তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৮ নং লাইন:
 
==সাধারণ আলোচনা==
মিকাঃ কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর প্রতি সবার এত আগ্রহ দেখার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর একদম বেসিক জিনিষজিনিস নিয়ে এর পরের লেখাটা লিখব। সে জন্য আমি এই লেখাটা তরঙ্গ কণা দ্বৈততা নিয়ে লিখছি। আমি চেষ্টা করেছি টেকনিকাল জিনিষজিনিস যতটা সম্ভব বাদ দিতে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক লেভেল এর পদার্থ বিজ্ঞানের উপর জ্ঞান থাকলে এই লেখা বুঝতে কিছুটা সুবিধা হবে।
 
 
নিউটনঃ আলো অবশ্যই কণা দিয়ে তৈরি।
৪৩ ⟶ ৪১ নং লাইন:
 
এই রকম ‘কথাবার্তা’র মধ্যে দিয়েই কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জন্ম হয়। আলো কি? আমরা অনেক জায়গায় আলো ‘দেখি’। দিনের বেলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে আলো দেখতে পাবেন। রাতের বেলা ইলেক্ট্রিক বাতির সুইচ অন করলেও আলো দেখতে পাবেন। কিন্তু আমরা কি আসলেই আলো ‘দেখতে’ পাই? না, আসলে আমরা আলো দেখি না। আলো যে বস্তুর উপরে পরে, আমারা সেই বস্তু দেখতে পাই। যেখানে আলোর পরিমাণ যত বাড়ানো হয়, সেখানে কোন বস্তুকে আমরা তত বেশি উজ্জ্বল দেখি। সেই জন্যওই হয়ত আমাদের মনে হয় যে আমরা আলো দেখছি। আসলে কোন আলোর উৎস থেকে আলো বের হয়ে এসে তা কোন বস্তুর উপরে পরে, সেখান থেকে আলো প্রোতিফলত হয়ে এসে আমাদের চোখে পরলে আমরা সেই বস্তু দেখতে পাই। কিন্তু এই আলোটা আসলে কি? এটা কি দিয়ে তৈরি? এটা কিভাবে চলাচল করে? এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা কিছু তত্ত্ব দিলেন। কেউ বললেন যে আলো তরঙ্গ, কেউ বললেন যে আলো কণা। বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষার ফলফল দেখে মোটামুটি নিশ্চীত হলেন যে আলো তরঙ্গ। তারা মনে করেছিলেন যে সমদ্রের উপর দিয়ে যেভাবে ঢেউ সঞ্চালিত হয়, তেমনি আলো ইথার নামক এক কাল্পনিক মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে চলে। এ সময় ইয়ং তার বিখ্যাত দ্বি চির পরিক্ষাটি করেন। এ পরীক্ষায় একটি পর্দার মাঝখানে ২টি চির কাটা হয়। এর এক পাশে একটি আলোক উৎস থাকে। এরফলে পর্দার অন্য পাশে আলো ও আধারের ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়।
 
 
 
এই ঘটনা এত অল্প জায়গায় ব্যাখা করা কঠিন। তবে এটা একটা দৈনিক উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারি। ধরুন, আপনি একটি স্থির পুকুরে একটি ঢিল ফেললেন, তাহলে ঢিলটি পরার জায়গা থেকে বৃত্তাকারে চারিদিকে স্রোত ছড়িয়ে যাবে। এখন যদি আপনি খুব কাছাকাছি ২টি ঢিল একই সময়ে ফেলেন, তাহলে পুকুরের অপর প্রান্তে কোন কোন জায়গায় ২ই স্রোতের চূড়া একই সাথে পৌছাবে ফলে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হবে, আবার কোথাও কোথাও কিছুই থাকবে না। এখানে দেওয়া ছবিটা দেখে ঘটনাটা অনুমান করতে পারেন।