ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৯ নং লাইন:
সিপিআই ভারতের মধ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে প্রয়াসী হয়। মানবেন্দ্রনাথ রায় [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বাংলার]] [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন]] ও [[যুগান্তর দল|যুগান্তর]] গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাংলা ([[মুজফ্‌ফর আহ্‌মেদ (রাজনীতিবিদ)|মুজফফর আহমেদের]] নেতৃত্বে), [[বোম্বাই]] ([[এস. এ. ডাঙ্গে|এস. এ. ডাঙ্গের]] নেতৃত্বে), [[মাদ্রাজ]] ([[মলয়পুরম সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার|সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ারের]] নেতৃত্বে) [[ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশ|যুক্তপ্রদেশ]] ([[শৌকত উসমানি|শৌকত উসমানির]] নেতৃত্বে) ও [[পাঞ্জাব (ব্রিটিশ ভারত)|পাঞ্জাব]] ও [[সিন্ধুপ্রদেশ]] ([[গুলাম হুসেন হিদয়াতুল্লা|গুলাম হুসেনের]] নেতৃত্বে) ছোটো ছোটো কমিউনিস্ট গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এঁদের মধ্যে একমাত্র উসমানিই সিপিআই-এর দলীয় সদস্য হয়েছিলেন।<ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 89</ref>
 
১৯২০-এর দশক ও ১৯৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে দলের সংগঠনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বিভিন্ন কমিউনিস্ট গোষ্ঠী সীমাবদ্ধ জাতীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের কমিউনিস্ট ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সেই জন্য দলের মধ্যে ঐক্যস্থাপন খুব কঠিন ছিল। ১৯২১ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে তিনটি ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করা হয়। এগুলি হল [[পেশোয়ার ষড়যন্ত্র মামলা]], মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা ও কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলা। এই প্রথম তিন মামলায় রাশিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুহাজির কমিউনিস্টদের বিচার হয়। যদিও কানপুর মামলাটি অধিকতর বেশি পরিমাণে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছিল। ১৯২৪ সালের ১৭ মার্চ এই মামলায় মানবেন্দ্রনাথ রায়, এস. এ. ডাঙ্গে, মুজফফর আহমেদ, নলিনী গুপ্ত, শৌকত উসমানি, সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার, গুলাম হুসেন ও আর. সি. শর্মাকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদেরতাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল এই যে তাঁরাতারা ‘একটি সহিংস বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতকে ব্রিটেনের সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে সম্রাটকে ব্রিটিশ ভারতের সার্বভৌমত্ব থেকে বঞ্চিত করার’ চেষ্টা করছেন। দৈনিক সংবাদপত্রগুলির পাতায় পাতায় কমিউনিস্টদের বিপ্লবী পরিকল্পনার বিবরণ ছাপা হতে শুরু করে। সেই প্রথম ভারতীয়রা সাম্যবাদ, সাম্যবাদী মতাদর্শ এবং ভারতে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারে।<ref name="Ralhan, O.P.">Ralhan, O.P. (ed.) ''Encyclopedia of Political Parties'' New Delhi: Anmol Publications p. 336, Rao. p. 89-91</ref>
 
সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুক্তি পান। মানবেন্দ্রনাথ রায় জার্মানিতে ছিলেন এবং আর. সি. শর্মা ছিলেন ফরাসি উপনিবেশ [[পুদুচেরি|পন্ডিচেরিতে]]। তাই তাঁদেরতাদের গ্রেফতার করা যায়নি। গুলাম হুসেন স্বীকার করে নেন যে তিনি [[কাবুল|কাবুলে]] রাশিয়ানদের থেকে অর্থ নিয়েছিলেন। তাঁকেতাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মুজফফর আহমেদ, নলিনী গুপ্ত, শৌকত উসমানি ও ডাঙ্গেকে কয়েক দফায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলাটি ভারতীয়দের কাছে সাম্যবাদকে পরিচিত করে তোলার জন্য অনেকাংশে দায়ী।<ref name="Ralhan, O.P."/> ১৯২৭ সালে ডাঙ্গে মুক্তি পান।
 
