নদিয়া জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৭ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
 
[[ভাগীরথী নদী|ভাগীরথী নদীর]] তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদিয়া [[হিন্দু]] ধর্মালম্বিদের জন্য একটি তীর্থস্থান। রাজা [[বল্লাল সেন]] নদিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন বাংলার হিন্দু রাজারা [[গৌড়|গৌড়ের]] পাশাপাশি নদিয়াতেও অবস্থান করতেন। রাজা [[বল্লাল সেন]] তার শাসনামলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাগীরথী নদীতে তীর্থস্নান করার উদ্দেশ্যে আসতেন। তিনি এই নদীর তীরে পঞ্চরত্ন নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২২ ও ১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপ ম্যাপে একই সময়ে খননকৃত একটি দীঘির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মুসলিম সেনাপতি [[ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী]] কর্তৃক বিজিত হওয়ার আগে অবধি নদিয়া বাংলার রাজধানী ছিল। নদীর পশ্চিম তীরে প্রাচীর বেষ্টিত একটি নগরীতে রাজপ্রাসাদ, হারেম, বাজার ও বাসস্থান ছিল। ধারণা করা হয় যে, [[তিব্বত]], [[নেপাল]] ও [[ভূটান|ভূটানের]] সাথে নদিয়ার বানিজ্যিকবাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। ১৮৬৯ সালে নদিয়া পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। [https://web.archive.org/web/20140429112025/http://www.banglapedia.org/HT/S_0423.htm] ইংরেজ আমলে অবিভক্ত নদিয়া জেলা [[কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা|কৃষ্ণনগর সদর]], [[রাণাঘাট]], [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া]], [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর]], [[চুয়াডাঙ্গা জেলা|চুয়াডাঙ্গা]] এই পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত ছিল। দেশভাগের পরে [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া]], [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর]], [[চুয়াডাঙ্গা জেলা|চুয়াডাঙ্গা]] এই তিনটি মহকুমা তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পাকিস্তান]] অন্তর্ভুক্ত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/271645-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE|শিরোনাম=ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কুষ্টিয়ার পূর্ববর্তী নাম নদীয়া|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ আগস্ট ২০১৭}}</ref>
 
== ভূগোল ==
৪৯ নং লাইন:
 
( নদিয়া জেলার নদনদী )
 
 
নদিয়া জেলার প্রধান নদনদীগুলি হল [[ভাগীরথী নদী|ভাগীরথী]], [[জলঙ্গী নদী|জলঙ্গী]], [[ভৈরব নদ|ভৈরব]], [[চুর্নী নদী|চূর্ণী]], [[মাথাভাঙ্গা নদী|মাথাভাঙা]] ও [[ইছামতি নদী|ইছামতী]] ইত্যাদি। এই জেলায় [[ভাগীরথী নদী|ভাগীরথীর]] দৈর্ঘ্য ১৮৭ কিলোমিটার। ভাগীরথীর বদ্বীপ প্রবাহে শেষ উপনদী হিসেবে যুক্ত হয়েছে মাথাভাঙা নদী। এরপর ভৈরব নদ ভাগীরথী থেকে নির্গত হয়ে জলঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। আরও দক্ষিণে ভাগীরথী থেকে নির্গত হয়েছে জলঙ্গী নদী (দৈর্ঘ্য ২০৬ কিলোমিটার)। এই অংশ বর্তমানে পলি পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। জলঙ্গী নদী উত্তর-পশ্চিমাংশে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ-পশ্চিম মুখে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর জেলার মাঝখান দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়ে [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] নিকট ভাগীরথী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। [[ভৈরব নদ]] বর্তমানে মৃতপ্রায়।
১০৯ ⟶ ১০৮ নং লাইন:
ভবতারণ শিবমন্দিরে একটি পাথরখণ্ডে পদ্মপাণি বুদ্ধমূর্তি খোদিত আছে। এছাড়া, 'অ্যালানে শিব' বা 'আলোকনাথ শিব' পালযুগের বৌদ্ধসংস্কৃতির ধারাকে বহন করে আসছে।
 
দিগনগরে [[নদিয়া রাজপরিবার]]-এর রাজা রাঘব রায়ের প্রতিষ্ঠিত 'রাঘবেশ্বর শিবমন্দির' (১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) আছে। শিবনিবাসে তাঁরতার প্রতিষ্ঠিত রাজরাজেশ্বর, রাজ্ঞীশ্বর, ও রামচন্দ্র নামে তিনটি দেবমূর্তি আছে।
 
রাজা [[কৃষ্ণচন্দ্র রায়]]-এর সময় থেকে তাঁরতার আদেশে নদিয়ায় বিশালাকারে দীপান্বিতা [[শ্যামাপূজা]]র প্রবর্তন ঘটে।
 
অগ্রদ্বীপে ঘোষঠাকুর প্রতিষ্ঠিত গোপীনাথ বর্তমান। চৈত্র একাদশীতে ঘোষঠাকুরের বাৎসরিক শ্রাদ্ধ উপলক্ষ্যে বিশাল মেলা বসে।
১২৯ ⟶ ১২৮ নং লাইন:
* [[চৈতন্য মহাপ্রভু|শ্রী চৈতন্যদেব]] (১৪৮৬-১৫৩৩) মহাপুরুষ সমাজসংস্কারক, [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব ধর্মের]] প্রবর্তক।
* [[কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ]] (জন্ম আনু. ১৬০০-১৬১০) [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] এক খ্যাতনামা তন্ত্র তথা কালীসাধক যিনি [[দক্ষিণাকালী|দক্ষিণাকালীর]] রূপকল্পনা করে বাংলার ঘরে ঘরে কালী পূজার প্রচলন করেন।
* [[রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ]] (জন্ম: ১৭৮৬ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৮৪৫) একজন আভিধানিক ও পণ্ডিত। তিনি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বাংলাভাষায় প্রথম অভিধান '''বঙ্গভাষাভিধান''' রচনা করেন। তিনি [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্মসমাজের]] সাথে যুক্ত ছিলেন।
* [[তারাশঙ্কর তর্করত্ন]] (?-১৮৫৮) ছিলেন উনিশ শতকের একজন লেখক যিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজের কৃতী ছাত্র ছিলেন।
* [[মদনমোহন তর্কালঙ্কার]] (১৮১৭-১৮৫৮) ভারতীয় উপমহাদেশের ঊনবিংশ শতাব্দীয় অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব যিনি [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণের]] অন্যতম অগ্রদূত হিসাবেও পরিগণিত।