০ (সংখ্যা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৬ নং লাইন:
}}
 
'''০''' (উচ্চারণ: শূন্য) হলো একাধারে একটি সংখ্যা এবং অঙ্ক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Principles of mathematics|সংস্করণ=2|প্রথমাংশ১=Bertrand|শেষাংশ১=Russel|প্রকাশক=Forgotten Books|বছর=1942|আইএসবিএন=1-4400-5416-9|পাতা=125|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=63ooitcP2osC}}, [http://books.google.com/books?id=63ooitcP2osC&pg=PA125 Chapter 14, page 125]</ref> এটি এককভাবে মানের অস্তিত্বহীনতা ও অন্যান্য সংখ্যার পিছনে বসে তাদের যুত পরিচয় প্রদান করে। এছাড়াও দশমিকের ডানে বসে এটি বিভিন্ন সংখ্যার দশমাংশ প্রকাশ করে। অঙ্ক হিসেবে ০ (শূন্য) একটি নিরপেক্ষ অংকঅঙ্ক এবং সংখ্যার স্থানধারক হিসেবে কাজ করে।।শূন্য(০) একটি স্বাভাবিক পূর্ণ সংখ্যা।
 
==উৎপত্তি==
ইংরেজিতে জিরো (ইং: ''zero'') শব্দটি এসেছে [[ভেনিস|ভেনিশিয়]] শব্দ জিরো (''zero'') থেকে যা আবার [[ইতালি|ইতালিয়]] জিফাইরো (''zefiro'' জেফিরো) থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছিল। ইতালীয় জিফাইরো শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ "সাফাইর" বা "সাফাইরা" (صفر) থেকে যার অর্থ "সেখানে কিছু ছিল না"। এই শব্দটি প্রথমে [[ভারত|ভারতীয়]] [[সংস্কৃত]] হতে অনুদিত হয়েছে।সংস্কৃত শব্দ শ্যুন্যেয়া (শ্যূন্য) যার অর্থ খালি বা ফাঁকা। ইংরেজি শব্দ জিরোর প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে।খ্রিষ্টাব্দে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Number words and number symbols: a cultural history of numbers |প্রথমাংশ১=Karl |শেষাংশ১=Menninger |প্রকাশক=Courier Dover Publications |বছর=1992 |আইএসবিএন=0-486-27096-3 |পাতা=401 |ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=BFJHzSIj2u0C}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="zero, n.". OED Online. December 2011. Oxford University Press. (accessed March 04, 2012).|ইউআরএল=http://www.oed.com/view/Entry/232803?rskey=zGcSoq&result=1&isAdvanced=false|কর্ম=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131206221902/http://www.oed.com/view/Entry/232803?rskey=zGcSoq&result=1&isAdvanced=false|আর্কাইভের-তারিখ=ডিসেম্বর ৬, ২০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ|সংগ্রহের-তারিখ=2012-03-04}}</ref><ref>[http://www.oed.com/view/Entry/33155 "cipher | cypher, n.". OED Online. December 2011. Oxford University Press. (accessed 4 March 2012).]</ref><ref>[http://www.merriam-webster.com/dictionary/zero Merriam Webster online Dictionary]</ref>
 
৯৭৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে [[পারস্য|পারস্যের]] মুসলিম বিজ্ঞানি [[আল খোয়ারিজমি|মোহাম্মদ ইবন আহমাদ আল-খাওয়ারিজমি]] তাঁরতার বিজ্ঞানগ্রন্থ "বিজ্ঞানের চাবি"-তে বলেন, {{cquote|যে গাণিতিক হিসাবের সময় যদি দশকের ঘরে কোন সংখ্যা না থাকে তাহলে সামঞ্জস্য রাখার জন্য একটি ছোট্ট বৃত্ত দিয়ে তা পূরণ করা যেতে পারে।}} সেই ছোট বৃত্তকে তিনি সিফার (صفر) নামে অবিহিত করেন। তার উল্লিখিত এই সিফারই বর্তমান যুগের জিরো বা শূন্য।<ref name="Durant">[http://www.archive.org/details/ageoffaithahisto012288mbp Will Durant, '' 'The Story of Civilization''', Volume 4, '''The Age of Faith''', pp. 241.]</ref>
 
