ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৫ নং লাইন:
খৃঃ পূঃ ৫ম শতাব্দীতে, ব্যাকরণবিদ [[পাণিনি]] [[ধ্বনিবিজ্ঞান]], [[ধ্বনিতত্ত্ব]], এবং [[রূপমূলতত্ত্ব|রূপমূলতত্ত্বে]] অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন।<ref name=Ivic>Encyclopædia Britannica (2008), ''Linguistics''.</ref> [[পাণিনি]]র রূপমূলতত্ত্বের ব্যাখ্যা বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত সমবিষয়ক পশ্চিমি তত্ত্বের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Staal | প্রথমাংশ১ = Frits | শিরোনাম = Universals: studies in Indian logic and linguistics | প্রকাশক = University of Chicago Press | বছর = 1988 | পাতাসমূহ = 47 }}</ref>
 
খৃঃ পূঃ ৫ম শতাব্দীর আগেই ভারতে [[ধাতু]]জাত [[মুদ্রা]]র প্রচলন ছিল।<ref name=Dhavalikar>Dhavalikar, 330-338</ref><ref name=sellwood2008>Sellwood (2008)</ref> খৃঃ পূঃ ৪০০ অব্দ থেকে ১০০ খৃষ্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ সময়কালের মূলতঃ [[রূপা]] বা [[তামা]]র মুদ্রা তৈরী হত, যাতে নানা রকম পশু ও উদ্ভিদের চিহ্ণ থাকত।<ref name=EBAllan&Stern>Allan & Stern (2008)</ref>
 
[[রাজস্থান|রাজস্থানে]] [[উদয়পুর|উদয়পুরে]]র কাছে জাওয়ার [[দস্তা]] খনি খৃঃ পূঃ ৪০০ সালেও ব্যবহার হত।<ref name=Craddock>Craddock (1983)</ref><ref>Arun Kumar Biswas, The primacy of India in ancient brass and zinc metallurgy, Indian J History of Science, 28(4) (1993) page 309-330 and Brass and zinc metallurgy in the ancient and medieval world: India’s primacy and the technology transfer to the west, Indian J History of Science, 41(2) (2006) 159-174</ref> বিভিন্ন ধরনের হাতলযুক্ত বিভিন্ন রকমের তরবারি পাওয়া গেছে বর্তমান [[উত্তর প্রদেশ|উত্তর প্রদেশে]]র ফতেগড়ে।<ref>F.R. Allchin, 111-112</ref> এই তরবারিগুলি খৃঃ পূঃ ১৭০০ থেকে ১৪০০ সালের মধ্যে তৈরী করা হয়েছে বলে মনে করা হয়, তবে সম্ভবতঃ তরোয়ালের বহুল ব্যবহার শুরু হয় খৃঃ পূঃ প্রথম সহস্রাব্দে।<ref name=Allchin114>Allchin, 114</ref> বর্তমান [[উত্তর প্রদেশ|উত্তর প্রদেশে]]র মলহার, ডাদোপুর, রাজা নালা কা টিলা ও লাহুরাদেওয়া প্রত্নস্থলগুলিতে লোহার ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে খৃঃ পূঃ ১৮০০ ও খৃঃ পূঃ ১২০০ সময়কালের।<ref name=Tewari>Tewari (2003)</ref> রেডিও কার্বন ডেটিং পদ্ধতির সাহায্যে ভারতে পাওয়া লৌহ সামগ্রীর বয়স নির্ধারণ করা যায় খৃঃ পূঃ ১৪০০ সময়কালের।<ref name=Ceccarelli>Ceccarelli, 218</ref> কিছু বিশেষজ্ঞের মতে খৃঃ পূঃ ১৩শ শতাব্দীতেই ভারতে লৌহ বিগলনের পদ্ধতি বহুল পরিচিত ছিল, সুতরাং এটা মনে করা যেতেই পারে লৌহ বিগলন পদ্ধতির উন্মেষ আরও অনেক আগেই হয়েছে।<ref name=Tewari/> [[দক্ষিণ ভারত|দাক্ষিণাত্যে]] (আজকের [[মহীশূর]]) খৃঃ পূঃ ১১শ থেকে ১২শ শতাব্দীতেই লোহার ব্যবহার শুরু হয়।<ref name=UCP/> এত প্রাচীন লোহার ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় এটা বোঝা যাচ্ছে যে দাক্ষিণাত্যে লোহার ব্যবহার দেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের থেকে স্বাধীন ভাবেই হয়েছে। কারণ ঐ সময় দাক্ষিণাত্যের সাথে সিন্ধু সভ্যতার সম্ভবতঃ কোনো যোগাযোগ ছিল না।<ref name=UCP>Drakonoff, 372</ref>
৪২ নং লাইন:
[[File:QtubIronPillar.JPG|thumb|[[দিল্লির লৌহস্তম্ভ]] (৩৭৫–৪১৩ খৃষ্টাব্দ)। [[দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত]] বা বিক্রমাদিত্যের সময়কালে দিল্লীতে এই লৌহস্তম্ভের স্থাপনা হয়েছিল।]]
 
