ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2409:4061:704:EDA6:0:0:283C:60AD-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nokib Sarkar-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{about|ইসলাম ধর্ম|ইসলামী সভ্যতার ইতিহাস সমন্ধে জানার|ইসলামের ইতিহাস|অন্য অর্থে ব্যাবহারের}}
'''ইসলাম''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]:আল-ইসলাম,[ ] {{IPA-ar|الإسلام‎‎||ar-al_islam.ogg}}[[রোমান্স ভাষাসমূহ|রোমান হরফে]]:al-Islām [____])<ref group=টীকা>ইংরেজি ভাষায় ''ইসলাম'' (al-Islām) শব্দটির দশটি উচ্চারণ রয়েছে। উচ্চারণের সময় আক্ষরিকভাবে কোন 'সিলাবলটির উপর জোর দেয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এই আলাদা আলাদা উচ্চারণগুলো প্রচলিত হয়েছে। এখানে বাংলা একাডেমি অভিধানের উচ্চারণদুটি দেয়া হল। ইউ.এস([[চিত্র:বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_বাংলা একাডেমি অভিধানে ইসলাম শব্দের উচ্চারণ (ইউ_এসইউ এস).png|alt=চিত্র:বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_(ইউ_এস)|ফ্রেমহীন|58x58পিক্সেল]]), ইউ.কে([[চিত্র:বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_বাংলা একাডেমি অভিধানে ইসলাম শব্দের উচ্চারণ (ইউ_কেইউ কে).jpeg|alt=বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_(ইউ_কে)|ফ্রেমহীন|63x63পিক্সেল]])</ref> একটি [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] এবং [[ইব্রাহিমীয় ধর্ম|ইব্রাহিমীয়]] ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক [[আল্লাহ]] ছাড়া আর কোন [[ঈশ্বর]] নেই এবং [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ]] হলেন আল্লাহর প্রেরিত [[নবী]] ও [[রাসূল]]।<ref> {{citeবই bookউদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=আল-হক্কানী|first1প্রথমাংশ১=শায়েখ মুহাম্মদ নাজিম আদিল|last2শেষাংশ২=কাব্বানি|first2প্রথমাংশ২=শায়েখ মুহাম্মদ হিশাম|titleশিরোনাম=মুহাম্মদ, ইসলামের বার্তাবাহক: তার জীবন ও ভবিষ্যতবানী |languageভাষা=ইংরেজী|urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=31tscfPF4tkC|yearবছর=2002|publisherপ্রকাশক=আই এস সি এ|isbnআইএসবিএন=978-1-930409-11-8|pageপাতা=[https://books.google.com/books?id=31tscfPF4tkC&pg=PR10&dq=%22his+messengers%22+including x]|quoteউক্তি=[আল্লাহ তার বানী পাঠিয়েছেন অনেক রাসূলের মাধ্যমে] তারমধ্যে রয়েছেন নূহ,ইব্রাহীম, মূসা,ঈসা এবং আমাদের শেষ নবী মুহাম্মদ। [...] }} </ref><ref>{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি|authorলেখক=জন এল. স্পোছিতো
|titleশিরোনাম=ইসলাম।রূপরেখা|languageভাষা=ইংরেজী|encyclopediaবিশ্বকোষ=দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড|editorসম্পাদক=জন এল. স্পোছিতো|publisherপ্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|locationঅবস্থান=অক্সফোর্ড|yearবছর=2009 |quoteউক্তি=মূল বিশ্বাস [...] ইসলামের পরম একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন ও মুহাম্মদকে ঈশ্বরের শেষ নবী ও বার্তাবাহক বলে স্বীকার করা নেওয়া|doiডিওআই=10.1093/acref/9780195305135.001.0001|isbnআইএসবিএন=9780195305135}}</ref><ref name="OEIW-allah">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি|authorলেখক=এফ. ই পিটার্স|titleশিরোনাম=আল্লাহ্ |languageভাষা=ইংরেজী|encyclopediaবিশ্বকোষ=দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড|editorসম্পাদক=জন এল. স্পোছিতো|publisherপ্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|locationঅবস্থান=অক্সফোর্ড|yearবছর=2009 |quoteউক্তি=মুসলমানদের আল্লাহ সমন্ধে জ্ঞানের ভিত্তি হল [...] কুরআন তাফসীরের দেয়া সাক্ষী । আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,সৃষ্টিকর্তা, সার্বভৌম এবং মানবজাতীর বিচারকর্তা।