পরীক্ষিৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
'''পরীক্ষিৎ''' ছিলেন কুরুবংশীয় রাজা। [[মহাভারত]] ও পুরাণ অনুসারে তিনি মহারাজ যুধিষ্ঠিরের উত্তরাধিকারী হন। তিনি তাঁরতার প্রপিতামহ [[পান্ডু|পাণ্ডুর]] ন্যায় মহাবীর ও ধনুর্ধর ছিলেন। ষাট বছর বয়স পর্যন্ত রাজ্যপালনের পর দুরদৃষ্টক্রমে তাঁরতার প্রাণনাশ হয়।
 
== জন্ম ==
[[File:Krishna give life to dead child of Uttara.jpg|thumb|কৃষ্ণ উত্তরার মৃত পুত্রকে পুনর্জীবিত করেন]]
পরীক্ষিৎ পাণ্ডুপুত্র [[অর্জুন]] ও বৃষ্ণি রাজকন্যা সুভদ্রার পৌত্র এবং [[অভিমন্যু]] ও মৎস্য রাজকন্যা উত্তরার পুত্র।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ= Dowson|প্রথমাংশ= John|শিরোনাম=A Classical Dictionary of Hindu Mythology and Religion, Geography, History, and Literature|ইউআরএল=http://www.archive.org/stream/aclassicaldictio00dowsuoft#page/n45/mode/2up|বছর=1888|প্রকাশক=Trubner & Co., London|পাতা=1}}</ref> [[কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ|কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের]] অবসানের পর তাঁরতার জন্ম হয়। কিশোরবয়সের অজ্ঞানতাবশত পঞ্চদশবর্ষী অভিমন্যু ও ত্রয়োদশী উত্তরা বিবাহের কালরাত্রেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিশোর অভিমন্যু অজ্ঞাতেই উত্তরার উরুতে বীর্য নিঃসৃত করলে তা উত্তরার যোনিতে প্রবেশ করে ও ঋতুমতী উত্তরার গর্ভে সন্তান সৃষ্ট হয়।কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ত্রয়োদশ দিবসে বালক অভিমন্যু ছয় রথী দ্বারা অন্যায় যুদ্ধে নিহত হন। পরে [[অশ্বত্থামা]] পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ব্রহ্মশির অস্ত্র পাণ্ডব নারীদের গর্ভে নিক্ষেপ করার ফলে [[উত্তরা]] একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু [[কৃষ্ণ]] তাঁকেতাকে পুনর্জীবিত করেন এবং ভরতবংশ পরীক্ষণ হওয়ার পর জন্ম বলে অভিমন্যুর পুত্রের নামকরণ করা হয় পরীক্ষিৎ। তিনি পাণ্ডবগণের প্রাণস্বরূপ ছিলেন।
 
== রাজ্যাভিষেক ==
ভারতযুদ্ধের ছত্রিশ বছর পরে যাদবগণ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে ওঠে এবং ব্যক্তিগত বিবাদের ফলে যাদববংশ ধ্বংস হয়। [[যুধিষ্ঠির]] অর্জুনের নিকট এই সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে দুঃখিত হন এবং প্রজাগণকে আহ্বান করে মহাপ্রস্থানের অভিপ্রায় যানান। তিনি কৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রকে ইন্দ্রপ্রস্থে অভিষিক্ত করে অবশিষ্ট যাদবগণকে পালনের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এরপর তিনি পরীক্ষিৎকে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করে কৃপাচার্যের ওপরে তাঁরতার অস্ত্রশিক্ষা ও ধৃতরাষ্ট্রের বৈশ্যাগর্ভজাত পুত্র যুযুৎসুর ওপর রাজ্যপালনের ভার দেন। পরীক্ষিৎ কৃপাচার্যের অভিভাবকত্বে তিনটি [[অশ্বমেধ যজ্ঞ]] করেন।
 
== মৃত্যু ==
একদিন মৃগয়া করতে গিয়ে পরীক্ষিৎ এক মৃগকে বাণবিদ্ধ করে তার অনুসরণ করেন এবং ক্ষুধিত ও পরিশ্রান্ত হয়ে গভীর বনে [[শমীক]] নামে এক মুনিকে মৃগ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। মুনি মৌনব্রতধারী হওয়ায় কোনো উত্তর করেন না। ফলে পরীক্ষিৎ ক্রুদ্ধ হয়ে ধনু দিয়ে একটি মৃত সাপ তুলে মুনির স্কন্ধে পরিয়ে দেন এবং নিজের পুরিতে ফিরে যান। শমীক মুনির পুত্র শৃঙ্গী আচার্যের গৃহ থেকে ফেরার সময় কৃশ নামে এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন যে কীভাবে পরীক্ষিৎ তাঁরতার পিতাকে অপমান করেছেন। তিনি অভিশাপ দেন যে তাঁরতার নিরপরাধ পিতাকে অপমান করেছেন সপ্তরাত্রির মধ্যে তক্ষক নাগ তাকে দংশন করবে। শমীক মুনির শিষ্য গৌরমুখের কাছ থেকে ঋষিপুত্রের শাপ সম্পর্কে জানতে পেরে পরীক্ষিৎ অত্যন্ত দুঃখিত হন। তিনি মন্ত্রীদের সাথে মন্ত্রণা করে একটিমাত্র স্তম্ভের ওপর সুরক্ষিত প্রাসাদ নির্মাণ করেন এবং বিষচিকিৎসক ও মন্ত্রসিদ্ধ ব্রাম্ভণদের নিয়োগ করেন। রাজকার্য উপলক্ষে একমাত্র মন্ত্রীগণই তার কাছে যেতে পারতেন। সপ্তম দিনে কাশ্যপ নামক বিষচিকিৎসক রাজার কাছে যাওয়ার পথে তক্ষক নাগ ব্রাহ্মণের বেশে তাঁরতার কাছে উপস্থিত হন এবং অর্থের পরিবর্তে তাঁকেতাকে ফিরে যেতে বলেন। কাশ্যপ যোগবলে রাজার আয়ু শেষ হয়েছে জেনে অভীষ্ট ধন নিয়ে ফিরে যান। এরপর তক্ষকের উপদেশে তার কয়েকজন অনুচর ব্রাহ্মণের বেশে পরীক্ষিতের কাছে এসে ফল, কুশ ও জল দিয়ে বিদায় নেয়। তিনি অমাত্যগণের সঙ্গে ফল খেতে গিয়ে দেখেন ফলের ভিতর ক্ষুদ্র কৃষ্ণনয়ন তাম্রবর্ণ কীট। রাজা বুঝতে পারেন তাঁরতার মৃত্যুকাল আসন্ন। তাই তিনি কীটটিকে স্বেচ্ছায় গলার ভিতর রেখে হাসতে থাকেন। তখন [[তক্ষক]] নাগ নিজ রূপ ধারণ করে সগর্জনে তাঁকেতাকে দংশন করেন। মন্ত্রীগণ ভয়ে পলায়ন করেন, ফিরে এসে দেখেন রাজা বজ্রাহতের ন্যায় পড়ে আছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Maharaja Parikshit|ইউআরএল=http://www.dharmakshetra.com/sages/Parikshit.htm|সংগ্রহের-তারিখ=৭ মে ২০১৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060714153153/http://www.dharmakshetra.com/sages/Parikshit.htm|আর্কাইভের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==