[[কৌটিল্য|কৌটিল্যে]]র ''[[অর্থশাস্ত্র (গ্রন্থ)|অর্থশাস্ত্রে]]'' বাঁধ ও সেতু বানানোর কথা বলা আছে।<ref>Dikshitar, pg. 332</ref> ৪র্থ শতাব্দীর সময়কাল থেকে বাখারি ও লোহার শিকল দিয়ে প্রস্তুত [[ঝুলন্ত সেতু]]র ব্যবহার দেখা যায়।<ref>Encyclopædia Britannica (2008), ''suspension bridge''.</ref> [[প্যাগোডা]] ও তোরীর পূর্বসূরী, বৌদ্ধ ''স্তুপে''র নির্মাণ খৃঃ পূঃ ৩য় শতক থেকেই শুরু হয়ে গেছিল।<ref name=Ency>Encyclopædia Britannica (2008), ''Pagoda''.</ref><ref name=Jaanus>[http://www.aisf.or.jp/~jaanus/ Japanese Architecture and Art Net Users System (2001), ''torii''.]</ref> ভারতের শুষ্ক অঞ্চলে পাথর কেটে ধাপ-কূপ তৈরী করা শুরু হয় ২০০-৪০০ খৃষ্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ থেকে।<ref name=L&B/> পরবর্তী পর্যায়ে, ধাপ-কুয়ো বা ধাপ-পুকুর আরও বিভিন্ন স্থানে তৈরী করা হয়, যেমন, ধাঁক (৫০০-৬২৫ খৃষ্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ) ও [[ভিনমাল]] (৮৫০-৯৫০ খৃষ্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ)<ref name=L&B>Livingston & Beach, xxiii</ref>
 
খৃঃ পূঃ ১ম সহস্রাব্দে বৈশেষিক [[পরমাণুত্ব|পরমাণুবাদে]]র সূচনা হয়। এই তত্ত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবক্তা ছিলেন [[ভারতীয় দর্শন|ভারতীয় দার্শনিক]] [[কণাদ]] (খৃঃ পূঃ ৬০০)।<ref>Oliver Leaman, ''Key Concepts in Eastern Philosophy.'' Routledge, 1999, page 269.</ref> এই তত্ত্ব অনুসারে [[পরমাণু]] অবিনশ্বর ও অবিভাজ্য,<ref>{{harvnb|Chattopadhyaya|1986|pp=169–70}}</ref> এবং প্রতিটি পরমাণুর ''বিশেষ'' স্বাতন্ত্র বর্তমান।<ref>{{en}}{{harvnb|Radhakrishnan|2006|p=202}}</ref> বৈশেষিক পরমাণুবাদের আরও প্রসার হয় বৌদ্ধ পরমাণুবাদে। ৭ম শতাব্দীর [[ধর্মকীর্তি]] ও ''দিগনাগ'' ছিলেন এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা। এঁরাই প্রথম বলেন পরমাণু বিন্দু আকৃতির, কালহীন, এবং শক্তি দিয়ে সৃষ্ট।<ref>(Stcherbatsky 1962 (1930). Vol. 1. P. 19)</ref>
৫১ নং লাইন:
 