আল্লাহই তাই নিজ ক্ষমতাবলে এই মহাবিশ্ব,প্রকৃতিকে চালিত করেন এবং যুগে যুগে রাসুলগন পাঠিয়ে মানবজাতীকে পথ প্রদর্শন করিয়েছেন। আর তার নবীগন ;আব্রাহাম, মোজেস, জিসাস এবং মুহাম্মদ কে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন তার পছন্দনীয় কিছু সম্প্রদায়, "আহলে কিতাব"।
|doiডিওআই=10.1093/acref/9780195305135.001.0001 |isbnআইএসবিএন=9780195305135 }}</ref> এটি [[প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহ|বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম]] এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম,<ref name="landscape">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://countrymeters.info/en/World#religion/|titleশিরোনাম=বিশ্ব ধর্ম|languageভাষা=ইংরেজী|dateতারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৯ }}</ref> <ref name="pewmuslim12" /> যার অনুসারী সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪ %,যারা [[মুসলিম|মুসলমান]] নামে পরিচিত।<ref name="countrymeters2019" > যারা [[মুসলিম|মুসলমান]] নামে পরিচিত।
</ref><ref>[http://www.oxforddictionaries.com/us/definition/american_english/muslim অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে], " 'ইসলাম ধর্মের অনুসারী' বোঝানোর জন্য মুসলিম শব্দটিই সবচেয়ে প্রচলিত। কখনো কখনো মোসলেম ও ব্যাবহৃত হয়।" </ref> মুসলমানরা [[দেশ অনুযায়ী ইসলাম|৫০ এর অধিক দেশের]] সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি।<ref name="landscape" /> ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়,এক,অদ্বিতীয়, এবং [[তাওহিদ|একমাত্র আরাধনাযোগ্য]] অভিভাবক।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=ক্যাম্পো|firstপ্রথমাংশ=জুয়ান এডোয়ার্ডো|titleশিরোনাম=এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম|languageভাষা=ইংরেজী|chapterঅধ্যায়ের-urlইউআরএল={{Google books|OZbyz_Hr-eIC|page=|keywords=|text=|plainurl=yes}}|year=2009|publisherপ্রকাশক=ইনফোবেস পাবলিশিং|isbnআইএসবিএন=978-1-4381-2696-8|pageপাতা=34|chapterঅধ্যায়=আল্লাহ}}</ref> মানবজাতীকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে যুগে অনেক [[ইসলামের পয়গম্বর|নবী-রাসূল]],[[আসমানী কিতাব]] এবং [[আয়াত|নিদর্শন]] পাঠিয়েছেন ।<ref>{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি|authorলেখক=İbrahim Özdemir|titleশিরোনাম= পরিবেশ|languageভাষা=ইংরেজী|editorসম্পাদক=ইব্রাহীম কালিন|encyclopediaবিশ্বকোষ=অক্সফোর্ড বিশ্বকোষ, ইসলামে দর্শন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি|publisherপ্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|locationঅবস্থান=অক্সফোর্ড|yearবছর=2014 |quoteউক্তি=যখন মক্কার পৌত্তলিকরা আল্লাহর অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোন প্রমান, চিহ্য বা অলৌকিক কিছু দেখতে চেয়েছিল কুরআন তখন তাদের দৃষ্টিকে প্রকৃতির জটিলতা,সূক্ষতা ও শৃঙ্খলার দিকে ঘুরিয়ে দিল। একারনেই কুরআনের প্রথম দিকের আয়াতগুলোতে আমন্ত্রন জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যকার দৃৃশ্যমান প্রকৃতির মধ্যে কেউ যেন পারলে একটি খুঁতও খুঁজে বের করে দেখাক। [...]