ভদ্রলোক (শ্রেণি): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
'''ভদ্রলোক''' {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=September 2018}} ( {{Lang-bn|ভদ্রলোক}} {{Lang|bn|bhôdrôlok}} , আক্ষরিক অর্থেই 'ভালো মানুষ', 'ভদ্র আচরণের ব্যক্তি') [[বাংলা ভাষা|বাংলায়]] [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ]] ঔপনিবেশিক [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|সময়কালে]] (আনুমানিক ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ) গড়ে ওঠা 'ভদ্র সম্প্রদায়' হল নতুন শ্রেণির [[বঙ্গ|বাঙালি]] ।
 
== বর্ণ এবং শ্রেণি গঠন ==
১৮ নং লাইন:
 
== জনপ্রিয় সংস্কৃতি ==
[[শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] এবং [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] উপন্যাস ও গল্পসহ জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যে বহুলভাবে এই ভদ্রলোক শ্রেণির উল্লেখ পাওয়া যায়। উনিশ শতকে [[কালীপ্রসন্ন সিংহ]] তার বিখ্যাত বই হুতোম প্যাঁচার নকশায় তৎকালীন ভদ্রলোক শ্রেণির সর্বাধিক পরিচিত ভণ্ডামি ও সামাজিক ধারণাকে ব্যঙ্গ করেছিলেন। বাংলা ব্যান্ড [[চন্দ্রবিন্দু (ব্যান্ড)|চন্দ্রবিন্দু]] ১৯৯০ থেকে ২০০০ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের দশকে তাদের 'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি', 'অমর মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেম', 'আমরা বাঙালি জাতি' এবং অন্যান্য বিভিন্ন গানে ভদ্রলোক সমাজের কপট আচরণগুলো তুলে এনেছিল।
 
== অর্থনীতি ==
কেম্ব্রিজের দক্ষিণ এশিয়ার আধুনিক ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক তথা ট্রিনিটি কলেজের ফেলো জয়া চ্যাটার্জিও অন্যান্যদের মধ্যে ভদ্রলোক শ্রেণির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন যে, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে ভারতের স্বাধীনোত্তরকালে [[পশ্চিমবঙ্গ]] অঙ্গরাজের অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের জন্যে তারা-ই দায়ী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://frontline.thehindu.com/static/html/fl2605/stories/20090313260508100.htm|শিরোনাম=Bengal’s sorrow|ওয়েবসাইট=frontline.thehindu.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-08}}</ref> তিনি তার 'দ্য স্পইলস অফ পার্টিশন' <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/816808562|শিরোনাম=The spoils of partition : Bengal and India, 1947-1967|শেষাংশ=Chatterji, Joya.|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|পাতাসমূহ=317|আইএসবিএন=9780521188067|oclc=816808562}}</ref> বইতে লিখেছেন: <blockquote> ব্যাপারটা এরকম যে, বঙ্গদেশ ভাগ তাদের হতাশ করেছিল, যেসব গোষ্ঠীগুলো তাঁদের পরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্য অনুযায়ী এটা দাবি করে। কী কারণে তাদের কৌশল এরকম সর্বনাশাভাবে বিফল হয়েছে যা নিঃসন্দেহে এর প্রভাবের শেষ কণাগুলি মুছে যাওয়ার অনেক পর থেকেই বঙ্গ ভদ্রলোক দ্বারা বিতর্ক তৈরি করবে। এর মধ্যেই বহু অজুহাত খাড়া করা হয়েছে এবং নানাভাবে অন্যের জন্যে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং পরিষ্কার হওয়া দরকার। কিন্তু আংশিক ব্যাখ্যাটা ছিল সম্ভবত এরকম: তাদের সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বে নিজেদের আত্মবিশ্বাস এবং রাজনীতির জন্যে তাদের অনুমিত প্রতিভায় বঙ্গ ভদ্রলোক নেতারা বঘোরে বিষয়গুলির ভুল বিচার করেছিলেন কারণ, সত্যি বলতে কী, তাঁরা একটা রাজনৈতিক শ্রেণি হিসেবে গভীরভাবে অনভিজ্ঞ ছিলেন। একমত হওয়া যায় যে, তাঁরা উচ্চ শিক্ষিত এবং কোনোক্রমে বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন হলেও কিন্তু তাঁরা বঙ্গ রাজনীতি কিংবা এখানকার অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ায় মতো অবস্থান কখনোই দখল পারেননি। তাঁদেরকে নীতি তৈরি করতে নয় তা কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছিল। তাঁরা জমিতে ব্যয় করে উপার্জন করত, কিন্তু কৃষিকাজে কোন ব্যবসায়ের সংগঠন করেননি। তত্ত্ববিশারদ অথবা ব্যবহারজীবী হিসেবেই হোক কিংবা দোকানদানি বা খেতখামারই হোক, তাঁরা উৎপাদন ও বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্বন্ধে সামান্য বুঝতেন। সবার ওপর, জনগণের শাসন ও কর নেওয়ার সূক্ষ্ম পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা বা কম ছিল। তাঁরা যেমন বিশ্বাস করতে পছন্দ করত সেই অগ্রগামী থাকার চেয়েও অনেক দূরে, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বঙ্গের ভদ্রলোক পিছনে-তাকানো অতীত আঁকড়ে থাকা গোষ্ঠী, পুরোনো অনুমানের চক্করে আটকা পড়েছিল এবং এজন্যে তাঁরা একক মনোভাবে নিজের সংকীর্ণ উদ্দেশ্যে মন দিয়েছিল যে, বৃহত্তর ছবি এবং তাঁদের চারপাশে যে বড়ো পরিবর্তনগুলি ঘটেছিল তাতে তাঁরা অন্ধ ছিল। </blockquote>
 
== আরো দেখুন ==