কামসূত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
৩টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
'''''কামসূত্র''''' ({{lang-sa|कामसूत्र}} বা '''''কামসূত্রম''''' {{audio|kamasutra.ogg|pronunciation}}, {{IAST|Kāmasūtra}}) [[প্রাচীন ভারত|প্রাচীন ভারতীয়]] পণ্ডিত [[বাৎস্যায়ন|মল্লনাগ বাৎস্যায়ন]] রচিত [[সংস্কৃত সাহিত্য|সংস্কৃত সাহিত্যের]] একটি প্রামাণ্য [[মানব যৌনাচার]] সংক্রান্ত গ্রন্থ। গ্রন্থের একটি অংশের উপজীব্য বিষয় হল [[যৌন সঙ্গম|যৌনতা]] সংক্রান্ত ব্যবহারিক উপদেশ।<ref>[http://www.indrasinha.com/kamasutra.html Common misconceptions about ''Kama Sutra''.] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929074510/http://www.indrasinha.com/kamasutra.html |তারিখ=২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }} "The ''Kama Sutra'' is neither exclusively a sex manual nor, as also commonly believed, a sacred or religious work. It is certainly not a [[Tantra|tantric]] text. In opening with a discussion of the three aims of ancient Hindu life – [[dharma]], [[artha]] and [[kama]] – [[Vātsyāyana|Vatsyayana's]] purpose is to set kama, or enjoyment of the senses, in context. Thus dharma or virtuous living is the highest aim, artha, the amassing of wealth is next, and kama is the least of three." —[[Indra Sinha]].</ref> গ্রন্থটি মূলত গদ্যে লিখিত; তবে [[অনুষ্টুপ]] ছন্দে রচিত অনেক পদ্যাংশ এতে সন্নিবেশিত হয়েছে। ''কাম'' শব্দের অর্থ ইন্দ্রিয়সুখ বা [[মানব যৌনতা|যৌন]] আনন্দ; অপরদিকে ''সূত্র'' শব্দের আক্ষরিক অর্থ সুতো বা যা একাধিক বস্তুকে সূত্রবদ্ধ রাখে। ''কামসূত্র'' শব্দটির অর্থ তাই পুস্তকের আকারে এই জাতীয় উপদেশমালার গ্রন্থনা। এতে রমণীদের জন্য প্রযোজ্য [[চৌষট্টি কলা]] বিবৃত হয়েছে।
 
''[[কামশাস্ত্র]]'' সাহিত্যধারার প্রাচীনতম ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল ''কামসূত্র''।<ref>For Kama Sutra as the most notable of the kāma śhāstra literature see: Flood (1996), p. 65.</ref> হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে [[শিব|শিবের]] দ্বাররক্ষক [[নন্দী]] কামশাস্ত্রের আদিরচয়িতা। তিনি শিব ও তাঁরতার পত্নী [[পার্বতী]]র রমণকালে উচ্চারিত পবিত্র বাণী শুনে মুগ্ধ হন। পরে মানবজাতির কল্যাণার্থে সেই বাণী লিখে রাখেন।<ref>For Nandi reporting the utterance see: p. 3. Daniélou, Alain. ''The Complete Kama Sutra: The First Unabridged Modern Translation of the Classic Indian Text''. Inner Traditions: 1993. {{আইএসবিএন|0-89281-525-6}}.</ref>
 
ঐতিহাসিক [[জন কেই]] মনে করেন, ''কামসূত্র'' একটি সারগ্রন্থ যা খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে তার বিভিন্ন রচনাসূত্র থেকে সংকলিত হয়ে তার বর্তমান রূপটি লাভ করে।<ref>For the ''Kama Sutra'' as a compilation, and dating to second century CE, see: Kkgeay, pp. 81, 103.</ref>
৪১ নং লাইন:
প্রথম তিনটির মধ্যে ধর্ম সর্বোচ্চ লক্ষ্য। দ্বিতীয়টি জীবনের নিরাপত্তা ও শেষেরটি সুখের জন্য প্রয়োজনীয়। উদ্দ্যেশ্যের মধ্যে বিরোধ ঘটলে শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্যটি অনুসরণ করা উচিত। তাই অর্থোপার্জনের জন্য ধর্মত্যাগ বা সুখের জন্য অর্থোপার্জনের পন্থাটিকে উপেক্ষা করা অনুচিত। যদিও এর ব্যতিক্রম আছে।
 