এভাবেই কুরআন পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সৃষ্টির সবকিছুই আসলে ঈশ্বরের অলৌকিকত্বের নিশানা (আয়াত) আর আমন্ত্রন জানিয়েছে তাকে খুঁজতে।|doiডিওআই= 10.1093/acref:oiso/9780199812578.001.0001 |isbnআইএসবিএন= 9780199812578 }}</ref> ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল [[কুরআন]] যা স্বয়ং আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করা হয়; আর নবী (সাঃ)(২৯ আগষ্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর প্রদত্ত শিক্ষা,পদ্ধতি, জীবনাদর্শকে [[সুন্নাহ]] বলা হয় যা [[হাদিস|হাদীস]] নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।[[চিত্র:Kaaba at night.jpg|thumb|205px||[[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] [[মক্কা]]র [[কাবা শরীফ]]; যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন।]]
 
ইসলামী ধর্মগ্রন্থে দাবী করা হয়েছে যে,এটি একটি [[দ্বীন]], একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, মানুষের [[ফিতরাহ|চিরন্তন ধর্ম]], একমাত্র সার্বজনীন সত্য ধর্ম। ইসলামী ধর্মমত অনুযায়ী, যুগে যুগে [[আদম (ইসলামের পয়গম্বর)|আদম]],[[ইব্রাহিম]],[[মূসা]],[[ঈসা]] সহ সকল রাসূলগণের উপর যেসব [[আসমানী কিতাব]] অবতীর্ন হয়েছিল, মূল [[আরবি ভাষা|আরবি]] [[কুরআন]] হল তারই সর্বশেষ, পূর্নাঙ্গ, অপরিবর্তীত চূড়ান্ত সংস্করণ।<ref name="People-of-the-Book">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.pbs.org/empires/islam/faithpeople.html |titleশিরোনাম=পিপল অব দ্য বুক |languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=[[ইসলাম: এম্পায়ার অব ফেইথ]] |publisherপ্রকাশক=পি বি এস|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2010-12-18}}</ref><ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=রিভস্ |firstপ্রথমাংশ=জে.সি.|yearবছর=2004 |titleশিরোনাম=বাইবেল অ্যান্ড কুরআন:এছেই'স ইন স্ক্রিপ্টুয়্যাল ইন্টারটেক্সুয়্যালিটি|languageভাষা=ইংরেজী|locationঅবস্থান=লেইডেন |publisherপ্রকাশক=ব্রিল |pageপাতা=১৭৭ |urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=WNId86Eu4TEC&printsec=frontcover&hl=fr&redir_esc=y#v=onepage&q=all%20prophets&f=false |isbnআইএসবিএন=9-0041-2726-7}}</ref><ref>{{Citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.cnn.com/2015/10/21/living/yom-kippur-muslims/index.html|titleশিরোনাম=একটা ইহুদী ছুটির দিনকে কেন মুসলমানরা পালন করে|languageভাষা=ইংরেজী|lastশেষাংশ=মঘুল|firstপ্রথমাংশ=হারুন|publisherপ্রকাশক=সি এন এন|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=2018-01-18}}</ref> <ref>{{Harvtxt|Bennett |2010|p=101}}</ref> অন্যান্য [[ইব্রাহিমীয় ধর্ম|ইব্রাহিমীয় ধর্মের]] মত ইসলামও শেষবিচারের শিক্ষা দেয় যেখানে সৎকর্মশীলরা পুরষ্কারস্বরূপ [[জান্নাত]] পাবে আর পাপীরা [[জাহান্নাম|জাহান্নামের]] সাজা পাবে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t125/e588?