গৌতম বুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ সঠিকতর ও অধিকতর প্রচলিত প্রতিবর্ণীকরণ অনুসারে |
|||
১০৮ নং লাইন:
[[মহাপরিনিব্বাণ সুত্ত]] অনুসারে গৌতম বুদ্ধের বয়স যখন আশি বছর, তখন তিনি তার আসন্ন মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেন। পওয়া নামক একটি স্থানে অবস্থান করার সময় [[চণ্ড (বৌদ্ধ)|চণ্ড]] নামক এক কামার তাকে ভাত ও ''শূকরমদ্দভ'' ইত্যাদি খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই খাবার খাওয়ার পরে গৌতম [[আমাশয়]] দ্বারা আক্রান্ত হন। [[চণ্ড (বৌদ্ধ)|চণ্ডের]] দেওয়া খাবার যে তার মৃত্যু কারণ নয়, [[আনন্দ (বৌদ্ধ ভিক্ষু)|আনন্দ]] যাতে তা [[চণ্ড (বৌদ্ধ)|চণ্ডকে]] বোঝান, সেই ব্যাপারে বুদ্ধ নির্দেশ দেন। <ref group = web>{{Citation | publisher = Access insight | chapter-url = http://www.accesstoinsight.org/tipitaka/dn/dn.16.1-6.vaji.html | chapter = Maha-parinibbana Sutta | title = [[Digha Nikaya]] | number = 16 | at = verse 56}}.</ref> এরপর [[আনন্দ (বৌদ্ধ ভিক্ষু)|আনন্দের]] আপত্তি সত্ত্বেও অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তিনি [[কুশীনগর]] যাত্রা করেন। এইখানে তিনি [[আনন্দ (বৌদ্ধ ভিক্ষু)|আনন্দকে]] নির্দেশ দেন যাতে দুইটি শাল বৃক্ষের মধ্যের একটি জমিতে একটি কাপড় বিছিয়ে তাকে যেন শুইয়ে দেওয়া হয়। এরপর শায়িত অবস্থায় বুদ্ধ উপস্থিত সকল ভিক্ষু ও সাধারণ মানুষকে তার শেষ উপদেশ প্রদান করেন। তার অন্তিম বাণী ছিল “বয়ধম্মা সঙ্খারা অপ্পমাদেন সম্পাদেথা”, অর্থাৎ “সকল জাগতিক বস্তুর বিনাশ আছে। অধ্যবসায়ের সাথে আপনার মুক্তির জন্য সংগ্রাম কর।”
বিভিন্ন পুঁথিতে অনুবাদবিভ্রাট ও লিখনশৈলীর পার্থক্যের জন্য গৌতম বুদ্ধের অন্তিম আহার্য্য বস্তু সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। [[আর্থার ওয়েলি|আর্থার ওয়েলির]] মতে [[থেরবাদ]] ঐতিহ্যানুসারে ''শূকরমদ্দভ'' বলতে শূকরের নরম মাংস বোঝানো হয়। যদিও [[কার্ল ইউজিন নিউম্যান]] এই শদের অর্থ করেছেন শূকরের নরম আহার। [[কার্ল ইউজিন নিউম্যান|নিউম্যান]] ও [[আর্থার ওয়েলি|ওয়েলি]] আবার এও মত প্রকাশ করেছেন যে এই আহারের সাথে শূকর শব্দটি যুক্ত হলেও হয়তো এটি একটি শুধুমাত্র একটি উদ্ভিদ, যাকে আহার হিসেবে ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে কয়েক শতাব্দী পরে বুদ্ধের জীবনী রচনার সময় এই শব্দের অর্থ সাধারণ ব্যবহারে অপ্রচলিত হয়ে পড়ায় ''শূকরমদ্দভ'' শব্দটি শূকরের নরম মাংস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।{{sfn|Waley|1932|pp= 343–54}} [[অস্কার ভন হিনুবার]] মত প্রকাশ করেছেন যে, বুদ্ধের মৃত্যু খাদ্যে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে হয় নি, বরং [[সুপিরিয়র মেসেন্ট্রিক আর্টারি
[[দীপবংশ]] ও [[মহাবংশ]] নামক [[শ্রীলঙ্কা|শ্রীলঙ্কার]] বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থানুসারে, বুদ্ধের মৃত্যুর ২১৮ বছর পরে সম্রাট [[অশোক (সম্রাট)|অশোকের]] রাজ্যাভিষেক হয়, সেই অনুযায়ী ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে চীনা পুঁথি ({{lang|zh|十八部論}} ও {{lang |zh|部執異論}}) অনুসারে, বুদ্ধের মৃত্যুর ১১৬ বছর পরে [[অশোক (সম্রাট)|অশোকের]] রাজ্যাভিষেক হয়, সেই অনুযায়ী ৩৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধের মৃত্যু হয়। যাই হোক, থেরবাদ বৌদ্ধ ঐতিহ্যে ৫৪৪ বা ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ ঘটে বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] বৌদ্ধরা ৫৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১৩ই মে{{sfn |Kala |1724|p = 39}} এবং [[থাইল্যান্ড|থাইল্যান্ডের]] বৌদ্ধরা ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১১ই মার্চ বুদ্ধের মৃত্যুদিবস বলে মনে করেন।{{sfn|Eade | 1995 |pp = 15–16}}
|