বাৎস্যায়নের মতে, শিশুকালেই এক ব্যক্তির অর্থোপার্জনের উপায় শিক্ষা করা উচিত। যৌবন আনন্দ উপভোগের কাল। বয়স অতিবাহিত হলে তাঁরতার ধর্মকর্মে মনোসংযোগ করে মোক্ষলাভের উপায় চিন্তা করা উচিত।<ref>Book I, Chapter ii, Lines 2-4 ''Vatsyayana Kamasutram'' Electronic Sanskrit edition: Titus Texts, University of Frankfurt'' {{IAST|bālye vidyāgrahaṇādīn arthān, kāmaṃ ca yauvane, sthāvire dharmaṃ mokṣaṃ ca}}</ref>
 
[[গৌতম বুদ্ধ]]ও একটি ''কামসূত্র'' শিক্ষা দিয়েছেন। এটি [[অত্থকবগ্গ]] গ্রন্থের প্রথম সূত্রে পাওয়া যায়। এই ''কামসূত্র'' অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। এখানে বুদ্ধ ইন্দ্রিয়সুখের অনুসন্ধান কত ভয়ানক হতে পারে তা শিখিয়েছেন।
৫০ নং লাইন:
[[চিত্র:Lamairesse - Kama Sutra.djvu|left|200px]]
 
''কামসূত্র'' গ্রন্থের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ইংরেজি অনুবাদটি ১৮৮৩ সালে ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশিত হয়। এই অনুবাদটি বিশিষ্ট [[প্রাচ্যবিদ্যা|প্রাচ্যবিদ]] ও লেখক স্যার [[রিচার্ড ফ্রান্সিস বার্টন|রিচার্ড ফ্রান্সিস বার্টনের]] নামাঙ্কিত। তবে বার্টনের বন্ধু ইন্ডিয়ান সিভিল সারভেন্ট [[ফস্টার ফিজগেরাল্ড আর্বুটনট|ফস্টার ফিজগেরাল্ড আরবুটনটের]] নির্দেশনায় মূল কাজটি করেছিলেন অগ্রণী ভারতীয় পুরাতত্ত্ববিদ [[ভগবানলাল ইন্দ্রজি]]। এই কাজে তাঁকেতাকে সহায়তা করেন শিবরাম পরশুরাম ভিদে নামক তাঁরতার এক ছাত্র।<ref>McConnachie (2007), pp. 123–125.</ref> বার্টন এই অনুবাদের প্রকাশের কাজটি করেন। এছাড়া একাধিক পাদটীকা সন্নিবেশিত করে তিনি গ্রন্থটির সম্পাদনাও করেছিলেন। তাঁরতার সম্পাদনার ভাষা ছিল একাধারে রসিকতা ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ। ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন:
 
<blockquote>
৫৮ নং লাইন:
এই গ্রন্থের বিভিন্ন প্রতিলিপির সঙ্গে তুলনা করার পর সহকারী প্রতিলিপিটি আমি নিজে সংশোধন করেছি। প্রথম পাঁচটি খণ্ডের সংশোধনের কাজে সাহায্য করেছে ‘জয়মঙ্গল’ নামক টীকাটি। কিন্তু অবশিষ্ট কাজটি বেশ জটিল আকার নেয়। একটি প্রতিলিপি মোটামুটি সঠিক হলেও, অন্যগুলি প্রায় পুরোটাই ছিল ভুলে ভরা। যাই হোক, যে অংশটি একাধিক ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে, সেইটিই সঠিক বলে গ্রহণ করেছি।</blockquote></blockquote>
 