_hi=1&_pos=2|titleশিরোনাম=পরকালবিদ্যা-অক্সফোর্ড ইসলামি শিক্ষা অনলাইন|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=www.oxfordislamicstudies.com|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=2018-01-18}}</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.al-islam.org/last-journey-translation-manazil-al-akhirah-shaykh-abbas-qummi/paradise-jannat|titleশিরোনাম=স্বর্গ (জান্নাত)|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=Al-Islam.org|dateতারিখ=2016-04-26}}</ref> ধর্মীয় কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম হল [[ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ]],যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য । তাদেরকে ইসলামী আইন'ও ([[শরিয়াহ|শরীয়াহ্]]) মেনে চলতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও জীবনের সকল ক্ষেত্র ও যাবতীয় কার্যকলাপকে নির্ধারণ করে দেয় । [[ব্যাংক|ব্যাঙ্কিং]] থেকে [[যাকাত|দান-ছদকাহ্]], [[ইসলামে নারী|নারী]] থেকে [[আখলাক|পরিবেশ]] সবই এর অন্তর্গত।<ref>{{Harvtxt|Esposito|2002b|pp=১৭}}</ref><ref>{{Harvtxt|Esposito|2002b| pp=১১১–১১২, ১১৮}}
*{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি | titleশিরোনাম=শরিয়াহ্|languageভাষা=ইংরেজী|encyclopediaবিশ্বকোষ=এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন| refসূত্র=harv }}
</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.oxforddictionaries.com/definition/english/sharia|শিরোনাম=ব্রিটিশ ও বিশ্ব ইংরেজী: শরিয়াহ|languageভাষা=ইংরেজী|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>[[মক্কা]],[[মদিনা]] ও [[জেরুসালেম|জেরুসালেম]] ইসলামে সবচেয়ে সম্মানিত ও পবিত্র তিন শহর।<ref name="Trofimov">{{Citation|last=ট্রপিমভ্|first=ইয়ারোস্লাভ|title=দ্য সিজ অব মক্কা:দ্য ১৯৭৯ আপরাইজিং অ্যাট ইসলাম'স হোলিয়েস্ট শ্রাইন|language=ইংরেজী|year=2008|page=79|place=নিউ ইয়র্ক|isbn=978-0-307-47290-8}}</ref>
 
যদিও এর উৎপত্তি সমন্ধে মুসলমানরা [[আকীদা|ধর্মতত্ত্বীয়গতভাবে]] আলাদা ধারনা পোষণ করে,<ref name="Esposito1998">{{citeবই bookউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=স্পোছিতো |firstপ্রথমাংশ=জন এল |titleশিরোনাম=ইসলাম:সরল পথ (৩য় সংস্করণ)|languageভাষা=ইংরেজী|yearবছর=1998 |publisherপ্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|isbnআইএসবিএন=978-0-19-511234-4 |pagesপাতাসমূহ=৯,১২}}</ref><ref>{{Harvtxt|Esposito|2002b|pp=4–5}}</ref><ref name="Peters2003">{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=পিটার্স |firstপ্রথমাংশ=এফ.ই |titleশিরোনাম=ইসলাম:ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা|languageভাষা=ইংরেজী|yearবছর=2003 |publisherপ্রকাশক=প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস|isbnআইএসবিএন=978-0-691-11553-5 |pageপাতা=[https://archive.org/details/islamguideforjew00fepe/page/9 9] |urlইউআরএল=https://archive.org/details/islamguideforjew00fepe/page/9 }}</ref> তবে [[ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস|ইতিহাসগতভাবে]] এর উৎপত্তি ৭ম শতকের শুরুতে মক্কায়,<ref>{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|urlইউআরএল={{google books |plainurl=y |id=AQUZ6BGyohQC|page=5}}|title=ইসলাম অ্যান্ড দ্য ইন্টিগ্রেশন অব সোসাইটি|languageভাষা=ইংরেজী|lastশেষাংশ=ওয়াট|firstপ্রথমাংশ=উইলিয়াম মন্টোগোমারি|dateতারিখ=2003|publisherপ্রকাশক=সাইকোলজি প্রেস|isbnআইএসবিএন=9780415175876|locationঅবস্থান=|pagesপাতাসমূহ=5 }}</ref> এবং ৮ম শতক নাগাদ [[উমাইয়া খিলাফত]] পশ্চিমে [[আন্দালুস|ইবেরিয়া (স্পেন)]] থেকে পূর্বে [[সিন্ধু নদ]] পর্যন্ত বিরাট অঞ্চল জুড়ে সম্প্রসারিত হয়। ৮ম থেকে ১৩ শতককে ঐতিহ্যগতভাবে [[ইসলামি স্বর্ণযুগ|ইসলামী স্বর্নযুগ]] বলা হয়। ঐতিহাসিকভাবে [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসীয় খিলাফতের]] আমলে মুসলিম বিশ্ব [[ইসলামী বিজ্ঞান|বৈজ্ঞানিক]],[[ইসলামি অর্থনীতির ইতিহাস|অর্থনৈতিক]] ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নতির শীর্ষে ছিল।