চরকার উৎপত্তি নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা আছে, তবে ভারতকে একটি সম্ভাব্য উৎস হিসাবে মনে করা হয়।<ref>Britannica Concise Encyclopedia (2007), ''spinning wheel''.</ref><ref>Encyclopeedia Britnnica (2008). ''spinning''.</ref> খৃষ্টীয় ১৪শ শতাব্দীতে এটি ভারত থেকেই ইউরোপে গিয়েছিল।<ref>MSN Encarta (2008), [http://encarta.msn.com ''Spinning'']. 2009-10-31.</ref> যান্ত্রিক উপায়ে তুলা বীজ থেকে তুলা ছাড়ানোর উপায় ভারতেই উদ্ভাবিত হয়, - কাঠের তৈরি এই যন্ত্রের নাম ছিল ''চরখি''।<ref name="Baber57">Baber, 57</ref> বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই যন্ত্র হস্তচালিত হলেও কোনো কোনো এলাকায় জলশক্তিতেও এই যন্ত্র চালানো হত।<ref name="Baber57"/> [[অজন্তা গুহাসমূহ|অজন্তা গুহাচিত্র]] থেকে প্রমাণিত হয় খৃষ্টীয় ৫ম শতাব্দীতেও ভারতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হত।<ref name=Babergin>Baber, 56</ref> পরবর্তী পর্যায়ে পদচালিত তুলা ছাড়ানোর যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়।<ref name=Babergin/> বিভিন্ন প্রাচীন চীনা নথি থেকে জানা যায়, ৬৪৭ সাল থেকে শুরু করে, ভারতে কমপক্ষে দুটি অভিযান হয়েছিল চিনি পরিশোধনের প্রযুক্তি আহরণের জন্য।<ref name=Kieschnick11>Kieschnick, 258</ref> কিন্তু, প্রতিটি অভিযানই চিনি পরিশোধনের বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য নিয়ে ফেরে।<ref name=Kieschnick11/>
সঙ্গীত বিশারদ পিঙ্গল (খৃঃ পূঃ ৩০০-২০০) [[সংস্কৃত ভাষা]]য় ছন্দশাস্ত্র বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থে প্রমাণ পাওয়া যায়, বিভিন্ন মাত্রার সমন্বয়ের গণনা করতে গিয়ে, পিঙ্গল [[প্যাস্কেলের ত্রিভূজ]] ও দ্বিপদ গুণাঙ্ক (Binomial coefficient) আবিষ্কার করেছিলেন। যদিও তিনি দ্বিপদ তত্ত্ব (Binomial theorem) জানতেন না।<ref name=fowler96>Fowler, 11</ref><ref name=singh36>Singh, 623-624</ref> পিঙ্গলের লেখায় [[বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি]]র ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়।<ref>Sanchez & Canton, 37</ref> গুণের চিহ্নের ব্যবহার পদ্ধতি ভারতীয়দের সৃষ্টি। ঋণাত্বক সংখ্যা ও বিয়োজ্য সংখ্যা খৃঃ পূঃ ২য় শতাব্দী থেকেই পূর্ব এশিয়ায় ব্যবহৃত হত, আর খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দী থেকে ভারতীয় গাণিতিকেরা ঋণাত্বক সংখ্যা জানতেন,<ref name=Smith>Smith (1958), page 258</ref> এবং ঋণের গণনার ক্ষেত্রে এই সংখ্যার ব্যবহারও বুঝতেন।<ref name=bourbaki49>Bourbaki (1998), page 49</ref> যদিও ভারতীয়রা বিয়োজ্য সংখ্যার ব্যবহার প্রথম শুরু করেননি, তবে তাঁরাতারা ধণাত্বক ও ঋণাত্বক সংখ্যার গুণের ক্ষেত্রে "চিহ্নের ব্যবহারে"র নিয়মাবলী প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন। এই ব্যাপারটা পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন লেখায় ১২৯৯ সালের আগে দেখা যায় না।<ref name=Smith2>Smith (1958), page 257-258</ref> ঋণাত্মক সংখ্যা সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সঠিক যে নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা আরবীয়দের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।<ref name=bourbaki49/>
 
