঞানের বই 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্থূলমর্ম' নামে প্রকাশিত হয়েছল, ১৮৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে যায নতুন সংস্করণ হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে থাকা জ্ঞান সম্ভাব্যভাবে বিস্ফোরক ছিল, এগুলোর প্রচার আদি ব্রাহ্ম সমাজের ব্রাহ্মণদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীকালে হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুরের আদি ব্রাহ্ম সমাজের রেকর্ডের মধ্যে থাকা যাবতীয় কাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।<ref>History of Adi Brahmo Samaj, vol 1, 1897</ref>