প্রাকৃতিক নির্বাচন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২০ নং লাইন:
 
=== নামকরণ ও ব্যবহার ===
"প্রাকৃতিক নির্বাচন" শব্দটির অর্থ প্রেক্ষাপটের উপর সামান্য নির্ভরশীল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে উদ্ধারিক (হেরিটেবল) বৈশিষ্ট্যের উপর কার্যকরী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, কারণ এই বৈশিষ্ট্যগুলোই সরাসরি জৈব বিবর্তনে অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করে। তবে প্রাকৃতিক নির্বাচন “অন্ধ”, এই অর্থে যে ফিনোটাইপ (শারীরিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য) দায়যোগ্য (হেরিটেবল) না হওয়া সত্ত্বেও প্রজননগত সাফল্য প্রদান করতে পারে (উদ্ধারিক নয়, এমন সব বৈশিষ্ট্য পরিবেশের প্রভাবেও উদ্ভূত হতে পারে)।
 
ডারউইনের প্রাথমিক ব্যবহার<ref name="origin"/> অনুসারে শব্দটি দূরদৃষ্টিহীন নির্বাচনের বিবর্তনীয় পরিণতি ও বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া, দু’টো বিষয়কেই নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়।<ref name="fisher">Fisher RA (1930) ''The Genetical Theory of Natural Selection'' Clarendon Press, Oxford</ref><ref name="nomenclature1">Works employing or describing this usage:<br />{{বই উদ্ধৃতি| লেখক=Endler JA | বছর=1986| শিরোনাম=Natural Selection in the Wild| প্রকাশক=Princeton University Press| অবস্থান=Princeton, New Jersey| আইএসবিএন=0-691-00057-3}}<br />{{বই উদ্ধৃতি| লেখক=Williams GC| বছর=1966| শিরোনাম=Adaptation and Natural Selection| প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> মাঝে মাঝে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও প্রভাবের মাঝে পার্থক্যটা উল্লেখ করা উপকারী; এই পার্থক্যটা যখন আলাদা গুরুত্ব বহন করে, তখন বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক নির্বাচনকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেন- “সেসব প্রক্রিয়া যা প্রজননশীল প্রাণীকে নির্বাচন করে”। নির্বাচনের বস্তু উদ্ধারিক কিনা, তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। একে মাঝে মাঝে “ফিনোটাইপীয় প্রাকৃতিক নির্বাচন” হিসেবে অভিহিত করা হয়।<ref name="nomenclature2">Works employing or describing this usage:<br />Lande R &amp; Arnold SJ (1983) The measurement of selection on correlated characters. ''Evolution'' 37:1210-26<br />Futuyma DJ (2005) ''Evolution'' . Sinauer Associates, Inc., Sunderland, [[ম্যাসাচুসেটস|Massachusetts]]. {{আইএসবিএন|0-7134-6560-3}}<br />Haldane, J.B.S. 1953. The measurement of natural selection. Proceedings of the 9th International Congress of Genetics. 1: 480-487</ref>
৬২ নং লাইন:
এই বেঁচে যাওয়া ব্যাকটিরিয়া এরপর পরবর্তী প্রজন্মের জন্ম দিবে। জীবাণু-নাশকের সাথে সমম্বয়হীন পূর্ব প্রজন্মের ব্যাকটিরিয়াগুলো বিলুপ্ত হয়ে পড়ায় এই নতুন জনগোষ্ঠীতে জীবাণু-নাশকটির প্রতি সহনশীল আরও বেশি ব্যাকটিরিয়া থাকবে। একই সাথে নতুন নতুন পরিব্যক্তি ঘটবে এবং অস্তিমান জেনেটিক প্রকরণে নতুন নতুন প্রকরণ যুক্ত হবে। স্বতঃস্ফূর্ত পরিব্যক্তি খুবি দুর্বল, এবং উপকারী পরিব্যক্তি আরও দুর্বল। তবে ব্যাকটিরিয়ার জনগোষ্ঠীগুলো এতই বড় যে কারও না কারও উপকারী পরিব্যক্তি থাকবেই। নতুন পরিব্যক্তিগুলো যদি তাদের সহনশীলতা বাড়াতে পারে, তবে পরের বার জীবাণু-নাশকের সম্মুখীন হলে তাদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে।
 