অন্ততঃ খৃঃ পূঃ ৩০০০ অব্দ থেকেই [[মিশরীয় চিত্রলিপি]]তে [[দশমিক পদ্ধতি]]র ব্যবহার ছিল,<ref>Georges Ifrah: ''From One to Zero. A Universal History of Numbers'', Penguin Books, 1988, {{ISBN|0-14-009919-0}}, pp. 200-213 (Egyptian Numerals)</ref> পরবর্তী পর্যায়ে আধুনিক সংখ্যা ব্যবস্থা তৈরীর সময় প্রাচীন ভারতে দশমিক পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়।<ref name=irfah346>Ifrah, 346</ref> খৃষ্টীয় ৯ম শতাব্দীর মধ্যে, হিন্দু-আরবী সংখ্যা পদ্ধতি ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।<ref name="Wigelsworth">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Jeffrey Wigelsworth|শিরোনাম=Science And Technology in Medieval European Life|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=VPDqnGGHpHYC&pg=PA18|তারিখ=1 January 2006|প্রকাশক=Greenwood Publishing Group|আইএসবিএন=978-0-313-33754-3|পাতা=18}}</ref> শুধুমাত্র পৃথক করার চিহ্ন হিসাবে নয়, বরং সংখ্যা হিসাবে [[০ (সংখ্যা)|০]]-এর ধারণার উদ্ভব ভারতে হয়েছিল বলে মনে করা হয়।<ref name=bourbaki46>Bourbaki, 46</ref> খৃষ্টীয় ৯ম শতাব্দী থেকেই ভারতে অন্যান্য সংখ্যার মতই ব্যবহারিক গণিতে, এমনকি বিভাজনেও, শূন্যের প্রচলন ছিল। <ref name=bourbaki46/><ref name=ebcal>Britannica Concise Encyclopedia (2007). ''algebra''</ref> [[ব্রহ্মগুপ্ত]] (৫৯৮–৬৬৮) [[পেল সমীকরণ|পেল সমীকরণে]]র সমাধান করেছিলেন।<ref name=sw101>Stillwell, 72-73</ref> [[দ্বিতীয় ভাস্কর]] ১১৫০ সালে চিরস্থায়ী গতিশীল যন্ত্রের খসড়া বানিয়েছিলেন। তিনি একটি চিরস্থায়ী ঘুর্ণনশীল চাকার বর্ণনা করেছিলেন।<ref>Lynn Townsend White, Jr.</ref>
৬০ নং লাইন:
রঞ্জক হিসাবে নীলের (''ইন্ডিগোফেরা টিঙ্কটোরিয়া'' বা [[ইংরাজি ভাষা|ইংরাজি]]: ''Indigofera tinctoria'') বহুল ব্যবহার ভারতে প্রচলিত ছিল।<ref name=k&c>Kriger & Connah, 120</ref> [[রেশম পথ]] ধরে রঞ্জক হিসাবে নীল [[প্রাচীন গ্রিস|গ্রীক]] ও [[প্রাচীন রোম|রোমান]]দের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল এক মহার্ঘ্য ভোগ্য বস্তু হিসাবে।<ref name=k&c/> কাশ্মীরে [[পশমিনা]] [[শাল (বস্ত্র)|শাল]] হাতে তৈরী করা হত।<ref>Encyclopædia Britannica (2008), ''cashmere''.</ref> [[কাশ্মীর]] অঞ্চলের পশমের শালের উল্লেখ বিভিন্ন লেখায় খৃঃ পূঃ ৩য় শতাব্দী থেকে খৃষ্টীয় ১১শ শতকের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়।<ref name=ebpasm>Encyclopædia Britannica (2008), ''Kashmir shawl''.</ref> [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্ত যুগে]] চিনির ব্যবহার শুরু হয়,<ref name=Adas>Shaffer, 311</ref> এবং প্রাচীনতম [[মিছরি]]র ব্যবহারের উল্লেখ ভারতেই পাওয়া যায়।<ref name=Kieschnick1>Kieschnick (2003)</ref> [[পাট]] চাষ ভারতেই হত।<ref name=ebjute>Encyclopædia Britannica (2008), ''jute''.</ref> [[ইরাক|ইরাকে]]র [[মসুল]] শহরে প্রথমবার এই কাপড় ইউরোপীয়রা দেখতে পেয়েছিল বলে নাম হয়েছিল [[মসলিন]], কিন্তু এই কাপড় তৈরী হত বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]র [[ঢাকা]]য়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Karim |প্রথমাংশ=Abdul |বছর=2012 |অধ্যায়=Muslin |অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Muslin |সম্পাদক১-শেষাংশ=Islam |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=Sirajul |সম্পাদক২-শেষাংশ=Jamal |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=Ahmed A. |শিরোনাম=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |সংস্করণ=Second |প্রকাশক=[[Asiatic Society of Bangladesh]]}}</ref><ref name=Muslin>Ahmad, 5–26</ref> খৃষ্টীয় ৯ম শতাব্দীতে, সুলেমান নামক [[ইসলামী অর্থনীতির ইতিহাস|আরব ব্যবসায়ী]] লিখেছেন এই কাপড়ের উৎস হল [[বঙ্গ]] ([[আরবি ভাষা]]য় ''রুহমল'')।<ref name=Muslin/>
 
ইউরোপীয় পন্ডিত ফ্রান্সেস্কো লোরেঞ্জো পুলি একাধিক ভারতীয় মানচিত্র নকল করেছিলেন তাঁরতার ''লা কার্টোগ্রাফিয়া অ্যাণ্টিকা ডেল ইন্ডিয়া'' নামে মহাগ্রন্থে।<ref name=Sircar2>Sircar 328</ref> এই মানচিত্রগুলির মধ্যে, দুটি নকল করা হয়েছিলএকাদশ শতাব্দীর [[কাশ্মীর|কাশ্মীরী]] পণ্ডিত ক্ষেমেন্দ্র রচিত গ্রন্থ ''লোকপ্রকাশ'' থেকে নেওয়া হয়েছিল।<ref name=Sircar2/> এছাড়া, ''সমগ্র'' গ্রন্থ থেকেও অনেক মানচিত্র নকল করা হয়েছিল পুলির গ্রন্থে।<ref name=Sircar2/>
 
১১শ শতাব্দীর রাজা ভোজের লেখা ''সমরাঙ্গণ সূত্রধারা'' নামক [[সংস্কৃত ভাষা]]র গ্রন্থে একটি অধ্যায়ে যান্ত্রিক মৌমাছি ও পাখি, মানবাকৃতির ও পশু আকৃতির ঝরণা এবং যান্ত্রিক নারী-পুরুষ পুতুল (যে গুলি তৈলপ্রদীপে তেল ভরা থেকে শুরু করে নৃত্য পরিবেশন, বাদ্যযন্ত্র বাদন, এমনকি বিভিন্ন হিন্দু পৌরাণিক দৃশ্যের অভিনয় করতে সক্ষম ছিল) প্রভৃতি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বানাবার কথা বলা আছে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Varadpande|প্রথমাংশ=Manohar Laxman|বছর=1987|শিরোনাম=History of Indian Theatre, Volume 1|পাতা=68|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=SyxOHOCVcVkC&pg=PA68}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ= Wujastyk|প্রথমাংশ=Dominik|বছর=2003|শিরোনাম=The Roots of Ayurveda: Selections from Sanskrit Medical Writings|পাতা=222|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=TaZCwjtmzZYC&pg=PA222&dq=automata#v=onepage&q=automata&f=false}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Needham|প্রথমাংশ=Joseph|বছর=1965|শিরোনাম=Science and Civilisation in China: Volume 4, Physics and Physical Technology Part 2, Mechanical Engineering|পাতা=164|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=SeGyrCfYs2AC&pg=PA164&dq=bhoja+automata}}</ref>
৬৬ নং লাইন:
==মধ্য যুগের শেষভাগ==
[[File:Jantar Mantar, Delhi, 1826.jpg|thumb|left|[[দিল্লী]]র '''যন্তর মন্তর'''—[[জয়পুর|জয়পুরে]]র রাজা দ্বিতীয় জয় সিংহ ১৭২৪ সালে ১৩টি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক স্থাপত্যের সূচনা করেন।]]
সঙ্গমাগ্রামের মাধব (খৃষ্টীয় ১৩৪০ - ১৪২৫) ও তাঁরতার কেরালার জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিত বিদ্যালয় [[গাণিতিক বিশ্লেষণ|গাণিতিক বিশ্লেষণে]]র প্রতিষ্ঠা ও উন্নতি সাধন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|প্রকাশক = School of Mathematics and Statistics University of St Andrews, Scotland
|কর্ম = Biography of Madhava
৭৭ নং লাইন:
|আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৬-০৫-১৪
|অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ
}}</ref> মাধব প্রথম [[পাই|π]]-এর অসীম ক্রমের কথা বলে. তিনি <math>\arctan x</math> ক্রমের সম্প্রসারণ ব্যবহার করে <math>\pi</math>-এর যে অসীম ক্রমের উপস্থাপনা করেন, তা আজ ''মাধব-গ্রেগরি ক্রম'' নামে পরিচিত। এই ক্রমের সীমিত সমষ্টির ''চ্যুতি''র যুক্তিসঙ্গত আসন্নমানের যে গনণা তাঁরাতারা করেছিলেন তা বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁরাতারা এই চ্যুতিকে এমন কৌশলে ব্যবহার করেছিলেন যাতে <math>\pi</math>-এর একটি দ্রুততর অভিসারী ক্রম পাওয়া যায়। তাঁরাতারা এই উন্নত ক্রম ব্যবহার করে ১০৪৩৪৮/৩৩২১৫ অঙ্কটি নির্ণয় করেন যা <math>\pi</math>-এর নবম দশমিক স্থান পর্যন্ত সঠিক মান নির্ণয় করতে সক্ষম ছিল, যথা, ৩.১৪১৫৯২৬৫৩ (<math>\pi</math>-এর আরও নিখুঁত মান হল ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭...)।<ref name=roy>Roy, 291-306</ref>
১৫শ শতাব্দীতে কেরালার গণিত বিদ্যালয়ের গণিতজ্ঞেরা [[ত্রিকোণমিতিক অপেক্ষক|ত্রিকোণমিতিক অপেক্ষকে]]র (সাইন, কোসাইন ও আর্ক ট্যানজেন্ট) জন্য বিভিন্ন ধরণেরধরনের গাণিতিক ক্রমের প্রভুত উন্নতি সাধন করেন।<ref name=sll/> ইউরোপে [[কলনবিদ্যা]] উদ্ভাবনের দুই শতাব্দী আগেই তাঁরাতারা যা কাজ করেছিলেন তা আজ ঘাত শ্রেণীর (গুণোত্তর শ্রেণী ব্যতিরেকে) প্রাচীনতম উদাহরণ হিসাবে পরিচিত।<ref name=sll>Stillwell, 173</ref>
 