<ref name="Saliba">জর্জ সাবিলা (১৯৯৪), ''আরবিয় জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস:ইসলামী স্বর্নযুগে গ্রহতত্ব'', পৃষ্ঠা . ২৪৫, ২৫০, ২৫৬–২৫৭. নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস , {{ISBN|0-8147-8023-7}}.</ref><ref name="King">{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | doiডিওআই = 10.1086/353360 | last1শেষাংশ১ = কিং | first1প্রথমাংশ১ = ডেভিড এ. | yearবছর = 1983 | titleশিরোনাম = মামলুক আমলে জ্যোতির্বিদ্যা|languageভাষা=ইংরেজী| urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = আইসিস | volumeখণ্ড = 74 | issueসংখ্যা নং = 4| pagesপাতাসমূহ = 531–555 | refসূত্র = harv }}</ref><ref name="Hassan-Decline">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=আল-হাসান |firstপ্রথমাংশ=আহমেদ ওয়াই.|titleশিরোনাম=ষোড়শ শতকের পর ইসলামী বিজ্ঞানের পতনের কারনসমূহ|languageভাষা=ইংরেজী|urlইউআরএল=http://www.history-science-technology.com/articles/articles%208.html |encyclopediaবিশ্বকোষ=ইসলাম এবং আধুনিকতার চ্যালেঞ্জ, ইসলাম এবং আধুনিকতার চ্যালেঞ্জ: ঐতিহাসিক ও সমসাময়ীক প্রেক্ষিতঃ আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিকা, কুয়ালা লামপুর, ১-৫ আগষ্ট, ১৯৯৪|editorসম্পাদক=শরিফা শিফা আল-আত্তাস|publisherপ্রকাশক=ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশ্যন (আই এস টি এ সি)|dateতারিখ=1996 |pagesপাতাসমূহ=351–399 | archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150402150434/http://www.history-science-technology.com/articles/articles%208.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=2 April 2015}}</ref> [[ইসলামের প্রসার]] ঘটেছে মূলত ধর্মপ্রচার এবং [[মুসলিম বিজয়|রাজ্যজয়ের]] মাধ্যমে। রাজ্যজয়গুলো ঘটেছিল আলাদা আলাদা সম্রাজ্যের দ্বারা যেমন [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সম্রাজ্য]],   আর [[ধর্মান্তরিত করন|ধর্মান্তরিতকরন]] ঘটেছিল [[ইসলামি ধর্মপ্রচার কার্যক্রম|ইসলামী ধর্মপ্রচার কার্যক্রমের]] ([[দাওয়াত]]) মাধ্যমে।<ref>দ্য প্রিচিং অব ইসলাম:আ হিস্ট্রি অব দ্য প্রোপাগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ বাই স্যর থমাস ওয়াকার আর্নল্ড,পৃষ্ঠা ১২৫-২৫৮</ref>
 
প্রায় সব মুসলমান দুইটি প্রধান [[ইসলামিক স্কুল এবং শাখা|সম্প্রদায়ের]] অন্তর্গত,[[সুন্নি (ইসলাম)|সুন্নি]] (৭৫-৯০%) অথবা [[শিয়া ইসলাম|শিয়া]] (১০-২০℅)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.pewforum.org/2009/10/07/mapping-the-global-muslim-population/|শিরোনাম=ম্যাপিং দ্য গ্লোবাল মুসলিম পপুলেশন: অ্যা রিপোর্ট অন দ্য সাইজ ডিস্ট্রিবিউশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড'স মুসলিম পপুলেশন|languageভাষা=ইংরেজী|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=October 7, 2009|ওয়েবসাইট=[[Pew Research Center]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ [[ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম|ইন্দোনেশীয়া]],বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ১৩%'ই এখানে বাস করেন।