আবৃত্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Marjan3s (আলোচনা | অবদান)
→‎আবৃত্তির সংজ্ঞা: পবিত্র কোরআনের সুরা মুযযাম্মিলে রয়েছে- "ও রাত্তিলিল কুরানা তারতিলা" অর্থাৎ তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন পাঠ করো। এখানে তারতিল মানে আবৃত্তি বোঝানো হয়েছে।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫ নং লাইন:
সাহিত্য পদবাচ্যের (কবিতা এবং গদ্য) সামগ্রিক রূপকে কণ্ঠস্বরে যথাযথ প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রমিত উচ্চারণ অক্ষুণ্ণ রেখে বিষয়ে ধারণকৃত অনুভূতি, আবেগ, ভাব, গতি, বিরাম, ছন্দ ইত্যাদির সমন্বিত ও ব্যঞ্জনার প্রকাশই আবৃত্তি।<ref name="আবৃত্তিকোষ">নীরদবরণ হাজরা"[{{আইএসবিএন|81-7079-288-6}}]." ''আবৃত্তিকোষ'', দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা, ১৯৯৭, ২-৪.</ref>
 
সর্ব শাসত্রানাং বোধাদপি গরীয়সী। যারা আবৃত্তি করবেন তারা এই কথাটি বেশির ভাগ লেখায় দেখে থাকবেন। আবৃত্তি বিষয়ে গবেষক রামচন্দ্র পাল দাবী করছেন ইদানিং এ কথাটি দিয়ে আবৃত্তিকাররা বোঝাতে চাইছেন যে শাস্ত্রের মধ্যে আবৃত্তি শাস্ত্র প্রধান। ধারনাটি বর্মের মত আবৃত্তিকারকে বাঁচাচ্ছে। এতে আত্মতৃপ্তি রয়েছে তবু এটি অনুসন্ধান যোগ্য। প্রবচন টি বাংলা করলে দাঁড়ায় সকল শাস্ত্রের মধ্যে বোধ অপেক্ষা আবৃত্তি শ্রেষ্ঠতর। এবারে দেখুন অধ্যাপক অসিত বন্দোপাধ্যায় কি বলছেন। তিনি বলছেন, সর্ব শাস্ত্রের মধ্যে একটা জিনিষজিনিস কে বোঝবার আগে আবৃত্তি করা দরকার, আবৃত্তিতে এর রূপ মূর্ত হবে। আবার এই কথাটিকে ব্যাখ্যা করলেন শ্রী গোবিন্দ গোপাল এই ভাবে যে প্রাচীণ কালে বেধ পাঠের ব্যাপার ছিল। অর্থের দিকে ততটা দৃষ্টি দেয়া হতো না। তাদের মত ছিল যথাযথভাবে উচ্চারণ করে আবৃত্তি বা পাঠ করলেই মন্ত্রের ফল পাওয়া যায়।
 
পবিত্র কোরআনের সুরা মুযযাম্মিলে রয়েছে- "ও রাত্তিলিল কুরানা তারতিলা" অর্থাৎ তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন পাঠ করো। এখানে তারতিল মানে আবৃত্তি বোঝানো হয়েছে।
 
প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে আবৃত্তি শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ ছিল। শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ-বারংবার পাঠ। প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি যে বিশটি উপসর্গ বাংলায় পাওয়া যায় "আ" তার একটি। "আ" মানে সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে। সেক্ষেত্রে আবৃত্তির প্রাচীন অর্থটা হয় এরকম- সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে যা পঠিত বা উচ্চারিত।
বৈদিক ভাষা যখন রচিত হয়, তখন লেখার কোন পদ্ধতি আমাদের জানা ছিল না। বৈদিক কবিরা রচনা করতেন মুখে মুখে এবং সে রচনা কাগজে লিখে রাখবার মতোই ধরে রাখতেন মুখে মুখে, আবৃত্তির সাহায্যে। বৈদিক সাহিত্য আবৃত্তির মাধ্যমে যুগে যুগে বাহিত হবার আরো একটি কারণ ছিল। এ প্রসঙ্গে সুকুমার সেন বলেন- "সে হল লেখাপড়ার চেয়ে আবৃত্তির উৎকর্ষ। লেখাতে ভাষার সবটুকু ধরা পরে না। না কন্ঠস্বর, না সুরের টান, না ঝোঁক। কিন্তু আবৃত্তিতে এসবই যথাযথ বজায় থাকে।"
 
<br />
 
== আবৃত্তির উপাদান ==