হিন্দু বর্ষপঞ্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৩৬ নং লাইন:
 
এটিই হিন্দু পঞ্জিকার একটি ব্যতিক্রমী ধর্ম। বেশিরভাগ বর্ষপঞ্জিই বর্তমান বছরের পূরণবাচক সংখ্যাটিকে বছরের চিহ্ন হিসাবে ধরে। মানুষের বয়স গণনা করা হয়, তার জন্মের পর কত বছর পার হয়েছে, তার ভিত্তিতে। কিন্তু হিন্দুরা এটা শুরুর থেকে করেন। ৩১শে অগাস্ট ২০১৪-য় হিন্দু পঞ্জিকার ৫১১৬ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সৌর পঞ্জিকার থেকে চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা কিছুটা আগে শুরু হয়, তাই প্রতি বছর একই দিনে বছর শুরু নাও হতে পারে।
 
==বর্ষের নাম==
সংখ্যাগত চিহ্ন ছাড়াও, হিন্দু পঞ্জিকায় ৬০টি বর্ষনামের একটি চক্র আছে, একে '''সংবৎসর''' বলা হয়। এই চক্র প্রথম বছরে শুনো হয়েছিল (যখন অতিক্রান্ত বর্ষের সংখ্যা শূন্য), এবং পর্যায়ক্রমে চলছে:
{{div col|colwidth=18em}}
#প্রভাব (১৯৮৭-৮৮)
#বিভব (১৯৮৮-৮৯)
#শুক্ল (১৯৮৯-৯০)
#প্রমোদ (বা প্রমোদূত) (১৯৯০-৯১)
#প্রজাপতি (বা প্রাজোপতি) (১৯৯১-৯২)
#অঙ্গিরা (১৯৯২-৯৩)
#শ্রীমুখ (১৯৯৩-৯৪)
#ভাব (১৯৯৪-৯৫)
#যুব (১৯৯৫-৯৬)
#ধাত্রী (১৯৯৬-৯৭)
#ঈশ্বর (১৯৯৭-৯৮)
#বহুধান্য (১৯৯৮-৯৯)
#প্রমাথী (১৯৯৯-২০০০)
#বিক্রম (২০০০-০১)
#বৃষ (২০০১-০২)
#চিত্রভানু (২০০২-০৩)
#স্বভানু (২০০৩-০৪)
#তারণ (২০০৪-০৫)
#পার্থিব (২০০৫-০৬)
#ব্যয় (২০০৬-০৭)
#সর্বজিৎ (২০০৭-০৮)
#সর্বধারী (২০০৮-০৯)
#বিরোধী (২০০৯-১০)
#বিকৃত (২০১০-১১)
#খর (২০১১-১২)
#নন্দন (২০১২-১৩)
#বিজয় (২০১৩-১৪)
#জয় (২০১৪-১৫)
#মন্মথ (২০১৫-১৬)
#দুর্মুখ (২০১৬-১৭)
#হেবিলম্বী (২০১৭-১৮)
#বিলম্বী (২০১৮-১৯)
#'''বিকারী (২০১৯-২০)'''
#সাবর্ণি (২০২০-২১)
#প্লব (২০২১-২২)
#শুভকৃতি (২০২২-২৩)
#শোভাকৃতি (২০২৩-২৪)
#ক্রোধী (২০২৪-২৫)
#বিশ্ববসু (২০২৫-২৬)
#পরাভব (২০২৬-২৭)
#প্লবাঙ্গ (২০২৭-২৮)
#কীলক (২০২৮-২৯)
#সৌম্য (২০২৯-৩০)
#সাধারণ (২০৩০-৩১)
#বিরোধীকৃতি (২০৩১-৩২)
#পরিধাবী (২০৩২-৩৩)
#প্রমাদীচ (২০৩৩-৩৪)
#আনন্দ (২০৩৪-৩৫)
#রাক্ষস (২০৩৫-৩৬)
#অনল (২০৩৬-৩৭)
#পিঙ্গল (২০৩৭-৩৮)
#কালযুক্তি (২০৩৮-৩৯)
#সিদ্ধার্থী (২০৩৯-৪০)
#রৌদ্র (২০৪০-৪১)
#দুর্মাথী (২০৪১-৪২)
#দুন্দুভি (২০৪২-৪৩)
#রুধিরোদ্গারী (২০৪৩-৪৪)
#রক্তাক্ষী (২০৪৪-৪৫)
#ক্রোদন (২০৪৫-৪৬)
#অক্ষয় (২০৪৬-৪৭)
{{div col end}}
জুলিয়ান বর্ষপঞ্জির মতোই এই পদ্ধতিতেও '''অধিবর্ষ'''-এর ধারণা আছে। প্রতি চার বছর অন্তর, বছরে ৩৬৫ দিনের জায়গায় ৩৬৬ দিন থাকে। বছর শুরুর বিন্দুটি হল ''মেষাদি'' বা মেষ সংক্রান্তি (হিন্দু সৌরবর্ষে ''মেষ''-এর প্রথম দিন)। এতে দিনের হিসেবও রাখা হয়। প্রথম দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ১৮৬৪০০০-এর বেশি দিন কেটে গিয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান কলিযুগের (চতুর্যুগের ১/১০ অংশ) অনেকটা দিনই পার হয়ে গিয়েছে।