যথেষ্ঠযথেষ্ট সময় থাকলে এবং বারংবার জীবাণু-নাশকটির সংস্পর্শে আসলে জীবাণু-নাশকটির প্রতি সম্পূর্ণভাবে সহনশীল এক নতুন ব্যাকটিরিয়া জনগোষ্ঠীর উদয় ঘটবে। এই নতুন জনগোষ্ঠীটি বিদ্যমান পরিবেশের প্রতি অভিযোজিত হলেও তার পূর্বপুরুষদের জীবাণু-নাশকমুক্ত পরিবেশের প্রতি অভিযোজিত হবে না। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে এমন দু'টি জনগোষ্ঠী উদ্ভূত হবে যারা নিজেদের পরিবেশের প্রতি পূর্নভাবে অভিযোজিত হলেও অন্য পরিবেশে ভালভাবে খাপ খাওয়াতে পারবে না।
 
জীবাণু-নাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপব্যবহারের ফলে অনেক অণুজীব জীবাণু-নাশকের প্রতি সহনশীল হয়ে পড়েছে, মেথিসিলিন-বিরোধী ''Staphylococcus aureus'' (MRSA) তার ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধক্ষমতার কারণে এখন "সুপারবাগ" হিসেবে অভিহিত হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.inboxrobot.com/news/MRSASuperbug|শিরোনাম=MRSA Superbug News|সংগ্রহের-তারিখ=2006-05-06|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060426235836/http://www.inboxrobot.com/news/MRSASuperbug|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৬-০৪-২৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এর প্রতিকার হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন শক্তিশালী জীবাণু-নাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু এর প্রতিও সহনশীল MRSA সাম্প্রতিককালে আবিস্কৃত হয়েছে।<ref name="Schito_2006">২৬-০৮-২০০৯</ref>
৭০ নং লাইন:
== প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন ==
{{মূল নিবন্ধ|বিবর্তন|ডারউইনবাদ}}
প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে অভিযোজনমূলক বিবর্তন, অনন্য বৈশিষ্ট্য ও প্রজাত্যায়ন ঘটার পূর্বশর্ত হল জনপুঞ্জে উদ্ধারিক প্রকরণের উপস্থিতি যার ফলে যোগ্যতার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। পরিব্যক্তি, সমন্মীকরণ(recombination) এবং কেরিওটাইপের([[ক্রোমোজোম|ক্রোমজোমের]] সংখ্যা, আকার, আয়তন ও অভ্যন্তরীণ সজ্জা) পরিবর্তনের ফলে জেনেটিক প্রকরণ উদ্ভূত হয়। এসব পরিবর্তনের ফলে ভাল-খারাপ দু'ধরণেরধরনের প্রভাবই পরিলক্ষিত হতে পারে, তবে বড় ধরণেরধরনের প্রভাব সাধারণত দেখা যায় না। অতীতে বেশিরভাগ জেনেটিক পরিবর্তনই (প্রায়) নিরপেক্ষ ধরা হত কারণ পরিবর্তনগুলো ডিএনএর সেসব অংশে ঘটত যা প্রোটিন উৎপাদনে কোন ভূমিকা রাখে না বা সমার্থক উপকল্পন(synonymous substitution) ঘটাতো। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত করছে যে এসব নন-কোডিং ডিএনএর অনেক পরিব্যক্তি ক্ষতিকর প্রভাব আরোপ করে।<ref name="NCFitnessEffects">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Kryukov | প্রথমাংশ১ = GV | শেষাংশ২ = Schmidt | প্রথমাংশ২ = S | শেষাংশ৩ = Sunyaev | প্রথমাংশ৩ = S | বছর = 2005 | শিরোনাম = Small fitness effect of mutations in highly conserved non-coding regions | ইউআরএল = | সাময়িকী = Human Molecular Genetics | খণ্ড = 14 | সংখ্যা নং = 15| পাতাসমূহ = 2221–9 | ডিওআই = 10.1093/hmg/ddi226 | pmid = 15994173 }}</ref><ref name="NCFitnessEffects2">Bejerano G, Pheasant M, Makunin I, Stephen S, Kent WJ, Mattick JS &amp; Haussler D (2004) Ultraconserved elements in the human genome. ''Science'' 304:1321-5</ref> যদিও পরিব্যক্তির হার ও যোগ্যতার উপর তার প্রভাব মূলত প্রাণীর উপর নির্ভরশীল, তবে [[মানুষ|মানুষের]] উপর পরিচালিত জরিপ থেকে দেখা গিয়েছে যে অধিকাংশ পরিব্যক্তির হালকা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।<ref name="Eyre-Walker">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Eyre-Walker | প্রথমাংশ১ = A | শেষাংশ২ = Woolfit | প্রথমাংশ২ = M | শেষাংশ৩ = Phelps | প্রথমাংশ৩ = T. | বছর = 2006 | শিরোনাম = The distribution of fitness effects of new deleterious amino acid mutations in humans | ইউআরএল = | সাময়িকী = Genetics | খণ্ড = 173 | সংখ্যা নং = 2| পাতাসমূহ = 891–900 | pmid = 16547091 | ডিওআই = 10.1534/genetics.106.057570 | pmc = 1526495 }}</ref>
 
