সমকামিতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নিলয় সরকার (আলোচনা | অবদান) ভাষা ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৩০ নং লাইন:
বাংলা সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত-সঞ্জাত। [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] শব্দ ‘সম’-এর অন্যতম অর্থ সমান অথবা অনুরূপ<ref>[http://www.sanskrit-lexicon.uni-koeln.de/monier/webtc5/serveimg.php?file=/scans/MWScan/MWScanjpg/mw1152-sam.jpg অভিধানে 'সম' শব্দার্থ]</ref> এবং ‘কাম’ শব্দের অন্যতম অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি<ref>[http://www.sanskrit-lexicon.uni-koeln.de/monier/webtc5/serveimg.php?file=/scans/MWScan/MWScanjpg/mw0271-kAntika.jpg অভিধানে 'কাম' শব্দার্থ]</ref>। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ দ্বারা অনুরূপ বা সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের (বা প্রাণীর ক্ষেত্রে অন্য প্রাণীর) প্রতি যৌন আকর্ষণকে বোঝায়।
সমকামিতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি তৈরি হয়েছে গ্রিক ‘হোমো’ এবং [[লাতিন ভাষা|ল্যাটিন]] ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। [[গ্রিক ভাষা|গ্রিক ভাষায়]] ‘হোমো’ বলতে বোঝায় সমধর্মী বা একই
১৮৬৯ সালে কার্ল মারিয়া কার্টবেরি [[সডোমি আইন]]কে তিরষ্কার করে ইংরেজিতে প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানী গুস্তভ জেগার এবং রিচার্ড ফ্রেইহার ভন ক্রাফট ইবিং ১৮৮০’র দশকে
বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি বিদ্বৎসমাজে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ শব্দদুটি অধিক জনপ্রিয়। [[গে]] শব্দটির দ্বারা পুরুষ সমকামীদের বোঝানো হয় এবং নারী সমকামীদেরকে বোঝানো হয় [[লেসবিয়ান]] শব্দটির দ্বারা। পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি সমকামী অর্থে প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় সম্ভবত ১৯২০ সালে। তবে সে সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। মুদ্রিত প্রকাশনায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে। লিসা বেন নামে এক হলিউড সেক্রেটারী ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামক দ্বীপমালা থেকে। কথিত আছে, খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে [[স্যাফো]] নামে সেখানকার এক কবি/শিক্ষিকা মেয়েদের সমকামী যৌন জীবন নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করতেন।<ref>{{harv|Campbell|1982|p=x-xi}}</ref><ref>Page, ''Sappho and Alcaeus'', p. 224-5.</ref> এইভাবে প্রথম দিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমকামিতার সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়।
৫৩ নং লাইন:
[[File:Catlin - Dance to the berdache.jpg|thumb|''বার্দাচের নাচ''<br />দ্বৈত সত্তাবিশিষ্ট জর্জ ক্যাটলিনের (১৭৯৬-১৮৭২) স্মৃতি উদ্যাপনার্থে [[সাউক ও শিয়াল জাতি]]র আনুষ্ঠানিক নাচ; স্মিথসোনিয়ান জাদুঘর, [[ওয়াশিংটন, ডি.সি.]]।]]
আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে [[দ্বৈত সত্তা]]বিশিষ্ট মানুষদের কেন্দ্র করে সমকামিতার বিশেষ একটি প্রকারের স্বীকৃতি ছিল। সাধারণত এই
[[লাতিন আমেরিকা|লাতিন আমেরিকার]] প্রাক্-[[আমেরিকায় স্পেনের উপনিবেশ|ঔপনিবেশিক]] বিভিন্ন সভ্যতা, যথা: [[আজটেক]], [[মায়া সভ্যতা|মায়া]], [[কেচুয়া জাতি|কেচুয়া]], [[মোচে (সংস্কৃতি)|মোচে]], [[জাপোটেক সভ্যতা|জাপোটেক]] এবং ব্রাজিলের [[টুপিনাম্বা]] জনজাতির মধ্যে প্রকাশ্য সমকামী ও রূপান্তরকামী ব্যক্তিবর্গের বসবাস ছিল।<ref name=glbtqlatinamerica>{{citation |first=Ben |last=Pablo |year=2004 |url=http://www.glbtq.com/social-sciences/latin_america_colonial.html |title=Latin America: Colonial |periodical=[[glbtq.com]] |accessdate=1 August 2007}}</ref><ref name=glbtqmex>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Murray |প্রথমাংশ=Stephen |লেখক-সংযোগ=Stephen O. Murray |সম্পাদক=Claude J. Summers |বিশ্বকোষ=glbtq: An Encyclopedia of Gay, Lesbian, Bisexual, Transgender, and Queer Culture |শিরোনাম=Mexico |ইউআরএল=http://www.glbtq.com/social-sciences/mexico.html |সংগ্রহের-তারিখ=1 August 2007 |বছর=2004 |প্রকাশক=[[glbtq.com|glbtq, Inc.]]}}</ref>
৭৩ নং লাইন:
====জাপান====