[[শের শাহ সুরি|শের শাহ]] ইসলামি চিহ্ন সম্বলিত রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন, যা পরে [[মুঘল সাম্রাজ্য]] অনুকরণ করে।<ref name=EBAllan&Stern/> চৈনিক ব্যবসায়ী ''মা হুয়ান'' (১৪১৩-৫১) [[কোচি]]তে দেখেছিলেন ''ফানম'' নামের স্বর্ণমুদ্রা। চৈনিক ওজনের হিসাবে এই মুদ্রার ওজন ছিল মোট এক ''ফেন'' ও এক ''ইল''-এর সমতুল্য।<ref name=Chaudhuri223>Chaudhuri, 223</ref> উচ্চমানের এই স্বর্ণমুদ্রাগুলির বিনিময়ে চীনে চার ''ইল'' ওজনের ১৫টি রৌপ্যমুদ্রা সহজেই পাওয়া যেত।<ref name=Chaudhuri223/>
 
কেরালার জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিত বিদ্যালয়ের নীলকন্ঠ সোময়াজি খৃষ্টীয় ১৫০০ শতাব্দীতে তাঁরতার ''তন্ত্রসংগ্রহ'' গ্রন্থে আর্যভট্টের বুধ ও শুক্রগ্রহের উপবৃত্তাকার কক্ষপথ সংক্রান্ত ধারণার পরিমার্জন করেছিলেন। এই গ্রহগুলির কেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁরতার সমীকরণ ১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ [[ইয়োহানেস কেপলার|জোহানেস কেপলারে]]র আগমনের আগে পর্যন্ত সবথেকে সঠিক গণনা পদ্ধতি ছিল।<ref>Joseph, George G. (2000), ''The Crest of the Peacock: Non-European Roots of Mathematics'', Penguin Books, {{ISBN|0-691-00659-8}}.
</ref>
 
৯৫ নং লাইন:
জল সরবরাহ নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির বর্ণনা পাওয়া যায় বিভিন্ন [[আরবি ভাষা|আরবি]] ও [[ফার্সি ভাষা]]র গ্রন্থে।<ref name=Siddiqui/> মধ্যযুগে, ভারতীয় ও পারসিক সেচ প্রযুক্তির আদান-প্রদানের কারণে এক উন্নত সেচ ব্যবস্থার প্রচলন হয়, ফলে অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে জনজীবনে সামগ্রিক উন্নতিও দেখা যায়।<ref name=Siddiqui>Siddiqui, 52–77</ref> কাশ্মীরের ১৫শ শতাব্দীর শাসক, জায়ন-উল-আবিদিনকে [[পশমিনা]] শিল্পের জনক বলে মনে করা হয়। তিনি [[মধ্য এশিয়া]] থেকে বয়নশিল্পীদের এনে এই শিল্পের পত্তন করেন।<ref name=ebpasm/>
 
