১,৮১,০৪১টি
সম্পাদনা
[[চিত্র:arjuna statue.JPG|thumb|300px|বালির রাজপথে অর্জুনের মূর্তি]]
'''অর্জুন''' ([[দেবনাগরী]]: अर्जुन) ''[[মহাভারত]]'' মহাকাব্যের একটি চরিত্র। তিনি [[পাণ্ডব|পঞ্চপাণ্ডবের]] অন্যতম। 'অর্জুন' শব্দের অর্থ 'উজ্জ্বল', 'জাজ্বল্যমান', 'সাদা' অথবা 'রূপালি'।<ref>Maharishi Mahesh Yogi on the Bhagavad-Gita, a New Translation and Commentary, Chapter 1-6. Penguin Books, 1969, p 31 (v 4)</ref> তিনি একজন অব্যর্থ ধনুর্বিদ। তাকে পার্থ এবং ধনঞ্জয় নামেও ডাকা হয়। অর্জুন এর আরো বেশ কিছু নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু নাম হল – অরিমর্দন, কপিকেতন, কপিধ্বজ, কিরীটী, কৃষ্ণসখ, কৃষ্ণসারথি, কৌন্তেয়, গাণ্ডিবধন্বা, গাণ্ডিবী, গুঁড়াকেশ, চিত্রযোধী, জিষ্ণু, তৃতীয় পাণ্ডব, ধনঞ্জয়, পার্থ, ফল্গুন, ফাল্গুনি, বিজয়, বীভৎসু, শব্দবেধী, শব্দভেদী, শুভ্র, শ্বেতবাহ, শ্বেতবাহন, সব্যসাচী।<ref>[[অর্জুনের নাম]]</ref> তার মা কুন্তি তাকে মন্ত্রবলে দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট হতে লাভ করেন। তিনি [[দ্রোণাচার্য]] হতে ধনুবিদ্যা লাভ করেন। পাণ্ডব ভ্রাতৃগণের মধ্যে
==জন্ম==
অর্জুনের পিতার নাম পান্ডু ও মাতার নাম কুন্তী। পান্ডু রাজা কিন্দম মুনিকে হত্যা করায় মুনি তাকে অভিশাপ দেন যে স্ত্রীসম্ভোগকালে তার মৃত্যু হবে। তাই তিনি বনবাসে গেলেন তার দুই স্ত্রীকে নিয়ে। সেখানে কুন্তী, দুর্বাসমুনির বর প্রাপ্ত মন্ত্র দিয়ে ভগবান [[ইন্দ্র|ইন্দ্রের]] কাছ থেকে তার মত বলবান এবং তেজস্বী একটি পুত্রসন্তান কামনা করেন। ইন্দ্রের ঔরসে কুন্তী অর্জুনের জন্ম দেন।
==যুদ্ধ শিক্ষা==
অর্জুন যুদ্ধ শিক্ষা লাভ করেন গুরু দ্রৌণাচার্যের কাছে। গুরু দ্রোণ অর্জুন এবং তার একমাত্র ছেলে [[অশ্বত্থামা|অশ্বত্থামাকে]] বেশ যত্ন এর সাথে ধনু বিদ্যা শিখিয়েছেন। সেই সময় অর্জুন তাদের মধ্যে সবার শ্রেষ্ঠ ছিলেন। অর্জুন ছিলেন কৌরব ও পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের প্রিয়তম শিষ্য। গুরুদক্ষিণা স্বরূপ দ্রোণাচার্য যখন পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের বন্দিত্ব চান,তখন মূলত অর্জুনের বীরত্বতেই তা সম্ভব হয়। পাণ্ডবদের শৌর্যবীর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ধৃতরাষ্ট্র ও
==বিবাহ==
অর্জুন ও তার চার ভাই তাদের মাতার সাথে বনবাসে গেলে সেখানে তারা ঘটনাক্রমে দ্রুপদ রাজার একমাত্র কন্যা [[দ্রৌপদী|দ্রৌপদীর]] স্বয়ম্বরসভায় ছদ্মবেশে উপস্থিত হন। আর সেখানে অন্য সব রাজকুমারদের সাথে [[দুর্যোধন]], তার মামা শকুনি এবং কর্ণ উপস্থিত থাকেন। সেখানে দ্রুপদ এক অন্য রকম স্বয়ম্বরসভার আয়োজন করান। আর সেটা বলেন তার একমাত্র পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন। আর সেই নিয়ম হল চক্রমধ্য-মৎস্যকে বিদ্ধ করতে