সাম্প্রতিক কালে নবলব্ধ সামাজিক সহনশীলতা এবং [[টোকিও]], [[ওসাকা]] প্রভৃতি মহানগরে বিকল্প যৌনতার মানুষদের তথাকথিত "মুক্তাঞ্চল" জাপানে বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও জাপানে সমকামীরা প্রায়ই
===দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া===
৯৬ নং লাইন:
| ডিওআই = 10.1300/J082v48n03_09
| আইডি =
| সংগ্রহের-তারিখ = 22 Nov 2010}}</ref> ১৯৮২ তে দেশে প্রথম সমকামী অধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে এই লক্ষ্যে কাজকর্মের সূচনা হয়। ১৯৮০ এর দশকের শেষ ও ৯০ এর দশক জুড়ে "''ল্যামডা ইন্দোনেশিয়া''" এবং অন্যান্য অনুরূপ সংগঠন গড়ে ওঠে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.insideindonesia.org/edit46/dede.htm |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ জুন ২০১৫ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080905033433/http://www.insideindonesia.org/edit46/dede.htm |আর্কাইভের-তারিখ=৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> বর্তমানে দেশের বৃহত্তম [[এলজিবিটি]] সংগঠনগুলোর মধ্যে "''গেয়া নুসান্তারা''" এবং "''আরুস পেলাঙ্গি''" উল্লেখযোগ্য। এই
===দক্ষিণ এশিয়া===
১৩৪ নং লাইন:
{{আরও দেখুন|প্রাচীন গ্রিসে সমকামিতা}}
====ধ্রুপদী যুগ====
পাশ্চাত্য সভ্যতায় সমকামিতার সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন পাওয়া যায় সাহিত্য, শিল্পকীর্তি ও [[গ্রিক পুরাণ|পুরাণের]] উপাদান থেকে। প্রাচীন গ্রিসের [[পেডেরাস্টি]] থেকে এই
===মধ্যপ্রাচ্য===
৩৩৯ নং লাইন:
{{cquote|রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট্স মনে করে যে যৌন অভিমুখীতা হল একাধিক জৈবিক ও জন্ম-পরবর্তী পরিবেশগত কারণের মিলিত প্রভাবের ফল। এর চেয়ে বেশি বলার মত আর যৌন অভিমুখীতার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে দায়ী করার মত কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.rcpsych.ac.uk/pdf/PS02_2014.pdf|শিরোনাম=Royal College of Psychiatrists' statement on sexual orientation|প্রকাশক=Royal College of Psychiatrists' statement on sexual orientation|সংগ্রহের-তারিখ=31 March 2015}}</ref>}}
মার্কিন মনোবিদ্যা সমিতির মতে "ব্যক্তিবিশেষের যৌন অভিমুখীতার অনেক সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে, যে কারণগুলো ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।"
প্রফেসর মাইকেল কিং-এর মতে: "যে সমস্ত বিজ্ঞানী যৌন অভিমুখীতার উৎপত্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁদের সিদ্ধান্ত হল এই যে, যৌন অভিমুখীতা এমন একটি মানবীয় বৈশিষ্ট্য যা জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ধারিত হয় এবং যা অপরিবর্তনীয়। সমকামিতার উৎপত্তি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি ধর্মীয় ও সামাজিক বিতর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে সমকামিতা ব্যক্তির সচেতন পছন্দ মাত্র নয়।"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.churchtimes.co.uk/content.asp?id=60752 |শিরোনাম=How much is known about the origins of homosexuality? |প্রকাশক=Church Times |তারিখ=16 November 2007 |সংগ্রহের-তারিখ=24 August 2010 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100406055257/http://www.churchtimes.co.uk/content.asp?id=60752 |আর্কাইভের-তারিখ=৬ এপ্রিল ২০১০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
===বিবর্তনীয় প্রেক্ষাপট===
২০০৮ এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিবৃতি দেওয়া হয়: "মানুষের যৌন অভিমুখীতা নির্ধারণে যে জিনের প্রভাব আছে সেই সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই বোঝা যায় না [[প্রজনন|প্রজননগত]] সাফল্যের হার কমিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও সমকামিতা কীভাবে জনসংখ্যার অপেক্ষাকৃত বেশি অংশে দেখা যায়।"
প্রাণীজগতে সমকামী যৌনাচরণ সম্পর্কিত বেইলি এবং [[মার্লিন জুক|জুকের]] একটি রিভিউয়ে সমকামিতার প্রজনন-হ্রাসের তত্ত্বটিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। সমকামী যৌনাচার কেমনভাবে অভিযোজিত হতে পারে তার অনেক সম্ভাব্য কারণ এখানে উল্লেখ করা হয়। প্রজাতিভেদে এই কারণগুলো আলাদা আলাদা হতে পারে। বেইলি এবং জুক আরও বলেন যে ভবিষ্যতে গবেষকদের শুধুমাত্র সমকামিতার উৎস অনুসন্ধান না করে তার বিবর্তনীয় পরিণতি সম্বন্ধে আরও গবেষণা করা উচিত।<ref name="Bailey et al.">Bailey, N. W., & Zuk, M. (2009). Same-sex sexual behavior and evolution. Trends In Ecology & Evolution, 24(8), 439–446. doi:10.1016/j.tree.2009.03.014 [http://www.faculty.ucr.edu/~mzuk/Bailey%20and%20Zuk%202009%20Same%20sex%20behaviour.pdf]</ref>
