কৃষ্ণচন্দ্র রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
'''কৃষ্ণচন্দ্র রায়''' ([[১৭১০]] – [[১৭৮২]]) ছিলেন [[নদিয়া জেলা|নদিয়ার]] মহারাজা।<ref name="Rodrigues2003">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Rodrigues|প্রথমাংশ=Hillary|শিরোনাম=Ritual Worship of the Great Goddess: The Liturgy of the Durga Puja with Interpretations|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=onyaEhwhJBUC&pg=PA20|বছর=2003|প্রকাশক=SUNY Press|আইএসবিএন=978-0-7914-8844-7|পাতা=20}}</ref> [[বাংলা সাহিত্য]], বাংলার সংস্কৃতি ও [[বাঙালি]] [[হিন্দু|হিন্দুসমাজের]] ইতিহাসে তাঁরতার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। [[নদীয়া রাজপরিবার|নদিয়া রাজপরিবারের]]<nowiki/> শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসেবে পরিগণিত। তিনি বিদ্বান, [[সংস্কৃত]] ও [[ফার্সি]] ভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। তীব্র রক্ষণশীল রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার [[রামপ্রসাদ সেন]], [[অন্নদামঙ্গল কাব্য]] প্রণেতা [[ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর]], হাস্যরসিক [[গোপাল ভাঁড়]] প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। [[অন্নদামঙ্গল]] কাব্য তারই রাজসভার ফরমাসে রচিত হয়। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটে।
 
কৃষ্ণচন্দ্র রায় ছিলেন একজন কূটকৌশলী ব্যক্তি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হলে তিনি ইংরেজদের পক্ষ অবলম্বন করেন। পরবর্তি নবাব [[মীর কাশিম|মীর কাশিমের]] সময় তাকে বন্দী করা হয়। ইংরেজদের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি লাভ করেন। কোম্পানি সরকার তার আনুগত্যের জন্য মহাজারা উপাধিতে ভূষিত করেন। <ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE_%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=জানুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}/বাংলাপিডিয়া</ref>
 
== উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ==
বাংলায় [[জগদ্ধাত্রী|জগদ্ধাত্রী পূজা]] ও [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপে]] [[রাস যাত্রা|শাক্তরাস]] প্রচলন তারই কৃতিত্ব। জনশ্রুতি অনুসারে বাংলার নবাব [[আলীবর্দী খান]]কে রাজকর দিতে না পারায় কারাগারে বন্দি হয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র ১৭৫৪ সালে। সময়টা ছিল দুর্গোৎসবের কাছাকাছি। নবাবের কারাগার থেকে অবশেষে তিনি যখন মুক্ত হলেন তখন দুর্গোৎসব প্রায় সমাপ্ত, [[কৃষ্ণনগর]] ফেরার পথে রাজা বুঝলেন, সে দিন বিজয়া দশমী। রাজা নৌকার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং সেখানেই স্বপ্নে দেখেছিলেন যে এক রক্তবর্ণা চতুর্ভুজা কুমারী দেবী তাঁকেতাকে বলছেন আগামী কার্তিক মাসের শুক্লানবমী তিথিতে তাঁরতার পুজো করতে। ফলে প্রচলন হয় জগদ্ধাত্রী পূজার। এর পরের বছর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজার প্রচলন হয় তার সুহৃদ ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরীর হাত দিয়ে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.anandabazar.com/state/ক-ষ-ণচন-দ-র-ও-জগদ-ধ-ত-র-প-জ-1.82836|শিরোনাম=কৃষ্ণচন্দ্র ও জগদ্ধাত্রী পুজো|শেষাংশ=বিভূতিসুন্দর ভট্টাচার্য|প্রথমাংশ=|তারিখ=১ নভেম্বর, ২০১৪|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=আনন্দবাজার পত্রিকা|সংগ্রহের-তারিখ=০৫.০১.২০১৭}}</ref>। এছাড়াও, মালোপাড়া বারোয়ারি জগদ্ধাত্রীর (মা জলেশ্বরী) প্রতিমার পূজার সূচনা করেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র।
 
== তথ্যসূত্র ==