[[উত্তর প্রদেশ|উত্তর প্রদেশে]]র জৌনপুরের পন্ডিত সাদিক ইস্ফাহানি বিশ্বের কিছু অংশের মানচিত্রের এক সঙ্কলন করেছিলেন, যা তাঁরতার মতে 'মানব জীবনের জন্য উপযুক্ত'।<ref name=Schwartzberg1302>Schwartzberg, 1302</ref> ৩২পাতার এই সঙ্কলন—সেই যুগের ইসলামী সংস্কৃতির সাথে সাযুয্য রেখে দক্ষিণমুখী—ইস্ফাহানি করেছিলেন ১৬৪৭ সালে এক বৃহৎ শিক্ষামূলক গ্রন্থের অংশ হিসাবে।<ref name=Schwartzberg1302/> জোসেফ ই. স্বোয়ার্টজবার্গের মতে (২০০৮): 'বৃহত্তম ভারতীয় মানচিত্রটি প্রাক্তন [[রাজপুত]] রাজধানী অম্বরের প্রতিটি বাড়ির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সম্বলিত ছিল আর তার আয়তন ছিল ৬৬১ × ৬৪৫&nbsp;সে.মি. (২৬০ × ২৫৪ ইঞ্চি, বা প্রায় ২২ × ২১&nbsp;ফুট)।'<ref name=Schwartzberg1303>Schwartzberg, 1303</ref>
 
==ঔপনিবেশিক যুগ==
১০৩ নং লাইন:
File:IndiaRailwaysCompletedBy1871.jpg|১৮৭১ সালে ভারতীয় রেল পরিবহন ব্যবস্থার ব্যাপ্তি; নির্মাণ শুরু হয় ১৮৫৬ সালে।
File:India railways1909a.jpg|১৯০৯ সালে ভারতীয় রেল পরিবহন ব্যবস্থা।
File:J.C.Bose.JPG|[[জগদীশ চন্দ্র বসু]] [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশে]] পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের ভিত গড়ে তোলেন।<ref>Chatterjee, Santimay and Chatterjee, Enakshi, ''Satyendranath Bose'', 2002 reprint, p. 5, National Book Trust, {{ISBN|81-237-0492-5}}</ref> তাঁকেতাকে বেতার বিজ্ঞানের অন্যতম জনক বলে মনে করা হয়।<ref>{{en}}{{cite conference|title=Sir J.C. Bose and radio science|last1=Sen|first1=A. K.|date=1997|publisher=IEEE|book-title=Microwave Symposium Digest|pages=557–560|location=Denver, CO|conference=IEEE MTT-S International Microwave Symposium|isbn=0-7803-3814-6|doi=10.1109/MWSYM.1997.602854}}</ref>
File:SatyenBose1925.jpg|পদার্থবিজ্ঞানী [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]] ১৯২০-এর দশকে [[বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান]] বিষয়ক গবেষণার জন্য পরিচিত।
</Gallery>
১১১ নং লাইন:
মহীশূরের সুলতান হায়দার আলী, যুদ্ধ রকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেন: বিস্ফোরক বহনকারী পাত্র হিসাবে ধাতুর চোঙ ব্যবহার করেন। যদিও পেটানো নরম লোহার এই নলগুলির গুণগত মান অত্যন্ত সাধারণ ছিল, তবে আগের কাগজের চোঙের তুলনায় বিস্ফোরক শক্তি অনেক বেশি ছিল। ফলে এই অতিরিক্ত অভ্যন্তরীণ চাপ রকেটগুলিকে দ্রুততর গতিতে অধিক দূরত্বে নিক্ষেপ করতে সাহায্য করত। রকেটের চোঙটি চামড়ার ফিতা দিয়ে লম্বা বাঁশের লাঠিতে বাঁধা থাকত। সম্ভবত এক মাইলের তিন চতুর্থাংশ (এক কিলোমিটারেরও বেশি) পর্যন্ত রকেটের পাল্লা ছিল। যদিও পৃথকভাবে দেখলে এই রকেটগুলির লক্ষ্য খুব একটা স্থির ছিলনা, তবে অনেক সংখ্যক রকেটের যুগপত আক্রমণের সময় নিখুঁত লক্ষ্যের প্রয়োজন পড়ত না। এই রকেটগুলি বিশেষ করে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর ছিল। ব্যবহার করার দুটি পদ্ধতি ছিল, - হাতে ধরে সলতেয় অগ্নিসংযোগ করে হাওয়ায় নিক্ষেপ করে, অথবা, শক্ত, শুকনো মাটিতে শুইয়ে সলতেয় অগ্নিসংযোগের ফলে মাটিতে ঘষটে রকেটগুলি ধাবিত হত। হায়দার আলীর ছেলে, [[টিপু সুলতান]], রকেট অস্ত্র ব্যবহারের বিকাশ ও সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছিলেন ও রকেট পরিচালনকারী সেনার সংখ্যা ১,২০০ থেকে বাড়িয়ে ৫,০০০ করেন। ১৭৯২ এবং ১৭৯৯ সালের [[শ্রীরঙ্গপত্তন|শ্রীরঙ্গপত্তনে]]র যুদ্ধে এই রকেটগুলি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।
 
১৮শ শতাব্দীর শেষে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা অতীব দক্ষ হয়ে ওঠে।<ref name=Peabody1/> যেমন, টমাস ব্রোটনের বক্তব্য অনুযায়ী, [[যোধপুর]] মহারাজা তাঁরতার রাজধানী থেকে ৩২০ কি.মি. দূরে নাথাদেওরার মন্দিরে প্রত্যেক দিন তাজা ফুলের অর্ঘ্য পাঠাতেন, যা পরের দিন সূর্য্যোদয়ের সাথে সাথে ঠিক প্রথম [[ষড়দর্শন|দর্শনে]]র সময় পৌঁছে যেত।<ref name=Peabody1>Peabody, 71</ref> পরবর্তী পর্যায়ে [[ব্রিটিশ রাজ]] আসার সঙ্গে ডাক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হয়।<ref name=Lowe/> ১৮৩৭ সালের ১৭তম পোস্ট অফিস আইন (''The Post Office Act XVII of 1837'') বলে [[ভারতের গভর্নর-জেনারেল]] [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র এলাকার যে কোনো স্থানে ডাক মাধ্যমে সংবাদ পাঠাতে পারতেন।<ref name=Lowe/> কিছু আধিকারিকের এই বিনামূল্যে ডাক ব্যবস্থা ব্যবহার করার সুবিধা, পরের দিকে বিতর্কের সৃষ্টি করে।<ref name=Lowe/> ১লা অক্টোবর ১৮৩৭ সালে ভারতীয় পোস্ট অফিস পরিষেবার সূচনা হয়।<ref name=Lowe>Lowe, 134</ref> কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্রিটিশেরা ভারতে এক সুবিশাল [[রেল পরিবহন]] ব্যবস্থা গড়ে তোলে।<ref>Seaman, 348</ref>
 
ভারতে ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা মূলতঃ স্থানীয় জন সমাজ থেকে পুর ও প্রশাসনিক চাকরির যোগ্য প্রার্থী তৈরী করার উদ্দেশ্যে চালু হলেও, এর ফলে ভারতীয় ছাত্রদের কাছে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে যায়।<ref name=Rajendran>Raja (2006)</ref> [[জগদীশ চন্দ্র বসু|স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু]] (১৮৫৮–১৯৩৭), [[প্রফুল্ল চন্দ্র রায়|আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়]] (১৮৬১-১৯৪৪), [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]] (১৮৯৪–১৯৭৪), [[মেঘনাদ সাহা]] (১৮৯৩–১৯৫৬), [[প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ]] (১৮৯৩–১৯৭২), [[চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন|স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন]] (১৮৮৮–১৯৭০), [[সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর]] (১৯১০–১৯৯৫), [[হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা]] (১৯০৯–১৯৬৬), [[শ্রীনিবাস রামানুজন]] (১৮৮৭–১৯২০), [[উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী]] (১৮৭৩–১৯৪৬), বিক্রম সারাভাই (১৯১৯–১৯৭১), [[হর গোবিন্দ খোরানা]] (১৯২২–২০১১), হরিশ চন্দ্র (১৯২৩–১৯৮৩), এবং [[আবদুস সালাম (পদার্থবিজ্ঞানী)|আবদুস সালাম]] (১৯২৬-১৯৯৬) হলেন এই সময়ের কিছু উল্লেখযোগ্য কৃতি বিজ্ঞানী।<ref name=Rajendran/>