<ref name=pew2015countries>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.pewforum.org/2015/04/02/muslims/pf_15-04-02_projectionstables74/|titleশিরোনাম=সবচেয়ে বেশী মুসলিম জনসংখ্যার ১০ দেশ, ২০১০ থেকে ২০৫০|languageভাষা=ইংরেজী|dateতারিখ=2015-04-02|websiteওয়েবসাইট=পিউ রিসার্চ সেন্টার্স রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফ প্রোজেক্ট|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=2017-02-07}}</ref> বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ৩১%'ই বাস করেন [[দক্ষিন এশিয়ায় ইসলাম|দক্ষিন এশিয়ায়]],<ref>{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|urlইউআরএল={{google books|plainurl=y|id=kaubzRxh-U0C}}|page=[https://books.google.com/books?id=kaubzRxh-U0C&pg=PA193 193] |titleশিরোনাম=দক্ষিন এশিয়ার ধর্মগুলো:ঐতিহ্য এবং বর্তমান|languageভাষা=ইংরেজী|lastশেষাংশ=পিচিলিস|firstপ্রথমাংশ=কারেন|last2শেষাংশ২=রাজ|first2প্রথমাংশ২=সিলভা জে.|dateতারিখ=2013|publisherপ্রকাশক=রুটলেজ|isbnআইএসবিএন=9780415448512 }}</ref> মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশটাই  এখানে।<ref>{{Citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://thediplomat.com/2016/01/how-south-asia-will-save-global-islam/|titleশিরোনাম=যেভাবে দক্ষিন এশিয়া বৈশ্বিক ইসলামকে বাঁচাবে|languageভাষা=ইংরেজী|lastশেষাংশ= দ্য ডিপ্লোম্যাট|firstপ্রথমাংশ=আখিলেশ পাল্লিলিমারি|newspaperসংবাদপত্র=দ্য ডিপ্লোম্যাট |accessসংগ্রহের-dateতারিখ=2017-02-07}}</ref> [[মেনা (অঞ্চল)|মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা]] অঞ্চলে বাস করেন ২০% <ref>{{Citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.pewforum.org/2009/10/07/mapping-the-global-muslim-population10/|titleশিরোনাম=মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা|languageভাষা=ইংরেজী|dateতারিখ=2009-10-07|workকর্ম=পিউ রিসার্চ সেন্টার'স রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফ প্রযেক্ট|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=2018-01-18}}</ref> এবং এটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান ধর্ম।<ref name="pewmuslim22">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://pewforum.org/future-of-the-global-muslim-population-regional-middle-east.aspx|titleশিরোনাম=অঞ্চল:মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ|publisherপ্রকাশক=পিউ রিসার্চ সেন্টার|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=22 December 2011|dateতারিখ=2011-01-27}}</ref> ১৫% বাস করেন [[সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা|সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে]]।<ref name="pewmuslim32">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://pewforum.org/future-of-the-global-muslim-population-regional-sub-saharan-africa.aspx|titleশিরোনাম=অঞ্চল: সাহারা নিম্ন আফ্রিকা|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ|publisherপ্রকাশক=পিউ রিসার্চ সেন্টার|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=22 December 2011|dateতারিখ=2011-01-27}}</ref> এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমান [[দেশ অনুযায়ী ইসলাম|মুসলমান সম্প্রদায়]] দেখা যায় [[আমেরিকায় ইসলাম|আমেরিকা]],[[ককেসাস|ককেশাস]],[[মধ্য এশিয়ায় ইসলাম|মধ্য এশিয়া]],[[চীনে ইসলাম|চীন]],[[ইউরোপে ইসলাম|ইউরোপ]],[[ইন্দোচীন]],[[ফিলিপাইনে ইসলাম|ফিলিপাইন]] ও [[রাশিয়ায় ইসলাম|রাশিয়াতে]]। <ref name="pewmuslim12">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://features.pewforum.org/muslim-population/|titleশিরোনাম=দেশ অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যা|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ|publisherপ্রকাশক=পিউ রিসার্চ সেন্টার|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110209094904/http://www.pewforum.org/The-Future-of-the-Global-Muslim-Population.aspx|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=9 February 2011|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=22 December 2011|df=}}</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.aljazeera.com/amp/indepth/features/islam-russia-180307094248743.html&ved=2ahUKEwjnwtPN1OXfAhXNSxUIHQhBA4gQFjAMegQIBhAB&usg=AOvVaw27U7hQK-1THu2LP_Be0os7&ampcf=1&cshid=1547207388328|titleশিরোনাম=রাশিয়ায় ইসলাম|languageভাষা=ইংরেজী|websiteওয়েবসাইট=www.aljazeera.com}}</ref>
 
==অর্থ ও উৎপত্তি==
(إسلام) ইসলাম শব্দটি (س-ل-م) সিল্.ম (সি-ল্-ম) শব্দমূল হতে গঠিত, ([[চিত্র:Verbal Roots of (Š-L-M)(س-ل-م).jpg|alt=ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)|ফ্রেমহীন|85x85পিক্সেল]])এর মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)। বুৎপত্তিগতভাবে সাল্.ম (س-ل-م)এর কয়েকটি অর্থ হল,(১) বাহ্য ও অভ্যন্তরীণ উভয়বিধ অপবিত্রতা (বিপদ-আপদ) ও দোষ-ত্রুটি হইতে মুক্ত (পবিত্র) থাকা; (২) সন্ধি ও নিরাপত্তা ; (৩) শান্তি ও (৪) আনুগত্য ও হুকুম পালন।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ইসলামী বিশ্বকোষ ৫ম খণ্ড (২য় সংস্করণ)|শেষাংশ=সম্পাদনা পরিষদ|প্রথমাংশ=ইসলামী বিশ্বকোষ|বছর=২০০৬|প্রকাশক=ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ|অবস্থান=বায়তুল মোকাররম, ঢাকা|পাতাসমূহ=৫১২|আইএসবিএন=9840611020}}</ref>
 
সালাম ও সাল্.ম উভয় শব্দেরই অর্থ হল আনুগত্য, আত্নসমর্পন ও হুকুম পালন। অর্থগুলোর মধ্যে 'পবিত্র ও দোষ- ত্রুটিমুক্ত হওয়া' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই শব্দমূল হতে (ক্রিয়াপদে/ফে'ল) (أَسْلَمَ) আসলামা, ইসলাম গ্রহণ করল ও ক্রিয়াবিশেষ্য (إِسْلَام) ইসলাম, আত্নসমর্পন এবং কতৃকারকে (يُسْلِمُ৷) য়ুস্.লিমু, ইসলাম গ্রহনকারীগ্রহণকারী শব্দতিনটির উৎপত্তি হয়েছে।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, ১ম খন্ড|শেষাংশ=সম্পাদনা পরিষদ|প্রথমাংশ=ইসলামী বিশ্বকোষ|বছর=২০০৭|প্রকাশক=ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ|অবস্থান=বাইতুল মোকাররম, ঢাকা|পাতাসমূহ=১৯২|আইএসবিএন=984-06-0252-7}}</ref> <ref group= টীকা>আরবীতে ক্রিয়ার রুপ ও ব্যাবহার বাংলা/ইংরেজি ব্যাকরন হতে মৌলিকভাবে আলাদা) </ref>
 
সিল্.ম,সিলাম ও সালিম এর অর্থ কঠিন প্রস্তর, কারন ওতে কোমলতা নাই,নরম হওয়া থেকে মুক্ত। সালাম এর আরেক অর্থ, বাবলা গাছের ন্যায় কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ,যা কাঁটাযুক্ত হওয়ায় বিপদআপদ থেকে মুক্ত থাকে। আল্লাহর গুনবাচক নাম আস-সালাম শব্দটির মধ্যেও যাবতীয় দূর্বলতা থেকে মুক্ত, এমন অর্থ নিহিত রয়েছে। সাল্.ম এর যে ৪টি অর্থ দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল) ([[চিত্র:Verbal Roots of (Š-L-M)(س-ل-م).jpg|alt=ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)|ফ্রেমহীন|85x85পিক্সেল]]) এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। সেকারনে মূল অর্থ দাঁড়ায় 'ইবাদত, দ্বীন ও 'আকীদাকে একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য নির্দিষ্ট করা।<ref name=":0" />
২৩ নং লাইন:
 
=== অর্থ ===