[[চিত্র:Pavo cristatus albino001xx.jpg|right|thumb|ধারণা করা হয়ে থাকে যে ময়ূরের পুচ্ছ যৌন নির্বাচনের ফল। এই ময়ূরটি আলবিনো; প্রকৃতিতে আলবিনোদের উপর খুব কঠিন ঋনাত্মক নির্বাচন কাজ করে, কারণ হয় শিকারীরা তাদের সহজেই শণাক্ত করতে পারে নয়ত তারা সঙ্গীর জন্য প্রতিযোগীতায় ব্যর্থ হয়।]]
৭৬ নং লাইন:
যোগ্যতার সংজ্ঞামতে, যোগ্যতর প্রাণীগুলো পরবর্তী প্রজন্মে অধিক সংখ্যাক সন্তান রেখে যেতে পারবে, কিন্তু স্বল্প যোগ্য প্রাণীগুলো হয় প্রজননে অক্ষম হবে নয়ত সন্তান পয়দা করার আগেই মারা যাবে। এর ফলে যোগ্যতা বৃদ্ধিকারী এলেলগুলো পরবর্তী প্রজন্মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং যোগ্যতা হ্রাসকারী এলেলগুলো ক্রমশঃ বিলীন হয়ে যায়। নির্বাচনী শক্তিগুলো প্রজন্মান্তরে একই থাকলে উপকারী এলেলগুলো সংখ্যায় বাড়তেই থাকে আর অপকারী এলেলগুলো পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়। প্রত্যেক প্রজন্মে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নতুন পরিব্যক্তি ও সমন্মীকরণের ফলে ফেনোটাইপের বর্ণচ্ছটা বিস্তৃত হয়। সেই কারণে প্রত্যেক প্রজন্মে সেসব এলেলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যাদের বৈশিষ্ট্য নির্বাচনের দ্বারা অনুগৃহীত হয়েছিল, এতে করে ওই বৈশিষ্ট্যগুলো তীব্র হতে থাকবে।
 
কিছু কিছু পরিব্যক্তি তথাকথিত নিয়ামক জিনে ঘটে থাকে। এসব জিনে যেকোন পরিবর্তন ফেনোটাইপের উপর বড় ধরণেরধরনের প্রভাব ফেলবে, কারণ এই জিনগুলো আরও অনেক জিনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়ামক জিনের বেশিরভাগ(তবে সব নয়) পরিব্যক্তির ফলে ভ্রুণকোষটি বেঁচে থাকতে অক্ষম হয়। তবে অমারাত্মক পরিব্যক্তি মানুষের HOX জিনগুলোতে পরিলক্ষিত হয়, যার ফলে পাঁজর অথবা আঙ্গুলের সংখ্যা সাধারণের চেয়ে বেশি হয়। ওরকম কোন পরিব্যক্তি যোগ্যতা বৃদ্ধি করলে প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে ওই অনন্য বৈশিষ্ট্যটি জনসংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।
[[চিত্র:Polydactyly 01 Lhand AP.jpg|upright|thumb|X-ray of the left hand of a ten year old boy with polydactyly.]]
 
১০৩ নং লাইন:
 
=== ডারউইনের তত্ত্ব ===
১৮৫৯ সালে চার্লস ডারউইন অভিযোজন ও প্রজাত্যায়নের ব্যাখ্যা হিসেবে তাঁর প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের তত্ত্ব প্রকাশ করেন। তাঁর সংজ্ঞামতে প্রাকৃতিক নির্বাচন হল "এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি তুচ্ছ প্রকরণ, যদি উপকারী হয়, সংরক্ষিত হয়"।<ref>{{harvnb|Darwin|1859|p=[http://darwin-online.org.uk/content/frameset?itemID=F373&viewtype=side&pageseq=76 61]}}</ref> বিষয়টি সহজ কিন্তু শক্তিশালি:পরিবেশের সাথে সুষ্ঠুভাবে অভিযোজিত প্রাণীগুলোরই বেঁচে থাকার ও প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি। যতক্ষণ তাদের মাঝে প্রকরণ থাকবে, ততক্ষণ তাদের মধ্যে একটি নির্বাচনি প্রক্রিয়া কাজ করবে যা বেছে বেছে শুধু সবচেয়ে উপকারী প্রকরণগুলোকেই নির্বাচন করবে। প্রকরণগুলো যদি উত্তরাধিকারসূত্র প্রাপ্ত হয়, তাহলে পার্থক্যযুক্ত প্রজননগত সাফল্যের কারণে একটি প্রজাতির বিবর্তন ঘটবে, এবং কোন প্রজাতি বিবর্তিত হয়ে যথেষ্ঠযথেষ্ট পরিমাণে আলাদা হলে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রজাতি হিসেবে গণ্য হবে।<ref>{{harvnb|Darwin|1859|p=[http://darwin-online.org.uk/content/frameset?itemID=F373&viewtype=text&pageseq=20 5]}}</ref>
 