১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর [[কানপুর|কানপুরে]] একটি কমিউনিস্ট কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অনুমান অনুসারে, ৫০০ জন সেই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছিল। কনফারেন্সের আহ্বায়ক ছিলেন সত্যভক্ত নামে এক ব্যক্তি। কনফারেন্সে সত্যভক্ত কমিনটার্নের অধীনে থাকার পরিবর্তে একটি ‘[[জাতীয় সাম্যবাদ|জাতীয় সাম্যবাদে’র]] পক্ষে মত প্রকাশ করেন। কিন্তু ভোটে তাঁর মত পরাজিত হলে তিনি প্রতিবাদে কনফারেন্সের স্থান পরিত্যাগ করেন। এই কনফারেন্সে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ নামটি গৃহীত হয়। [[লেবার কিসান পার্টি অফ হিন্দুস্তান]] (এলকেপিএইচ) প্রভৃতি কয়েকটি গোষ্ঠী সিপিআই-এর সঙ্গে মিশে যায়।<ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 92-93</ref> নবগঠিত সিপিআই-এর সাংগঠনিক শক্তি কম হলেও এটি ভারতে কাজ চালানোর মতো সংগঠন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
৫৯ নং লাইন:
১৯২৮ সালে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের ষষ্ঠ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। ১৯২৭ সালে [[কুওমিনটাং]] চীনা কমিউনিস্টদের বিরোধিতা করেছিলেন। চীনা কমিউনিস্টরা ঔপনিবেশিক দেশগুলির জাতীয় বুর্জোয়া দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধার নীতি গ্রহণ করেছিল। ষষ্ঠ কমিনটার্ন কংগ্রেসের ঔপনিবেশিক তত্ত্ব অনুসারে ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডাক দেওয়া হয় ‘জাতীয়-সংশোধনবাদী নেতৃবৃন্দের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এবং ‘[[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] জাতীয় সংশোধনবাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য এবং স্বরাজবাদী, গান্ধীবাদী ইত্যাদি সকল ধরনের নিষ্ক্রিয় প্রতিবাদী শব্দগুলির বিরোধিতা করার জন্য’।<ref name="saha">Saha, Murari Mohan (ed.), ''Documents of the Revolutionary Socialist Party: Volume One 1938–1947''. Agartala: Lokayata Chetana Bikash Society, 2001. p. 21-25</ref> কংগ্রেস যদিও চীনা কুওমিংটাং ও ভারতীয় [[স্বরাজ্য দল|স্বরাজ্য দলের]] মধ্যে পার্থক্য আছে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং স্বরাজ্য দলকে নির্ভরযোগ্য বন্ধু বা প্রত্যক্ষ শত্রু কোনোটি তকমা দিতে অস্বীকার করে। কংগ্রেসে ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডাক দেওয়া হয় জাতীয় বুর্জোয়া শক্তি ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরোধের জায়গাগুলি ব্যবহার করার জন্য।<ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 47-48</ref> এছাড়া কংগ্রেসে ডব্লিউপিপি-র সমালোচনা করা হয়। ৩ জুলাই, ১৯২৯{{spaced ndash}}১৯ জুলাই, ১৯২৯ তারিখের কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের কার্যনির্বাহী সমিতির দশম প্লেনাম অনুসারে, ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডব্লিউপিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে ডব্লিউপিপি ভেঙে যায়।<ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 97-98, 111–112</ref>
 
১৯২৯ সালের ২০ মার্চ ডব্লিউপিপি, সিপিআই ও অন্যান্য শ্রমিক নেতাদের ভারতের নানা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলাটি [[মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা]] নামে পরিচিত। কমিউনিস্ট নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়। চার বছর ধরে তাঁদেরতাদের বিচার চলে।<ref>Ralhan, O.P. (ed.). ''Encyclopaedia of Political Parties – India – Pakistan – Bangladesh – National -Regional – Local. Vol. 23. Revolutionary Movements (1930–1946)''. New Delhi: Anmol Publications, 2002. p. 689-691</ref><ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 96</ref>
 
১৯৩৪ সালে সিপিআই-এর প্রধান কর্মস্থল ছিল বোম্বাই, কলকাতা ও পাঞ্জাব। দল মাদ্রাজেও কার্যকলাপ বিস্তার করছিল। আমির হায়দার খান অন্ধ্র ও তামিল ছাত্রদের একটি গোষ্ঠীকে সিপিআই-এর অন্তর্ভুক্ত করেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন [[পি. সুন্দরায়া]]।<ref name="ems7">[[E.M.S. Namboodiripad]]. ''The Communist Party in Kerala – Six Decades of Struggle and Advance''. New Delhi: National Book Centre, 1994. p. 7</ref>
৬৭ নং লাইন:
১৯৩৪ সালে ভারতীয় বামপন্থী নেতারা [[কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি]] (সিএসপি) গঠন করলে সিপিআই এই দলটিকে [[সমাজতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদ|সমাজতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী]] আখ্যা দেয়।<ref name="saha"/>
 
