মুরারিচাঁদ কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৮ নং লাইন:
== প্রতিষ্ঠার পটভুমি ==
 
মুরারিচাঁদ কলেজ [[১৮৯২]] সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তৎকালীন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী [[গিরিশচন্দ্র রায়|রাজা গিরিশচন্দ্র রায়]] (১৮৪৫ - ১৯০৮) -এর অনুদানে। কলেজটির নামকরণ করা হয় তাঁরতার প্রমাতামহ মুরারিচাঁদ এর নামে। পূর্বে কলেজটি সিলেটের বন্দর বাজারের নিকট [[রাজা জি. সি. উচ্চ বিদ্যালয়]] এর পাশে অবস্থিত ছিল। [[১৮৯১]] সালে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] কলেজটিতে এফ. এ. ক্লাশ খোলার অনুমতি দিলে ১৮৯২ সালের ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মুরারিচাঁদ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। সেসময় ছাত্রদের বেতন ছিল ৪ টাকা এবং ১ম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশকৃতদের জন্য বিনা খরচে পড়ার ব্যবস্থা ছিল।
 
১৮৯২ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত রাজা গিরিশচন্দ্র রায় নিজেই কলেজটির সকল খরচ বহন করেন। ১৯০৮ সালে রাজা মারা গেলে কলেজটি সরকারী সহায়তা চায়। তখন থেকে কলেজটি সরকারী সহায়তায় পরিচালিত হতে থাকে। এরপর ১৯১২ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি কলেজ রুপে আত্মপ্রকাশ করে। একই বছর তৎকালীন আসামের চিফ কমিশনার স্যার আর্চডেল আর্ল কলেজটিকে ২য় শ্রেণীর কলেজ থেকে ১ম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত করেন । ১৯১৩ সালে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ক্লাস চালু হয়। পরবর্তীতে জননেতা আব্দুল মজিদ (কাপ্তান মিয়া) সহ আরো অনেকে মিলে ১৮০০০ টাকা অনুদান দিলে কলেজটিতে স্নাতক শ্রেণী চালু হয়।
 
১ম বিশ্বযুদ্ধ ও অন্যান্য নানা সমস্যার কারনে কলেজের ক্যাম্পাস পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন কলেজ থেকে ৩ কি. মি. দুরে থ্যাকারে টিলায় (বর্তমান টিলাগড়) ১২৪ একর ভুমি নিয়ে বিশাল ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। সে সময় কলেজের ছাত্রসংখ্যা ছিল ৫৬৮ জন। ১৯২১ সালে তৎকালীন আসামের গভর্ণরগভর্নর স্যার উইলিয়াম মরিস কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯২৫ সালে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন আসামের গভর্ণরগভর্নর স্যার উইলিয়াম রীড।
 
১৯৪৭ এর [[দেশ বিভাগ|দেশ বিভাগের]] পূর্ব পর্যন্ত কলেজটি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধিভুক্ত ছিল। দেশ বিভাগের পর এটি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধীনে আসে। পরবর্তীতে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৬৮ সালে কলেজটি [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধিভুক্ত হয়, এবং সর্বশেষ ১৯৯২ সালে [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠার পর দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর মত মুরারিচাঁদ কলেজটিকেও [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়]] এর অধিভুক্ত করা হয় এবং অধ্যাবধি রয়েছে।
১২৯ নং লাইন:
 
== সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ==
প্রতিবছর মুরারিচাঁদ কলেজে [[বাংলা নববর্ষ]] এর অনুষ্ঠান বেশ জাকজমকভাবে উদযাপিত হয়। সকল পেশার,সকল শ্রেণীর মানুষ এই অনুষ্ঠানে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করে, যা এই অনুষ্ঠানকে এতদঞ্চলের সবচাইতে জাঁকজমকপুর্ণ আয়োজনে পরিনত করেছে।<ref name="অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"/>
 
== প্রখ্যাত শিক্ষার্থীবৃন্দ ==
১৪৮ নং লাইন:
* [[নীহাররঞ্জন রায়]], ইতিহাসবেত্তা, সাহিত্য সমালোচক <ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ =Roy | প্রথমাংশ =Neehar Ranjan | শিরোনাম = Bangaleer Itihas | প্রকাশক =Dey's Publishing | অবস্থান =[[Calcutta]]}}</ref>
* [[Moinul Hoque Choudhury|ময়নুল হক চৌধুরী]] , (১৯২৩-১৯৭৬) আসাম মন্ত্রী সভায় প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন।
* [[সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম]], গল্পকার সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে তাঁকেতাকে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] প্রদান করা হয়।<ref name="ReferenceA">সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ও অন্যান্য সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী লেখক অভিধান; বাংলা একাডেমী, ঢাকা; সেপ্টেম্বর, ২০০৮; পৃষ্ঠা- ৪৩০</ref>
* [[শানারেই দেবী শানু]], অভিনেত্রী ও মডেল, [[লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার]] মুকুট বিজয়ী।