ভাইরাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২০ নং লাইন:
 
==পটভূমি==
[[নেদারল্যান্ডস|হল্যান্ডের]] প্রাণরসায়নবিদ এডলফ মেয়ার (১৮৮৬) তামাক গাছের মোজাইক নামক ভাইরাস রোগ নিয়ে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করেন।স্থানীয়ভাবে রোগটি বান্ট, রাস্ট বা স্মাট নামে পরিচিত ছিল।কারো মধ্যে যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেজন্য মেয়ার একে টোবাকো মোজাইক (TMV) নামে আখ্যায়িত করেন।রাশিয়ান জীবাণুবিদ দিমিত্রি ইভানোভস্কি (১৮৯২) [[তামাক|তামাক গাছের]] মোজাইক রোগ নিয়ে গবেষণা করে প্রমাণ করেন, রোগাক্রান্ত তামাক পাতার রস ব্যকটেরিয়ারোধক Chamberland filter দিয়ে ফিল্টার করার পরও সুস্থ তামাক গাছে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম।তখন তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন যে, তামাক গাছে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ব্যাকটেরিয়া হতে নিঃসৃত কোনো বিষাক্ত পদার্থ কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্রকায় কোনো জীবাণু। ওলন্দাজ জীবাণুতত্ত্ববিদ মারটিনিয়াস বাইজেরিনিক (১৮৯৮) অনুমান করেন, তামাকের এ রোগের কারণ হয়তো কোনো এক ধরণেরধরনের সংক্রমণশীল জীবন্ত তরল পদার্থ।তিনিই সর্বপ্রথম এ পদার্থকে ভাইরাস নাম দেন।পরবর্তীতে মার্কিন জীব-রসায়নবিদ ডব্লু এম স্ট্যানলি (১৯৩৫) তামাকের মোজাইক ভাইরাসকে পৃথক করে কেলাসিত করতে সক্ষম হোন। এ অবদানের কারণে তিনি ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে চিলিতে এফ সি বাউডেন, এন ডব্লু পিরি প বার্নাল টিএমভি (TMV) হতে [[প্রোটিন]] ও [[নিউক্লিক এসিড|নিউক্লিক এসিডের]] সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার তরল স্ফটিকময় পদার্থ উৎপন্ন করতে সক্ষম হোন। ফ্রয়েংকাল -কনরোট ও অন্যান্য গবেষক ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভাইরাসের নিউক্লিক এসিডকে প্রোটিন হতে পৃথক করেন এবং প্রমানপ্রমাণ করেন যে, নিউক্লিক এসিডই ভাইরাস রোগের বাহক।
 
==আবাসস্থল==
৩৭ নং লাইন:
 
== জিনগত গঠন ==
ভাইরাসের প্রজাতিভেদে জিনোমের আকারও ভিন্ন হয়। এসএসডিএনএ সার্কোভাইরাসের জিনোম আকারে সবচেয়ে ক্ষুদ্র। ''[[Circoviridae]]'' পরিবারের এই ভাইরাসের মাত্র দুই প্রোটিন রয়েছে ও জিনোমের আকার মাত্র দুই কিলোবেস।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|vauthors=Belyi VA, Levine AJ, Skalka AM|titleশিরোনাম=Sequences from ancestral single-stranded DNA viruses in vertebrate genomes: the parvoviridae and circoviridae are more than 40 to 50 million years old|journalসাময়িকী=Journal of Virology|volumeখণ্ড=84|issueসংখ্যা নং=23|pagesপাতাসমূহ=12458–62|yearবছর=2010|pmid=20861255|pmc=2976387|doiডিওআই=10.1128/JVI.01789-10|urlইউআরএল=}}</ref> সবচেয়ে বড় জিনোমের ভাইরাস হলো প্যান্ডোরাভাইরাস। প্রায় ২৫০০ প্রোটিনের কোড সম্বলিত এই ভাইরাসের জিনোমের আকার প্রায় দুই মেগাবেস। <ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|vauthors=Philippe N, Legendre M, Doutre G, Couté Y, Poirot O, Lescot M, Arslan D, Seltzer V, Bertaux L, Bruley C, Garin J, Claverie JM, Abergel C|titleশিরোনাম=Pandoraviruses: amoeba viruses with genomes up to 2.5 Mb reaching that of parasitic eukaryotes|journalসাময়িকী=Science|volumeখণ্ড=341|issueসংখ্যা নং=6143|pagesপাতাসমূহ=281–86|yearবছর=2013|pmid=23869018|doiডিওআই=10.1126/science.1239181|urlইউআরএল=|bibcodeবিবকোড=2013Sci...341..281P}}</ref> ভাইরাস জিনের খুব কমই ইন্ট্রোন থাকে আর সেগুলো জিনোমে এমনভাবে সাজানো থাকে যেন তারা ওভারল্যাপ বা একে অপরের উপর সুবিন্যস্ত হতে পারে।<ref name="brandes_2016">{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=Brandes|first1প্রথমাংশ১=Nadav|last2শেষাংশ২=Linial|first2প্রথমাংশ২=Michal|titleশিরোনাম=Gene overlapping and size constraints in the viral world|journalসাময়িকী=Biology Direct|dateতারিখ=21 May 2016|volumeখণ্ড=11|issueসংখ্যা নং=1|pagesপাতাসমূহ=26|doiডিওআই=10.1186/s13062-016-0128-3|pmid=27209091|pmc=4875738}}</ref> সাধারণত, আরএনএ ভাইরাসের জিনোমের আকার ডিএনএ ভাইরাস অপেক্ষা ছোট হয়। কেননা এই ধরনের ভাইরাসের রেপ্লিকেশনের সময় বেশি ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ থাকে।<ref name="pmid20660197" />
 
