কবীন্দ্র পরমেশ্বর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার কবি যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৫ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
কবীন্দ্র পরমেশ্বরের জীবন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায় না। ষোড়শ শতাব্দীতে [[গৌড়|গৌড়ের]] সুলতান [[আলাউদ্দিন হুসেন শাহ|আলাউদ্দিন হুসেন শাহের]] "লস্কর" (সেনাপতি) পরাগল খাঁ [[চট্টগ্রাম]] অধিকার করেন। গৌড়েশ্বর তাঁকেইতাকেই চট্টগ্রামের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। পরাগল খাঁ ছিলেন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি। তিনি হিন্দু [[পুরাণ|পুরাণের]] কাহিনী লোকমুখে শুনে উৎসাহিত হয়ে পরমেশ্বরকে এক দিনের মধ্যে শোনার উপযোগী করে বাংলায় ''মহাভারত'' রচনা করার নির্দেশ দেন:<ref name="blh">''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, ২০০২ পৃ. ১২০</ref>
{{cquote|এই সব কথা কহ সংক্ষেপ করিয়া।<br /> দিনেকে শুনিতে পারি পাঁচালি রচিয়া।।}}
 
মূল মহাভারতের মোট শ্লোক সংখ্যা এক লক্ষ, তা এক দিনে শোনা কার্যত অসম্ভব। তাই তাঁরতার উপরোধে পরমেশ্বর উক্ত মহাকাব্যের কাহিনী সংক্ষেপ করে ''পাণ্ডববিজয়'' কাব্য রচনা করেন:<ref name="blh" />
{{cquote|তাহার আদেশ মাল্য মস্তকে ধরিল।<br /> কবীন্দ্র পরম যত্নে পাঁচালি রচিল।।}}
২৭ নং লাইন:
 
== পাণ্ডববিজয় কাব্য ==
পরাগল খাঁ পৌরাণিক কাহিনীর অনুরাগী হলেও মুসলমান ছিলেন; তাই মহাভারতের জটিল দার্শনিক অংশ তাঁরতার ভাল নাও লাগতে পারে, এই কথা ভেবে কবীন্দ্র পরমেশ্বর শুধু মহাভারতের উপাখ্যানভাগ অতি সংক্ষিপ্ত আকারে অনুবাদ করেন। সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করলেও তিনি মহাভারতের কোনো অংশই বাদ দেননি। আবার অনুবাদ সংক্ষিপ্ত হওয়ার দরুন তিনি তাঁরতার কবিত্ব শক্তির যথাযথ প্রকাশের সুযোগও পাননি। যদিও স্থানে স্থানে তিনি যথাযথভাবে মূলানুগ অনুবাদই করেছিলেন।<ref name="bl" />
 
মহাভারত অনুবাদকালে পরমেশ্বরের সামনে নির্দিষ্ট কোন পূর্ব-আদর্শ বা মানদণ্ড ছিল না। তাই পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে সরল ভাষায় তাঁরতার কাব্য রচনা করেছিলেন। উচ্চমানের কবিত্বশক্তির পরিচয় দিতে না পারলেও, কাব্যটি নিকৃষ্ট মানের অবশ্যই নয়। কাব্যভাষার খানিক নমুনা নিচে দেওয়া হল:<ref name="bl" />
{{cquote|দ্রৌপদী বোলন্তে সৈরন্ধ্রী মোর নাম।<br /> দ্রৌপদীর পরিচর্যা কৈলু অনুপাম।।<br /> অন্তঃপুর নারী যত উত্তর না পাইল।<br /> সুদেষ্ণা দেবীএ তাকে সাদরে পুছিল।।<br /> সত্য কহ আহ্মাতে কপট পরিহরি।<br /> কি নাম তোমার কহ কাহার বরনারী।।<br /> দুই ঊরু গুরু তোর অতি সুললিত।<br /> নাহি গভীর তোমার বাক্য সুললিত।।<br /> দশন দাড়িম্ব বিজলী নয়ন।<br /> রাজার মহিষী যেন সর্ব সুলক্ষণ।।}}
 
পরমেশ্বর ছিলেন সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত রাজসভার কবি। তা সত্ত্বেও তাঁরতার কাব্যে পাণ্ডিত্যের আতিশায্য দেখা যায় না। তাঁরতার বাংলা তৎসম-বহুল। শ্রীকৃষ্ণের রূপবর্ণনা অংশে তিনি লিখেছেন:<ref name="blh" />
{{cquote|পরিধান পীতবাস কুসুম বসন।<br /> নব মেঘ শ্যাম অঙ্গ কমললোচন।।<br /> মেঘের বিদ্যুৎ তুল্য হসিত মুখেত।<br /> শংখচক্রগদাপদ্ম এ চারি করেক।।}}
 
তবে রাজসভার বাইরে তাঁরতার কাব্য বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি।<ref name="blh" />
 
== রচিত গ্রন্থ ==