ইংরেজি ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
37.111.204.91-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Martin Urbanec-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৭ নং লাইন:
'''ইংরেজি''' বা '''ইংরাজি''' ({{lang|en|English}}) [[ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার|ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের]] [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয় শাখার]] পশ্চিম দলের একটি ভাষা। উৎসবিচারে ইংরেজি ভাষাটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাষাটি হল [[ফ্রিজীয় ভাষা]]। এছাড়া এটির সাথে [[ওলন্দাজ ভাষা]], [[ফ্লেমিশ ভাষা]] (বেলজিয়ামে প্রচলিত ওলন্দাজ ভাষার উপভাষা) ও [[জার্মান ভাষা|নিম্ন জার্মান]] উপভাষাগুলির সম্পর্ক আছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের [[গ্রেট ব্রিটেন]] দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত [[ইংল্যান্ড]] নামক দেশটিতে খ্রিস্টীয় আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতকে ইংরেজি ভাষার জন্ম হয়। বর্তমানে এটি [[যুক্তরাজ্য]], [[আয়ারল্যান্ড]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[কানাডা]], [[অস্ট্রেলিয়া]], [[নিউজিল্যান্ড]] এবং [[ক্যারিবীয় সাগর]] ও [[প্রশান্ত মহাসাগর|প্রশান্ত মহাসাগরে]] ছড়িয়ে থাকা অনেক দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। ইংরেজি প্রায় ৩৮ কোটি মানুষের মুখের মাতৃভাষা। মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
 
ইংরেজি ভাষার শব্দভাণ্ডারের ৭০ শতাংশ বিদেশি উৎসজাত।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Origins of the English Language|isbnআইএসবিএন=978-0-02-934470-5|last1শেষাংশ১=উইলিয়ামস|first1প্রথমাংশ১=জোসেফ ম.|dateতারিখ=18 April 1986|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=|বছর=|পাতাসমূহ=|অবস্থান=}}</ref> বাকি ৩০ শতাংশ ইংরেজি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি, অ্যাংলো-স্যাক্সোন ও জার্মানীয় উৎসজাত। অ্যাংলো-সাক্সোন ও জার্মানীয় উৎসজাত শব্দগুলো খাঁটি ইংরেজি শব্দরূপে গণ্য হয়ে থাকে। ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর কোন সময়ে রচিত ''[[বেওউল্‌ফ]]'' ইংরেজি ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। [[উইলিয়াম শেকসপিয়র]] ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক।
 
১৮শ শতক থেকে ২০শ শতক পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্তে ইংরেজরা উপনিবেশ গড়ে তুললে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরাশক্তি হয়ে উঠলে, ইংরেজি বিশ্বের [[লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা]]<nowiki/>য় পরিণত হয় ২০শ শতকের মধ্যভাগে এসে। বর্তমানে ইংরেজি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত দ্বিতীয় ভাষা। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরের মতো প্রাক্তন বহুভাষী ইংরেজ উপনিবেশগুলো স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ইংরেজিকে [[লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা]] তথা সহ-সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে। সব মিলিয়ে মাতৃভাষাভাষী নন এরকম ৭৫ কোটি মানুষ বিদেশী ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেন।<ref>{{citation|url=https://www.nytimes.com/2007/04/09/world/asia/09iht-englede.1.5198685.html|title=Across cultures, English is the word|author=Seth Mydans|date=April 9, 2007}} অনুসারে "By the most common estimates, 400 million people speak English as a first language, another 300 million to 500 million as a fluent second language, and perhaps 750 million as a foreign language." অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি লভ্য প্রাক্কলনগুলি অনুযায়ী ৪০ কোটি লোক মাতৃভাষা হিসেবে ইংরেজিতে কথা বলে, আরও প্রায় ৩০ থেকে ৫০ কোটি লোক দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলে এবং সম্ভবত প্রায় ৭৫ কোটি লোক বিদেশী ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে।"</ref> আধুনিক ইলেকট্রনিক, টেলিযোগাযোগ ও কম্পিউটার প্রযুক্তি, বিশ্ববাণিজ্য ও কূটনীতির প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি গোটা বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আছে।
 
==ইতিহাস==
[[জার্মানীয় গোত্র]] অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের দিকে [[ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ|ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের]] দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার [[কেল্টীয় ভাষাসমূহ|কেল্টীয় ভাষাভাষী]] আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে [[স্কটল্যান্ড]], [[কর্নওয়াল]], [[ওয়েল্‌স]] ও [[আয়ারল্যান্ড|আয়ারল্যান্ডে]] হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই [[প্রাচীন ইংরেজি]] ভাষার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর [[জার্মানি]]তে প্রচলিত নিম্ন [[জার্মান উপভাষা]]গুলিতে ও [[ওলন্দাজ ভাষা]]য় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে [[নরওয়ে|নরওয়েজীয়]] [[ভাইকিং]] হানাদারদের [[প্রাচীন নর্স ভাষা|প্রাচীন নর্স ভাষাও]] প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
 
[[১০৬৬]] সালে উত্তর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[নরমঁদি]] অঞ্চলে বসবাসকারী [[নর্মান জাতি]] [[ইংলিশ চ্যানেল]] নামক সমুদ্র প্রণালী পাড়ি দিয়ে [[ইংল্যান্ড]] আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নর্মান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]] সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্মীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশির ভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ [[মধ্য ইংরেজি ভাষা|মধ্য ইংরেজি ভাষার]] আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে ''[[বেওউল্‌ফ]]'' এবং [[চসার|চসারের]] ''[[দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস]]''।