প্রাগ বসন্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
প্রাগ বসন্ত |
|||
১৭ নং লাইন:
প্রাগ বসন্তের আগে কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দুটো বড় ধরনের আন্দোলন ইউরোপে হয়েছিলো, যার একটি হয়েছিল ১৯৫৩ সালে পূর্ব জার্মানিতে, আর অপরটি হয়েছিল ১৯৫৬ সালে হাঙ্গেরিতে। উভয় আন্দোলনকেই মস্কোর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টির মাধ্যমে শক্ত হাতে দমন করা হয়। সেই দুই আন্দোলনের সাথে ১৯৬৮ সালের প্রাগ গণজাগরণের একটা বড় পার্থক্য হলো, এ গণজাগরণ শুরুই হয়েছিলো স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টির মাধ্যমে, যার মূল চেতনা আরও অধিকতর শুদ্ধ কমিউনিজম চর্চা। এ আন্দোলন কমিউনিস্ট শাসনের অবসান নয়, বরং কমিউনিস্ট শাসনের ধারাকে সংস্কারের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিলো।
কিন্তু মস্কো, বিশেষ করে তৎকালীন সোভিয়েত নেতা লিওনিভ ব্রেজনভ প্রাগের এ সংস্কারকে মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশে এমন সংস্কারের ছোঁয়া যেন না লাগে, সেজন্য তিনি দ্রুত দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। দুবচেকের সংস্কারের দরুন প্রাগের গণমাধ্যমগুলো যেভাবে সোভিয়েত স্টাইলের সমাজতন্ত্রের সমালোচনা শুরু করেছিলো, তা ব্রেজনভকে অত্যন্ত উত্তেজিত করে তোলে। এ জন্যই হয়তো প্রাগে প্রবেশের পর সোভিয়েত সেনাদের সবার আগে প্রাগের রেডিও এবং টিভি
পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেবার পর মস্কো পছন্দের শাসক দিয়ে চেকোস্লোভাকিয়াতে কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে। দুবচেক মস্কো থেকে কয়েকদিন পর ফিরে আসলেন। কাগজে-কলমে তিনি দেশের প্রধান থাকলেও সত্যিকার অর্থে তার কোনো স্বাধীন ক্ষমতা আর অবশিষ্ট ছিল না। ১৯৬৯ সালে তাকে পার্টি প্রধান থেকে অপসারণ করা হয়। তার অনুসারী পাঁচ লাখের বেশি সমর্থককে চেক কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করার পর ১৯৭০ সালে দুবচেককেওকমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
|