== বংশবৃদ্ধি ==
৫২ নং লাইন:
২. '''অনুপ্রবেশ''': পৃষ্টলগ্ন হওয়ার পর ভাইরাসের লেজের স্পাইক থেকে লাইসোজাইম এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমের কার্যকারিতায় ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের স্তরকে দ্রবীভূত করে সূক্ষ্ণ নালিকার সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়াকে ড্রিলিং বলে। T2 ভাইরাসের লেজের প্রোটিন আবরণটি বাইরে পড়ে থাকে।
 
৩. '''প্রোটিন সংশ্লেষণ:''' ভাইরাসের DNA পোষক কোষে প্রবেশ করার পর ব্যাকটেরিয়া কোষের DNA-এর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ও পলিমারেজ এনজাইমের সহায়তায় mRNA উৎপাদরেন মাধ্যমে প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন পরবর্তীতে ভাইরাসের বহিঃরাবনণ বা খোলস (মাথা ও লেজ) তৈরিতে অংশগ্রহণ করে।
 
৪. '''জিনোম তৈরীঃ''' এ পর্যায়ে পলিমারেজ এনজাইমের সহাতায় ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিওটাইড ব্যবহার করে ভাইরসের DNA অসংখ্য প্রতিরূপ সৃষ্টি করে।
 
৫. '''একত্রীকরণ ও নির্গমনঃ'''  এ দশায় জিনোমগুলো প্রোটিন আবরণের দ্বারা মোড়কের ন্যায় আবৃত হয় এবং অপত্য ভাইরসের বৃষ্টি করে। অপত্য ভাইরাসের চাপে পোষক ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর বিদীর্ণ হয়ে যায়। ফলে পরিণত ফাজগুলো পেষক কোষের বাইরে নির্গত হয়।
 
লাইটিক চক্রের মাধ্যমে T<sub>2</sub> ব্যাকটেরিওফাজের সংখ্যা বৃদ্ধির সমগ্র প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে লাগে ২০-৩০ মিনিট এবং এস সময়ের মধ্যে প্রায় ২০০ টি নতুন অপত্য ব্যাকটেরিয়ওফাজ সৃষ্টি হয়।
 
 
 
'''২. লাইসোজেনিক চক্র:''' এই প্রক্রিয়ায় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াম কোষে তার নিউক্লিক এসিড প্রবেশ করায় ঠিকই, কিন্তু সেটা লাইটিক চক্রের মত কোষকে ভেঙে ফেলে না বা ভাইরাসের কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি করে না। এই চক্রে ভাইরাস তার নিউক্লিক এসিড ব্যাকটেরিয়ামের কোষের ডিএনএ এর সাথে যুক্ত করে দেয় এবং ভাইরাল নিউক্লিক এসিড ব্যাকটেরিয়াল ডিএনএ এর সাথে সাথে সংখ্যা বৃদ্ধি করে। যেহেতু এখানে কোষের মৃত্যু ঘটে না, তাই একে বলে মৃদু আক্রমণ। আর যেই সব ভাইরাস এই চক্র ব্যবহার করে, তাদের বলে টেমপারেট ফাজ। ল্যামডা ভাইরাস এক ধরনের টেম্পারেট ফাজ, এরা E.coli কে আক্রমণ করে।