তাঁরতার নিজের অনুবাদের ভূমিকায় [[শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়|শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ধর্মীয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা [[ওয়েন্ডি ডনিগার]] লিখেছেন, "managed to get a rough approximation of the text published in English in 1883, nasty bits and all"। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইন্দোলজির ভাষাতাত্ত্বিক ও সংস্কৃতবিদ অধ্যাপক ক্লোডুইগ ওয়েরবা মনে করেন ১৮৮৩ সালে অনুবাদের স্থান ১৮৯৭ সালের রিচার্ড সিমিড প্রকাশিত আকাদেমিক জার্মান-লাতিন গ্রন্থের পরে।<ref>McConnachie (2007), p. 233.</ref>
 
ওয়েন্ডি ডনিগার ও [[হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়|হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সেন্টার ফর স্টাডি অফ ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নের ভারতীয় মনোবিশ্লেষক ও সিনিয়র ফেলো [[সুধীর কক্কড়]] অনূদিত ইংরেজি অনুবাদটিই এই গ্রন্থের প্রামাণ্য অনুবাদ। ২০০২ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে এটি প্রকাশিত হয়। ডনিগার সংস্কৃত বিষয়বস্তু সম্পাদনা করেন এবং কক্কড় গ্রন্থের মনোবিশ্লেষণী ব্যাখ্যা দেন।<ref>McConnachie (2007), p. 232.</ref>
৬৮ নং লাইন:
* গ্রন্থপাদটীকা রূপে দেবদত্ত শাস্ত্রীর আধুনিক [[হিন্দি]] টীকা
 
ড্যানিলো<ref>Stated in the translation's preface</ref> [[ব্রাহ্মণ]] ছাড়া সকল সংস্কৃত শব্দের ইংরেজিতে আক্ষরিক অনুবাদ করেছিলেন। তিনি যৌনাঙ্গের নামের বিষয়ে মূলের সূত্র ত্যাগ করেন। গ্রন্থের পুরনো অনুবাদগুলিতে যেভাবে "[[লিঙ্গম]] " বা "[[যোনি]] " কথাদুটি ব্যবহৃত হয়েছে, তার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বর্তমানে হিন্দুদের কাছে এই দুটি শব্দ কেবল [[শিব]] ও তাঁরতার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ বোঝায়। তাঁরতার মতে, মানব যৌনাঙ্গের নাম হিসেবে এগুলির উল্লেখ ধর্মবিরুদ্ধ। "লিঙ্গম" শব্দের অর্থ কেবলমাত্র "যৌনাঙ্গ" – এই মত নিয়ে [[এস এন বালগঙ্গাধর|এস এন বালগঙ্গাধরের]] মতো পণ্ডিতেরও দ্বিমত আছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ=Balagangadhara | প্রথমাংশ=S.N | লেখক-সংযোগ=S.N.Balagangadhara | সম্পাদকগণ=Antonio De Nicholas, Krishnan Ramaswamy, Aditi Banerjee | শিরোনাম=Invading the Sacred | পাতাসমূহ=431-433 | প্রকাশক=Rupa & Co | বছর=2007 | আইএসবিএন=978-81-291-1182-1}}</ref>
 
==পুরাণ মতে==
৮০ নং লাইন:
৭। কুচুমার লেখেন-দেহ সৌন্দর্য ও যৌনিক বৃদ্ধির উপায় বিচার।
কিন্তু এই সব গ্রন্থ প্রত্যেকটি উৎকৃষ্ট হলেও পরস্পর বিচ্ছিন্ন ছিল বলে লোকের মনকে তা আকর্ষণ করতে পারেনি।
তাই ঋষি বাৎস্যায়ন এই শাস্ত্র একত্রিত করে তাঁরতার ‘কামসূত্রম’ নামক গ্রন্থ টি রচনা করলেন।
এই গ্রন্থে তিনি বিভিন্ন ভাগে সব রকম কাম উদ্রেকের তত্ত্ব বিষয়ে সুন্দর ভাষায় ও স্পষ্ট করে আলোচনা করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://eibela.com/article/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%3A-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%28%E0%A7%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%29 |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ এপ্রিল ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170519054153/http://eibela.com/article/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-:-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-(%E0%A7%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC) |আর্কাইভের-তারিখ=১৯ মে ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>