৩৫১ নং লাইন:
লেসবিয়ান নারীদের যৌনতার অভিজ্ঞতা প্রায়ই গে পুরুষদের থেকে আলাদা হয়, আর [[কার্যকারণবিদ্যা|কার্যকারণগত]] দিক থেকেও শুধুমাত্র সমকামী পুরুষ সম্পর্কিত গবেষণা থেকে স্ত্রী সমকামিতার সঠিক ধারণা পাওয়া দুঃসাধ্য।
[[শেরে হিতে]]র তত্ত্বাবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৭০ এর একটি চিঠি-ভিত্তিক সমীক্ষায় লেসবিয়ানরা
===যৌন অভিমুখীতা পরিবর্তনের কর্মসূচী===
৪১৭ নং লাইন:
[[মানবজাতির ইতিহাস|মানবজাতির]] ইতিহাসের প্রায় সমগ্র সময়কাল জুড়ে সমকামী সম্পর্ক ও আচরণ নিন্দিত হয়ে এসেছে। তবে কখনো-কখনো সামাজিক ঔদার্য ও আনুকূল্যও পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রশংসা ও নিন্দা নির্ভর করেছে স্থানভেদে সমকামিতার বহিঃপ্রকাশের রূপ, সমসাময়িক বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার উপর।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Murray |প্রথমাংশ=Stephen O. |শিরোনাম=Homosexualities |প্রকাশক=University of Chicago |বছর=2000}}</ref> তবে অধিকাংশ [[সমাজ|সমাজে]] এবং সরকার ব্যবস্থায় সমকামী আচরণকে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ [[বাংলাদেশ]] (দশ বছরের থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড)<ref name="ILGA 2014">[http://old.ilga.org/Statehomophobia/ILGA_SSHR_2014_Eng.pdf State-sponsored Homophobia: A world survey of laws prohibiting same sex activity between consenting adults] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161020202330/http://old.ilga.org/Statehomophobia/ILGA_SSHR_2014_Eng.pdf |তারিখ=২০ অক্টোবর ২০১৬ }} The International Lesbian, Gay, Bisexual, Trans and Intersex Association, authored by Lucas Paoli Itaborahy, May 2014</ref> সহ দখন এশিয়ার ৬ টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমপর্যায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতিবিরোধী যৌনাচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য ও দন্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ।<ref name="ILGA 2014"/> ২০১৫ সালে জুলাইয়ের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট ৭২টি দেশে {{efn|Countries with laws criminalizing homosexuality are: Afghanistan, Algeria, Angola, Antigua and Barbuada, Bangladesh, Barbados, Belize, Bhutan, Botswana, Brunei, Burundi, Cameroon, Comoros, Dominica, Egypt, Eritrea, Ethiopia, Gambia, Ghana, Grenada, Guinea, Guyana, India, Iran, Jamaica, Kenya, Kiribati, Kuwait, Liberia, Libya, Malawi, Malaysia, Maldives, Mauritania, Morocco, Myanmar, Namibia, Nauru, Nigeria, Oman, Pakistan, Papua New Guinea, Qatar, Saint Kitts and Nevis, Saint Lucia, Saint Vincent and the Grenadines, Samoa, Saudi Arabia, Senegal, Seychelles, Sierra Leone, Singapore, Solomon Islands, Somalia, South Sudan, Sri Lanka, Sudan, Swaziland, Syria, Tanzania, Togo, Tonga, Trinidad and Tobago, Tunisia, Turkmenistan, Tuvalu, Uganda, United Arab Emirates, Uzbekistan, Yemen, Zambia and Zimbabwe.}} এবং পাঁচটি দেশের উপ-জাতীয় আইনি বিধিমালায় {{efn| These five sub-national jurisdictions are: the provinces of Aceh and South Sumatra (Indonesia), the Cook Islands (New Zealand), Gaza (Palestine) and Marawi City (the Philippines).}} সমকামিতা সরকারীভাবে অবৈধ, যার অধিকাংশই [[এশিয়া]] ও [[আফ্রিকা]]তে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে বেশ কিছু দেশে সমকামী আচরণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু আছে।
সমকামিতা আবহমানকাল ধরে অসামাজিক বিবেচিত হয়েছে যার প্রধান কারণ হলো, এটি এমন একটি যৌনাচরণ যার মাধ্যমে সন্তানের জন্মদান সম্ভব নয়, ফলে মানুষের বংশরক্ষা সম্ভব নয়। এছাড়া সকল প্রধান ধর্ম সমকামী যৌনাচরণ নিষিদ্ধ করেছে।<ref name=reli/> বর্তমান সমাজেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমকামী যৌনাচরণ একপ্রকার [[যৌনবিকৃতি]] হিসাবে সাধারণভাবে পরিগণিত। তবে ১৯৭৩
==== বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপট ====
|