[[কমিনটার্ন]] [[জনপ্রিয় ফ্রন্ট]] রাজনীতির দিকে নীতি পরিবর্তন করলে ভারতীয় কমিউনিস্টরা [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] সঙ্গে তাঁদেরতাদের সম্পর্কে পরিবর্তন আনেন। কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের বামপন্থী শাখা কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। সিএসপিতে যোগদানের মাধ্যমে সিপিআই সিএসপির গণপরিষদের দাবি মেনে নেয়। এই দাবি দুই বছর আগে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। যদিও সিপিআই-এর ব্যাখ্যা অনুসারে একটি গণপরিষদ [[সোভিয়েত (কাউন্সিল)|সোভিয়েতের]] সমতুল্য ছিল না।<ref name="mnroy">Roy, Samaren. ''M.N. Roy: A Political Biography''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Orient Longman, 1998. p. 113, 115</ref>
 
১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে সিপিআই-এর প্রথম [[কেরল]] শাখাটি [[কালিকট|কালিকটে]] একটি গোপন বৈঠকে গঠিত হয়। এই বৈঠকে পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন [[পি. কৃষ্ণ পিল্লাই]], [[ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ]], এন. সি. শেখর, [[কে. দামোদরন]] ও এস. ভি. ঘাটে। এঁদের মধ্যে প্রথম চার জন ছিলেন কেরলে সিএসপি-এর সদস্য। ঘাটে ছিলেন সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন।<ref>[[E.M.S. Namboodiripad]]. ''The Communist Party in Kerala – Six Decades of Struggle and Advance''. New Delhi: National Book Centre, 1994. p. 6</ref> কেরলে সিএসপি ও সিপিআই-এর মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। সেই সময় পি. সুন্দরায়া (সেই সময় মাদ্রাজের বাসিন্দা ও সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য) নাম্বুদিরিপাদ ও কৃষ্ণ পিল্লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সুন্দরায়া ও ঘাটে কয়েকবার কেরলে আসেন এবং সেখানকার সিএসপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস, সিএসপি ও [[সারা ভারত কৃষক সভা|সারা ভারত কৃষক সভার]] জাতীয় সম্মেলনগুলিতে এই যোগাযোগ আরও দৃঢ় হয়।<ref name="ems7"/>
৭৭ নং লাইন:
১৯৪০ সালে সিপিআই-এর রামগড় কংগ্রেস কনফারেন্সে দল ‘প্রলেতারিয়ান পথে’র কথা ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়ে সাধারণ ধর্মঘট, সরকারকে আর্থিক সুযোগসুবিধা দান বন্ধ করা এবং সশস্ত্র বিদ্রোহে মানুষকে উৎসাহিত করার ডাক দেওয়া হয়। সিএসপি জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতি [[রামগড় ক্যান্টনমেন্ট|রামগড়ে]] সমবেত হয়ে সকল কমিউনিস্টকে সিএসপিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।<ref>Ralhan, O.P. (ed.). ''Encyclopedia of Political Parties – India – Pakistan – Bangladesh – National -Regional – Local. Vol. 24. Socialist Movement in India''. New Delhi: Anmol Publications, 1997. p. 82</ref>
 
১৯৪২ সালের জুলাই মাসে সিপিআই আইনি স্বীকৃতি লাভ করে।<ref>[[Harkishan Singh Surjeet|Surjeet, Harkishan Surjeet]]. ''March of the Communist Movement in India – An Introduction to the Documents of the History of the Communist Movement in India''. [[Calcutta]]: National Book Agency, 1998. p. 55</ref> অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের উপর কমিউনিস্টদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পায়। একই সময় কমিউনিস্টরা তাঁদেরতাদের [[ভারত ছাড় আন্দোলন|ভারত ছাড়ো আন্দোলনের]] বিরোধিতা সম্পর্কে রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলেন।
 
১৯৪৬ সালে সিপিআই একক শক্তিতে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ১৫৮৫টি আসনের মধ্যে ১০৮টি আসনে লড়ে তারা আটটি আসন পায়। সিপিআই-এর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৬৬৬,৭২৩। উল্লেখ্য, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৮৬% এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দল বাংলায় তিনটি আসনে জয় লাভ করে তিনটি আসনেই জয় লাভ করে। সিপিআই প্রার্থী [[সোমনাথ লাহিড়ী]] গণপরিষদে নির্বাচিত হন।<ref>M.V. S. Koteswara Rao. ''Communist Parties and United Front – Experience in Kerala and West Bengal''. [[Hyderabad, India|Hyderabad]]: Prajasakti Book House, 2003. p. 207.</ref>