==ইতিহাস==
===প্রাচীন মিশর===
প্রাচীন মিশরীয় সংখ্যাগুলো ছিল দশ ভিত্তিক। তাদের সংখ্যাগুলো স্থানভিত্তিক না হয়ে চিত্র ভিত্তিক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭৪০ সালের দিকে মিশরিয়রা আয়কর ও হিসাবরক্ষণের জন্য শূন্যের ব্যবহার করত। তাদের চিত্রলিপিতে একটি প্রতীক ছিল যাকে "নেফর" বলা হতো, যার অর্থ হল "সুন্দর"। এই প্রতীকটি তাঁরাতারা শূন্য এবং দশকের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করত। প্রাচীন [[মিশরীয় পিরামিড]] ও অন্যান্য স্থাপনায় এধরনের সংখ্যার ব্যবহার পাওয়া যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|পাতা=86 |শিরোনাম=The Crest of the Peacock: Non-European Roots of Mathematics (Third Edition) |লেখক=George Gheverghese Joseph|আইএসবিএন=978-0-691-13526-7 |প্রকাশক=Princeton |বছর=2011}}</ref>
 
===মেসোপটেমীয় সভ্যতা===
৪৩ নং লাইন:
 
===ভারত===
শূন্যকে (শ্যূন্য) কোন সংকেত বা প্রতীক হিসেবে ব্যবহার না-করে সরাসরি সংখ্যা হিসেবে সফলভাবে ব্যবহারের অবিমিশ্র কৃতিত্ব প্রাচীন [[ভারত|ভারতীয়]] গণিতবিদদের। খৃষ্টপূর্ব নবম শতাব্দীর দিকে ভারতে বাস্তব সংখ্যা দ্বারা হিসাব নিকাশ করার সময় শ্যূন্য ব্যবহৃত হত। এমনকি শ্যূন্যকে ব্যবহার করে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগও করা হত।<ref name="bourbaki46">Bourbaki, Nicolas (1998). ''Elements of the History of Mathematics''. Berlin, Heidelberg, and New York: Springer-Verlag. 46. {{আইএসবিএন|3-540-64767-8}}.</ref><ref name="ebcal">''Britannica Concise Encyclopedia'' (2007), entry ''algebra''</ref> খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে ভারতীয় গণিতবিদ [[পিঙ্গলা]] "বাইনারি সংখ্যা" দিয়ে হিসাব-নিকাশ করার পদ্ধতি বের করেন। তিনি একটি ছোট অক্ষর এবং একটি বড় অক্ষরের সমন্বয়ে তা করতেন যা আধুনিক কালের [[মোর্স কোড|মোর্স কোডের]] মত।<ref>[http://home.ica.net/~roymanju/Binary.htm Binary Numbers in Ancient India]</ref><ref>[http://www.sju.edu/~rhall/Rhythms/Poets/arcadia.pdf Math for Poets and Drummers] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120616225617/http://www.sju.edu/~rhall/Rhythms/Poets/arcadia.pdf |তারিখ=১৬ জুন ২০১২ }} (pdf, 145KB)</ref> তাঁরতার সমসাময়িক গণিতবিদরা সংস্কৃত শব্দ ''শ্যূন্যেয়া'' থেকে বাংলা শূন্য শব্দটি গ্রহণ করেন।
 
ভারতীয় উপমহাদেশের গণিতবিদ [[আর্যভট্ট|আর্যভট্টের]] একটি বই-এ পাওয়া যায়, '' স্থানম স্থানম দশ গুণম।''এখানে হয়তবা তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন, স্থানে স্থানে দশ গুণের কথা। তবে এখানেও শুন্যের কথা লুকায়িত ছিল। শেষ পর্যন্ত শুন্যকে সংখ্যার পরিচয় দেন [[ব্রহ্মগুপ্ত]]। তার ''ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত'' নামক বই-এ প্রথম শুন্যকে সংখ্যা হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। শূন্যের সাথে যোগ , বিয়োগ , গুণের কথা এই বই-এ সঠিকভাবে দেয়া হয়। এছাড়া মহাবীর এবং ভাস্কর শুন্য নিয়ে কাজ করেন। তবে দুঃখের বিষয় এদের কেউ শুন্য দিয়ে কোন কিছু ভাগের কথা উল্লেখ করেনি।