মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tosikul bd (আলোচনা | অবদান)
Tag correction
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৩ নং লাইন:
 
ঘোষণাপত্রটি স্বাধীনতা ঘোষণার মৌলিক উদ্দেশ্য পূরণ করে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রসঙ্গে এটি রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
[[আব্রাহাম লিংকন]] ঘোষণাপত্রটিকে তার বিখ্যাত ভাষণ(যেমনটি [[গেটিসবুর্গ ভাষণ|গেটিসবু্র্গ ভাষণে]]) ও নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেন। তারপর থেকে ঘোষণাটি বিশেষ করে এর দ্বিতীয় বাক্যটি<ref><blockquote>We hold these truths to be self-evident, that [[all men are created equal]], that they are endowed by their Creator with certain unalienable Rights, that among these are [[Life, Liberty and the pursuit of Happiness]].</blockquote></ref> মানবাধিকারের উপর একটি সুপরিচিত উক্তিতে পরিনত হয়। এটিকে ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে সুপরিচিত উক্তিসমূহের মধ্যে একটি বলা হয়ে থাকে<ref>Stephen E. Lucas, "Justifying America: The Declaration of Independence as a Rhetorical ", in Thomas W. Benson, ed., ''American Rhetoric: Context and Criticism'', Carbondale, Illinois: Southern Illinois University Press, ১৯৮৯, ৮৫ পৃষ্ঠা</ref> যা আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও অনুবর্তী শব্দসমূহ ধারণ করে<ref>Ellis, ''American Creation'', ৫৫-৫৬ পৃষ্ঠা।</ref>। বাক্যটি একটি নৈতিক মান নির্দেশ করে বলে ধরে নেয়া হয় যা অর্জনের জন্য [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রকে]] সর্বাত্নক সংগ্রাম করতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি [[আব্রাহাম লিংকন]] কর্তৃক উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসার লাভ করে যিনি ঘোষণাপত্রটিকে তাঁরতার রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করেন এবং যুক্তি দেখান যে ঘোষণাটিতে বিবৃত নীতিমালার আলোকে [[যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান]] ব্যাখ্যা করা উচিত<ref name="McPherson126">McPherson, ''Second American Revolution'', ১২৬।</ref>।
'''আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র''' বিভিন্ন দেশের আরো অনেক সমশ্রেণীর দলিল প্রণয়নে অনুপ্রেরণা যোগায় এবং এর ধারণাসমূহ পরবর্তী সময়ে [[ক্যারিবিয়ান]], [[স্প্যানিশ আমেরিকা]], [[বলকান]], [[পশ্চিম আফ্রিকা]], [[মধ্য ইউরোপ]] সহ অন্যান্য দেশে ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত অনুসৃত হয়<ref>David Armitage, ''The Declaration of Independence: A Global History'' (Harvard University Press, 2007) পৃষ্ঠা ১০৩-১০৪।</ref>
 
৪২ নং লাইন:
{{quote|text=বিশ্বাস করুন, জনাব: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে এমন কোনো লোক নেই যিনি আমার চেয়ে আন্তরিকভাবে গ্রেট ব্রিটেনের সাথে জোটকে ভালবাসে। কিন্তু, স্রষ্টার শপথ যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রস্তাবিত শর্তে এমন একটি সম্পর্ক মেনে নেওয়ার পূর্বে আমার যেন মরণ হয়; এবং এর মাধ্যমে, আমি মনে করি, আমেরিকার অনুভূতিই প্রকাশ করি।|sign=[[থমাস জেফারসন]], নভেম্বর ২৯, ১৭৭৫<ref>Hazelton, ''Declaration History'', ১৯।</ref>}}
 
১৭৭৬ সালের জুলাইতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার সময়, [[তের উপনিবেশ]] ও [[গ্রেট ব্রিটেন]] এক বছরেরও বেশি সময় পরস্পরের সাথে যুদ্ধরত ছিল। ১৭৬৩ সাল থেকেই উপনিবেশসমূহ এবং মাতৃদেশের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছিল। [[ব্রিটিশ পার্লামেন্ট]] উপনিবেশসমূহ থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহনগ্রহণ করে যেমন ১৭৬৫ সালের স্ট্যাম্প অ্যাক্ট ও ১৭৬৭ সালের টাউনশেন্ড অ্যাক্টস। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মনে করেছিল এসব পদক্ষেপ উপনিবেশসমূহকে [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে]] রাখতে তাদেরকে তাদের নায্য হিস্যা প্রদানে বাধ্য করার বৈধ পন্থা<ref>Christie and Labaree, ''Empire or Independence'', ৩১।</ref>।
 
তথাপি অনেক ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা পোষণ করে। উপনিবেশসমূহের পার্লামেন্টে সরাসরি কোন প্রতিনিধিত্ব ছিল না। ঔপনিবেশিকরা যুক্তি দেখায় যে তাদের উপর কর আরোপের কোন অধিকার পার্লামেন্টের ছিল না। কর বিতর্ক মূলত [[ব্রিটিশ সংবিধান|ব্রিটিশ সংবিধানের]] ব্যাখ্যা ও উপনিবেশসমূহের উপর পার্লামেন্টের কর্তৃত্বের সীমা নিয়ে বিরাজমান মতানৈক্যেরই অংশ ছিল<ref>Bailyn, ''Ideological Origins'', পৃ:১৬২</ref>। ১৬৮৮ সালের [[গৌরবময় বিপ্লব]] থেকে প্রচলিত সনাতন ব্রিটিশ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে পার্লামেন্ট-ই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। সুতরাং সংঙ্গানুসারে পার্লামেন্ট যা করে তা-ই সাংবিধানিক<ref>Bailyn, ''Ideological Origins'', পৃ:২০০-০২</ref>। তদসত্তেও উপনিবেশসমূহে এ ধারণা তৈরি হয় যে [[ব্রিটিশ সংবিধান]] কতিপয় [[মৌলিক অধিকার]] স্বীকার করে যা কোন সরকার এমনকি পার্লামেন্টও লঙ্ঘন করতে পারে না<ref>Bailyn, ''Ideological Origins'', পৃ:১৮০-৮২</ref>। টাউনশেন্ড অ্যাক্টস পাসের পর কতিপয় লেখক উপনিবেশসমূহের উপর পার্লামেন্টের আদৌ কোন বৈধ কর্তৃত্ব আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন<ref>Middlekauff, ''Glorious Cause'', পৃ:২৪১</ref>। [[ব্রিটিশ কমনওয়েলথ|ব্রিটিশ কমনওয়েলথের]] পরিকল্পনা<ref>Bailyn, ''Ideological Origins'', পৃ: ২২৪-২৫।</ref> অনুমান করে ১৭৭৪ সালে কতিপয় মার্কিন লেখক যেমন- [[স্যামুয়েল অ্যাডামস]], [[জেমস উইলসন]], [[থমাস জেফারসন]] তর্ক করেন যে পার্লামেন্ট শুধুমাত্র গ্রেট ব্রিটেনের আইনসভা এবং উপনিবেশসমূহ, যাদের নিজেদের আইনসভা আছে, শুধুমাত্র রাজার প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত<ref>Middlekauff, ''Glorious Cause'', ২৪১-৪২। The writings in question include Wilson's ''Considerations on the Authority of Parliament'' and Jefferson's ''A Summary View of the Rights of British America'' (উভয়ই ১৭৭৪), as well as Samuel Adams's ১৭৬৮ Massachusetts Circular Letter।</ref>।