বিগল যাত্রার পর্যবেক্ষণগুলো ডারউইনকে প্রভাবিত করেছিল, আরও প্রভাবিত করেছিল রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ রেভারেন্ড টমাস মালথুসের An Essay on the Principle of Population, যাতে তিনি লিখেছিলেন যে খাদ্যসম্ভারের পাটিগণিতীয় বৃদ্ধির ফলে কোনরকম নিয়ন্ত্রণপ্রবণতার অনুপস্থিতিতে একটি জনগোষ্ঠী জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকবে; সুতরাং প্রাকৃতিক সম্পদের অনিবার্য সীমাবদ্ধতার কিছু জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিণতি থাকবে, যার ফলে "অস্তিত্বের লড়াই" পরিলক্ষিত হবে।<ref name="June29">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.faculty.rsu.edu/~felwell/Theorists/Malthus/Essay.htm#112 |শিরোনাম=An Essay on the Principle of Population |লেখক=T. Robert Malthus |লেখক-সংযোগ=Thomas Malthus |বছর=1798 |কর্ম=Rogers State University |সংগ্রহের-তারিখ=2008-11-03}}</ref> ডারউইন যখন ১৮৩৮ সালে মালথুসের কাজ পড়া শুরু করলেন, তখন তিনি তাঁর প্রকৃতিবিদ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতার ফলে "অস্তিত্বের সংগ্রাম" উপলদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে জনগোষ্ঠীর আয়তন প্রাকৃতিক সম্পদ সম্ভারের চেয়েও বড় হয়ে গেলে "উপকারী প্রকরণের সংরক্ষিত হওয়া ও অপকারী প্রকরণের বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটবে."<ref name="auto120">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://darwin-online.org.uk/content/frameset?viewtype=text&itemID=F1497&pageseq=124 |শিরোনাম=The autobiography of Charles Darwin 1809-1882 |লেখক=Charles Darwin |লেখক-সংযোগ=Charles Darwin |coauthors=ed. [[Nora Barlow]] |বছর=1958 |প্রকাশক=London: Collins |পাতাসমূহ=120 |সংগ্রহের-তারিখ=2008-11-03}}</ref>
১৫৬ নং লাইন:
=== জেনোটাইপ এবং ফেনোটাইপ ===
{{আরো দেখুন|জেনোটাইপ-ফেনোটাইপ পার্থক্য}}
প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রাণীর ফেনোটাইপ অথবা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের উপর ক্রিয়া করে। ফেনোটাইপ জেনোটাইপ অথবা জিনের গঠণগঠন এবং প্রাণীর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রায়ই কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর কাজ করে, সেক্ষেত্রে "জেনোটাইপ" এবং "ফেনোটাইপ" একে অপরের বিপরীতে ব্যবহার করা হয়।
 
যখন কোন জনগোষ্ঠীতে বিভিন্ন প্রাণী একই জিনের বিভিন্ন সংস্করণ বহন করে, তখন ওই প্রত্যেকটি সংস্করণকে এলেল বলে। এই জিনগত প্রকরণই ফেনোটাইপিক বৈশিষ্ট্যসমূহের ভিত্তি। একটা প্রচলিত উদাহরণ হল চোখের রঙের জন্য কিছু বিশেষ জিন মিশ্রণ যা মানুষের ক্ষেত্রে, কাল, নীল, সবুজ প্রভৃতি রঙের চোখ সৃষ্টি করতে পারে। একই জনপুঞ্জের সদস্যরা সবাই যদি একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের এলেল বহন করে এবং এই অবস্থা যদি সুস্থিত হয়, তবে বলা হয়ে থাকে যে এলেলটি জনপুঞ্জে প্রোথিত হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য শুধু একটি জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়, কিন্তু বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্যের পেছনেই একাধিক জিনের ভূমিকা থাকে। ওই জিনসমষ্টির যেকোন একটি পরিবর্তিত হলে ফেনোটাইপে খুবই ক্ষুদ্র পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে পারে; এই জিনসমষ্টির মধ্যে প্রকরণ এভাবে সম্ভাব্য ফেনোটাইপের একটি পরম্পরা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Falconer DS &amp; Mackay TFC (1996) ''Introduction to Quantitative Genetics'' Addison Wesley Longman, Harlow, Essex, UK {{আইএসবিএন|0-582-24302-5}}</ref>