হবে। সেখানে যে ধনুক ছিল তার ভার বহন করা কারুর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাদের মধ্যে কর্ণ সেই ধনুক উঠাতে পারতেন। কিন্থু দ্রৌপদী কোন সুত পুত্রকে বিবাহ করবেন না বলে জানান। আর সেই কারনে কর্ণ এই ধনুক উঠালেন না। তারপরে শ্রীকৃষ্ণ এর অনুরোধে সেখানে উপস্থিত ব্রাহ্মণদের সেই ধনুক উঠানোর জন্য অনুরোধ করেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। আর তখন ছদ্মবেশে থাকে অর্জুন সেই চক্রমধ্য-মৎস্যকে বিদ্ধ করতে সক্ষম হন এবং পরে [[দ্রৌপদী|দ্রৌপদীকে]] বিয়ে করেন। কিন্তু পরে তারা পাঁচ ভাই একসাথে এলে তাদের মাতা কুন্তি তখন ধ্যানে ছিলেন। আর তখন [[ভীম]] বলেন তারা কি এনেছেন। কুন্তি কিছু না দেখে বলেন ''যা এনেছো তা তোমরা পাঁচ ভাই মিলে ভাগ করে নাও''। তার এই কথার সাথে শেষ পর্যন্ত মহামুনি ব্যাসদেব এর কথা অনুসারে তারা পাঁচ ভাই মিলে দ্রৌপদীকে বিয়ে করেন। পরে [[নারদ]] আরো একটা সমাধান করে দেন, আর তা হল দ্রৌপদী যে সময়ে এক ভ্রাতার সঙ্গে থাকছেন, সেই সময় অন্য কোনও ভ্রাতা
==বনবাস==
পাণ্ডবগণ তাদের নতুন রাজ্যে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলে সেখান থেকে মামা শকুনির পরামর্শে [[তক্ষক]] নাগ পাণ্ডবদের সকল অশ্ব নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই অশ্ব রক্ষা করার জন্য অর্জুন অস্ত্র আনতে সঙ্গমরত [[যুধিষ্ঠির]] ও দ্রৌপদী এর শয়ন-গৃহে ঢুকতে বাধ্য হলেন। যুধিষ্ঠির এতে নিয়ম ভঙ্গ হয় নি বললেও, অর্জুন আত্মগ্লানিতে সত্যরক্ষার জন্য বনবাসে যান। সেই সময়ে অর্জুন একে একে উলুপী, চিত্রাঙ্গদা সঙ্গে
==দ্যূতক্রীড়া==
দ্যূতক্রীড়ায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা যখন বনবাসে গিয়েছিলেন, তখন যুধিষ্ঠিরের আদেশে দিব্যাস্ত্রলাভের জন্য অর্জুন ইন্দ্রলোকে যান। [[ইন্দ্র]]
==কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ==
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন তার রথের সারথি নিয়োগ করেন তার মিত্র কৃষ্ণকে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন কৌরবদের অনেক সেনাকে হত্যা করেন। তার হাতে কৌরবদের সেনাপতি [[ভীষ্ম]] কে শরশয্যায় নিপাতিত করেছেন। অবশ্য তার জন্য তাকে [[শিখণ্ডী]]র সাহায্য নিতে হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়ের অন্যতম কারণ হল অর্জুনের রণনৈপুণ্য। তাছাড়া অর্জুন ভগদত্ত, [[জয়দ্রথ]], [[কর্ণ]]কে তিনি বধ করেছেন। কিন্তু ভীষ্মকে শরশয্যায় নিপাতিত করতে
==শেষ জীবন ও মৃত্যু==
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। অশ্বমেধ যজ্ঞের সময় যজ্ঞিয় অশ্বকে নিয়ে বহুদেশ জয় করে যখন মণিপুরে পোঁছলেন,তখন নিজপুত্র বভ্রুবাহনের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অর্জুন এই শাপমুক্ত হন। কৃষ্ণের মৃত্যুর পর অর্জুন
== পাদটীকা ==
|