সামাজিক শ্রেণি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[File:Burmese nobles.JPG|thumb|[[বার্মা|বর্মি]] প্রভু এবং তাঁর চাকরেরা]]
'''সামাজিক শ্রেণি''' বা শুধুই "শ্রেণি", যা '''শ্রেণিভিত্তিক সমাজে''', হচ্ছে সমাজের স্তরবিন্যাসের মডেলের উপরে কেন্দ্র করে গঠিত সমাজবিজ্ঞানের ধারণা এবং রাজনৈতিক তত্ত্ব। এটি হচ্ছে জনগণ বা দলের ক্রমবিভক্ত সামাজিক বিভাগের একটি সমষ্টি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Grant, J. Andrew|chapterঅধ্যায়=class, definition of|editorসম্পাদক=Jones, R.J. Barry|titleশিরোনাম=Routledge Encyclopedia of International Political Economy: Entries A-F|publisherপ্রকাশক=Taylor & Francis|yearবছর=2001|isbnআইএসবিএন=978-0-415-24350-6|pageপাতা=161|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=a29qBofx8Y8C&pg=PA161}}</ref> যেগুলোর সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন শ্রেণিসমূহ।
 
==তাত্ত্বিক প্রতিমানসমূহ==
===মার্কসবাদী===
{{quote box|quote=“সামাজিক উৎপাদনের ইতিহাস-নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় নিজেদের স্থান, উৎপাদনের উপায়ের সংগে তাদের সম্পর্ক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা আইন রূপে বিধিবদ্ধ), শ্রমের সামাজিক সংগঠনে তাদের ভূমিকা, সুতরাং যে সামাজিক সম্পদ তাদের হাতে রয়েছে তার কতটা অংশ ও পাবার উপায় অনুসারে লোকেদের পৃথক বড়ো বড়ো দলকে বলা হয় শ্রেণি। শ্রেণি হলও লোকেদের তেমন সব গ্রুপ, সামাজিক অর্থনীতির নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় তাদের বিভিন্ন স্থানের দরুন একদল অপর দলের শ্রম আত্মসাৎ করতে পারে।"|width=25%|source=[[ভ্লাদিমির লেনিন]], ''একটি মহা আরম্ভ'' - জুন, ১৯১৯<ref name="সাদি">{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=সাদি |first1প্রথমাংশ১=অনুপ |titleশিরোনাম=মার্কসবাদ |editionসংস্করণ=২ |locationঅবস্থান=ঢাকা |publisherপ্রকাশক=ভাষাপ্রকাশ |dateতারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |pageপাতা=৮৪ |isbnআইএসবিএন=978-984-91945-5-2 }}</ref>|align=right}}
 
খুব সহজ ভাষায় শ্রেণি বলতে বুঝতে হবে, একই প্রণালীতে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে সমাজের এরূপ এক একটি অংশ হলো এক একটি শ্রেণি। শ্রেণি বলতে বুঝতে হবে, সমাজের একাংশের শ্রমকে অপরাংশ আত্মসাৎ করতে পায় যার মাধ্যমে তাই হলও শ্রেণি। সমাজের একাংশ সমস্ত ভূমি আত্মসাৎ করলে হয় ভূস্বামী শ্রেণি ও [[কৃষক]] শ্রেণি। যদি সমাজের একাংশ হয় কলকারখানা, শেয়ার এবং পুঁজির মালিক, আর অন্য একটা অংশ কাজ করে ওইসব কলকারখানায়, তাহলে হয় [[পুঁজিপতি]] শ্রেণি এবং প্রলেতারিয়ান শ্রেণি অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেণি। শ্রেণিদের মধ্যে পার্থক্যের মৌল লক্ষণ হলো- সামাজিক উত্পাদনে তাদের স্থান, সুতরাং উত্পাদনের উপায়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে। প্রতিটি শ্রেণির থাকে উৎপাদনের উপায়ের সংগে সুনির্দিষ্ট নিজস্ব সম্পর্ক। এই লক্ষণ দিয়েই পার্থক্য করা যায় শ্রেণি আর অন্যান্য সামাজিক গ্রুপের মধ্যে যারা শ্রেণি নয়। যেমন, উত্পাদনের উপায়ের সাথে বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্ক নেই, তাই তারা শ্রেণি নয়, বুদ্ধিজীবীরা হলও বিভিন্ন শ্রেণির অংশবিশেষ নিয়ে একটা সামাজিক স্তর।<ref>এম. আর. চৌধুরী সম্পাদিত; ''আবশ্যকীয় শব্দ-পরিচয়'', প্রকাশক: হেলাল উদ্দীন, ঢাকা; এপ্রিল, ২০১২; পৃষ্ঠা- ১৪-১৫।</ref>