বাংলা উপন্যাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.230.104.2-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
 
== বাংলা উপন্যাসের সূত্রপাত==
বাংলা উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের নতুনতম অঙ্গ। এর সূত্রপাত ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। [[প্যারীচাঁদ মিত্র|প্যারীচাঁদ মিত্রের]] ''[[আলালের ঘরের দুলাল]]'' প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।খ্রিষ্টাব্দে। এর আখ্যানভাগে এবং রচনাশৈলীতে উপন্যাসের মেজাজ পরিলক্ষিত হয়। বাংলা উপন্যাসের একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]। বঙ্কিমচন্দ্র থেকে শুরু করে দীর্ঘ কাল বাঙলা উপন্যাসে ইয়োরোপীয় উপন্যাসের ধাঁচ ছায়া ফেলেছে। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] যিনি বাংলা সাহিত্যের সকল শাখাকে ঋদ্ধ করেছেন তাঁরতার হাতেও উপন্যাস নতুন মাত্রা লাভ করেছে যদিও সমালোচকরা রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসকে রসোত্তীর্ণ মনে করেন না। [[শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] ঊনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর আরেকজন প্রভাবশালী ঔপন্যাসিক। তবে এরা সবাই মানুষের ওপর তলের ওপর দৃষ্টি সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
 
বাঙলা উপন্যাস নতুন মাত্রা লাভ করে [[মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়]], [[জগদীশ গুপ্ত]] ও [[কমলকুমার মজুমদার|কমলকুমার মজুমদারের]] হাতে। এদের হাতে উপন্যাস বড় মাপের পরিবর্তে মানবিক অস্তিত্বের নানা দিকের ওপর আলোকপাত করে বিকশিত হয়। বস্তুতঃ রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে মানিক বন্দ্যেপাধ্যায় সম্ভবত সবচেয়ে কুশলী উপন্যাস শিল্পী। তারই পদরেখায় আমরা দেখতে পাই [[তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে]]। এরা উপন্যাসকে মানবিক অস্তিতেব্র মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক জটিলতার ওপর নিবিড় আলোপাত করেছেন, লেখনীশৈলীর জোরে উপন্যাসকে সাধারণ পাঠকের কাছকাছি নিয়ে গেছেন এবং একই সঙ্গে উপন্যাসের শেল্পশৈলীতে এনছেন দৃঢ় গদ্যের সক্ষমতা।
 
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাঙলা উপন্যাসে সম্পূর্ণ নতুন করণকৌশল নিয়ে আবির্ভূত হলেন বাংলাদেশের [[হুমায়ূন আহমেদ]]। তিনি বাঙলা উপন্যাসকে নুতন খাতে প্রবাহিত করলেন। বাঙলা উপন্যাস দীর্ঘকাল পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিকদের হাতে পরিপুষ্ট হয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদ একাই শত বর্ষের খামতি পূরণ করে দিলেন। তাঁরতার উপন্যাসের অবয়ব হলো সবজান্তা লেখকের বর্ণনার পরিবর্তে পাত্র-পাত্রীদের মিথস্ক্রিয়া অর্থাৎ সংলাপকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি ছোট এবং স্বল্প পরিসরে অনেক কথা বলার পদ্ধতি প্রবর্তন করলেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদ দেখালেন যে ইয়োরোপীয় আদলের বাইরেও সফল, রসময় এবং শিল্পোত্তীর্ণ উপন্যাস লেখা সম্ভব।
 
১৯৮০’র দশকে হুমায়ূন আহসমদের সবল উপস্থিতি অনুভব করার আগে বাংলা উপন্যাস মূলত পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিকদের হাতে গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের অবদান ছিল তুলনামূলক ভাবে কম, গুণগত মানও প্রশ্নাতীত ছিল না। এ সময়কার কয়েকজন প্রধান লেখক হলেন [[গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার]], [[রমাপদ চৌধুরী]], [[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়]], [[শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়]] প্রমুখ।
১৬ নং লাইন:
== বাংলাদেশী উপন্যাস ==
 
বাংলাদেশী উপন্যাস বলতে পূর্ববঙ্গের উপন্যাসকে বোঝানো হয়; আরো সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় যে ভারত বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের উপন্যাসকে দুটি পর্বে ভাগ করা যায়, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ পূর্ববঙ্গের সাহিত্যে একটি বিভাজন রেখা যদিও এর মানে এই নয় যে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা পরবর্তী উপন্যাসকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করেছে৤ বরং ১৯৭১ এই জন্যে একটি বিভেদক রেখা যে স্বাধীন জাতিসত্ত্বা পূর্ববঙ্গের লেখকদের মনস্তত্বকে প্রভাবান্বিত করেছে, দিয়েছে আত্মবিশ্বাস এবং প্রাদেশিকতার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্তি হয়েছে বৈশ্বিকতা। এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার বিস্তার, প্রকাশনা শিল্পের বিকাশ এবং হুমাযূন আহমেদের মতো যুগস্রষ্টা কথাশিল্পীর আবির্ভাব।
 
বাংলায় উপন্যাস রচনা শুরু হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর থেকে বাংলাদেশে উপন্যাস লেখা হয় (প্রথম বাংলা উপন্যাস 'আলালের ঘরে দুলাল', প্রকাশকাল ১৮৫৮ আর 'আনোয়ারা' প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে)। গত এই ১০০ বছরের সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক মানসম্মত ঔপন্যাসিক এসেছেন।
৪০ নং লাইন:
* ''বাংলা সাহিত্য'', অনিন্দ সংকর এবং লিলা রায়, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাদেমী, কোলকাতা, ২০০০
* ''বাংলাদেশের উপন্যাস'', বিশ্বজিৎ ঘোষ, খন্ড ২৮, সংখ্যা ১, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়, ঢাকা ১৯৮৪
* ''বাংলাদেশের উপন্যাসের চার দশক'', কল্যানকল্যাণ মিরবর, কোলকাতা, ১৯৯২
* ''বাংলাদেশের কয়েকজন ঔপন্যাসিক'', সুব্রত কুমার দাস, ঢাকা, ২০০৫
* ''অন্য দানের বেলা'', অরুনা প্রকাশনী, কোলকাতা, ২০০২