ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১ নং লাইন:
<!--{{Disputeabout|No accessible historically relevant link. Very dubious unheard of link}}-->
সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) [[ভারতবর্ষ|ভারতবর্ষের]] [[বাংলা|বাংলাতে]] সন্ন্যাসী ও ফকির বা মুসলিম ও হিন্দু তাপসদের তত্কালীনতৎকালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বোঝানো হয়ে থাকে। ঐতিহাসিক এ আন্দোলন '''ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ''' নামেও পরিচিত। ইতিহাসবিদগণ বিদ্রোহটির পটভূমি নিয়েই শুধু দ্বিধা বিভক্তই নন, বরং ভারতবর্ষের ইতিহাসে এর গুরুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা মতদ্বৈত্বতা লক্ষণীয়। কেউ কেউ একে বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] সূতিকার বলে মনে করেন যেহেতু [[১৭৫৭]] সালের [[পলাশীর যুদ্ধ|পলাশীর যুদ্ধের]] পর খাজনা উত্তোলনের কতৃত্ব [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর]] হাতে তুলে দেয়া হয়, আবার কারো কারো মতে এটি [[ছিয়াত্তরের মন্বন্তর|১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষোত্তর]] বাংলায় কিছু দস্যুর উন্মত্ততা ছাড়া কিছুই না। <ref name="সন্নাসী">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি
| লেখক = লোরেনজেন, ডি.এন.
| শিরোনাম = ''ভারতবর্ষের ইতিহাসে সন্ন্যাসী যোদ্ধা' '(মূল শিরোনাম: "Warrior Ascetics in Indian History")
৯ নং লাইন:
| পাতাসমূহ = ৬১৭–৭৫
| ইউআরএল=
}}</ref>
 
== পটভূমি ==
অন্তত তিনটি আলাদা ঘটনাকে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে অভিহিত করা হয়। যার একটি মূলত সম্মিলিত [[হিন্দু]] ''সন্ন্যাসী'' ও [[মুসলিম]] ''মাদারী'' এবং ধার্মিক ফকিরদের বৃহত্ গোষ্ঠী যারা পবিত্রস্থান দর্শনের উদ্দেশ্যে উত্তর ভারত থেকে বাংলার বিভিন্নস্থান ভ্রমণ করতেন। যাওয়ার পথে এসব সন্ন্যাসীগণ গোত্রপ্রধাণ,[[জমিদার]] অথবা ভূস্বামীদের কাছ থেকে ধর্মীয় অনুদান গ্রহণ করতেন যা তখন রেওয়াজ হিসেবে প্রচলিত ছিল। সমৃদ্ধির সময়ে গোত্রপ্রধাণ, জমিদারগণও এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদার ও অনুগত ছিলেন কিন্তু যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী দেওয়ানী ক্ষমতা লাভ করে তখন থেকে করের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পায় ফলে স্থানীয় ভূস্বামী ও গোত্রপ্রধানগণ সন্ন্যাসী এবং ইংরেজ উভয়কেই কর প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়ে। উপরন্তু ফসলহানি, দুর্ভিক্ষ যাতে প্রায় এক কোটি মানুষ প্রাণ হারায় যা তৎকালীন বাংলার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, সমস্যাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয় কারণ আবাদী জমির বেশিরভাগ থেকে যায় ফসলশূণ্য ।<ref name="সন্ন্যাসী">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি