রাশোমোন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta14)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৯ নং লাইন:
 
=== চরম পরিণতি ===
মন্দিরের ফটক বাড়িতে কাঠুরে, ধর্মপ্রচারক এবং সাধারণ লোকটির আলোচনা একটি বাচ্চার কান্নার শব্দে ব্যহত হয়। অসহায় নিঃস বাবা-মা ভরণ-পোষণের ভয়ে বাচ্চা ফেলে চলে গেছে। সাধারণ লোকটি বাচ্চার কিমোনো (এক ধরণেরধরনের কাপড়) এবং তাকে রক্ষার জন্য ঝুড়িতে রেখে দেয়া রুবি হাতিয়ে নেয়। একটি নিঃসহায় বাচ্চার জিনিসপত্র চুরি করতে দেখে রেগে যায় কাঠুরে। সে সাধারণ লোকটিকে বাধা দিতে উদ্যত হয়। ঠিক তখনই সাধারণ লোক মেয়েটির ড্যাগারের কথা জিজ্ঞাস করে কাঠুরেকে। কাঠুরে চুপ মেরে যায়। সাধারণ লোকটি দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে সত্য আবিষ্কার করে: মেয়েটির যে ড্যাগার দিয়ে খুন হয়েছিল সামুরাই সেই ড্যাগার চুরি করেছে কাঠুরে, তাহলে সেও চোর। হাসতে হাসতে সে কাঠুরেকে চড় মারে। বলে, পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর, সবাই সেরকম আচরণই করে যেরকম করলে তার সুবিধা হয়।
 
এতো মিথ্যা আর অনিষ্টের বর্ণনা শুনে ধর্মপ্রচারক মানুষের সদ্‌গুণের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, অবচেতন মনে এইসব ভাকতে থাকে সে। কাঠুরে যখন ধর্মপ্রচারকের কোলের বাচ্চার দিকে হাত বাড়ায় তখনই চেতন ফিরে আসে তার। প্রথমে বাচ্চাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে সে কাঠুরের উদ্দেশ্যে বলে, "তুমি কি বাচ্চার বাকি জিনিসপত্রও নিয়ে নিতে চাও?" কাঠুরে জানায়, ঘরে তার ৬টি বাচ্চা আছে। আরেকটি যোগ হলে জীবনে তেমন কঠিন কিছুই হবে না। এই সাধারণ কথাটি কাঠুরের গল্প এবং তার চুরির কাহিনীকে সম্পূর্ণ নতুন এক আলোয় উদ্ভাসিত করে। ধর্মপ্রচারক বলে, এই কথাটি শোনার কারণে সে মানুষের সদ্‌গুণের উপর আস্থা স্থাপন করে যেতে পারবে। একটু আগেই বৃষ্টি থেমে গেছে। কাঠুরে বাচ্চা কোলে বাড়ির দিকে যাচ্ছে, এই দৃশ্য দিয়েই ছবিটি শেষ হয়। এর সাথে দেখানো হয়, মেঘ ঠেলে দিয়ে সূর্য দেখা দিয়েছে। ছবির শুরুতে যেখানে আধো অন্ধকারের আবহ ছিল সেখানে এখন পূর্ণ আলোয় ভেসে যাচ্ছে বিশ্ব চরাচর।