প্রধানত দুইটি অর্থ পাওয়া যায়, (১) এক অদ্বিতীয় আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণ করা (২:১১২) ; (২) শান্তি স্থাপন তথা বিরোধ পরিহার করা । ২য় অর্থটির ব্যাক্ষা হল (ক) আত্নসমর্পনে আল্লাহর সহিত শান্তি স্থাপিত হয় এবং তাঁরতার বিরুদ্ধতা পরিত্যক্ত হয় । এবং (খ) আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের সহিত একাত্বতার অনুভুভূতিতে, সাম্য - নীতির স্বীকৃতিতে সমাজে শান্তি - নিরাপত্তার অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ইসলাম একটি দ্বীন (৩:১৮), পারস্পরিক ব্যবহার, লেন-দেন সবই এর অন্তর্ভুক্ত। দ্বীনের উৎস কুরআন। এটি একটি পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। সেকারনে ইবাদত ও দার্শনিক বিষয়াবলির পাশাপাশি এটি মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে নিয়ন্ত্রন ও নিয়মাবলির প্রতিও গুরুত্ব দেয়।
"রিলিজিয়ন" বা "ধর্ম" বলতে যে আধ্যাতিক ও পারত্রিক জীবন-দর্শন ও ক্রিয়াকর্ম বুঝায় সেই অর্থে একে "ধর্ম" বললে কোনভাবেই এর পুরো অর্থ প্রকাশ পায়না।<ref name=":1" />
 
ইসলাম মানুষের চিরন্তন ধর্ম (৩:১৮)। এর মূল কথা হল (ক) আল্লহর একত্ব ও অদ্বিতীয়ত্বে বিশ্বাস, (খ) রাওমূ'ল আখির বা মৃত্যুর পর পুনরুত্থান ও বিচারান্তে অনন্ত পরজীবনে বিশ্বাস, এবং আমাল-স.আলিহ্ বা সৎকর্মে আত্ননিয়োগ। বিশ্বাসের পর্যায়গুলো হল (১) ফিরিশতাগন, (২) আসমানী কিতাবমূহ এবং (৩) নবী -রাসূল, আর (৪) আল্লাহর সর্বময় নিয়ন্ত্রণ (তাকদীর)-এ বিশ্বাসও; উপরের তিনটি মৌলিক উপাদানের সাথে যুক্ত হয়। প্রথম মানব ও নবী আদম হতে শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত কুরআনে উল্লেখিত/ অনুল্লিখিত সকল নবী-রাসূল (৪০:৭৮), পৃথিবীর বিভিন্ন গোত্র ও জাতীর কাছে (১০: ৪৭, ১৩ : ৭, ৩৫ : ২৪) , উপরের তিন উপাদান সম্বলিত ইসলাম প্রচার করেছিলেন। এই তিনের ভিত্তিতে কুরআন সমসাময়িক য়াহূদী, খৃষ্টান, স.আবিঈ ও মাজূসী অর্থাৎ সকল ধর্মাবলম্বীকে ইসলাম গ্রহনেরগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল (২ :৬২) এবং আহ্বানে সাড়া দিলে নিরাপত্তা ও মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছিল। এখনও সেই আহ্বান কার্যকর রয়েছে।<ref name=":1" />
 
== ধর্ম বিশ্বাস ==
৪৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Istanbul, Hagia Sophia, Allah.jpg|left|thumb|180x180px|মেডেল প্রদর্শন করছে "[[আল্লাহ্|আল্লাহ্‌]]"।[[তুরস্ক]] ,[[ইস্তাম্বুল|ইস্তাম্বুলের&nbsp;]],[[হাজিয়া সোফিয়া]] তে ।]]
{{মূল নিবন্ধ|আল্লাহ}}
মুসলমানগণ [[মহাবিশ্ব|বিশ্বজগতের]] [[সৃষ্টিকর্তাকে]] 'আল্লাহ' বলে সম্বোধন করেন। ইসলামের মূল বিশ্বাস হলো আল্লাহর একত্ববাদ বা [[তৌহিদ]]। আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেওয়া ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে প্রথম, যাকে বলা হয় [[শাহাদাহ]]। এটি পাঠের মাধ্যমে একজন স্বীকার করেন যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ [(সাঃ)] তাঁরতার প্রেরিত বাণীবাহক বা [[রাসূল]]
[[সূরা ইখলাস|সুরা এখলাছে]] আল্লাহর বর্ণনা দেয়া হয়েছে এভাবে,
[قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ. اللهُ الصَّمَدُ. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ] {الاخلاص:১-৪}
{{cquote|"বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।"১১২:১-৪<ref name="ফাহদ"/>}}
 
আল্লাহ্ শব্দটি [[আল]] এবং [[ইলাহ]] যোগে গঠিত। আল অর্থ সুনির্দিষ্ট এবং ইলাহ অর্থ উপাস্য, যার অর্থ সুনির্দিষ্ট উপাস্য। খৃস্টানগণ খৃস্ট ধর্মকে একেশ্বরবাদী বলে দাবী করলেও মুসলিমগণ খৃস্টানদের [[ত্রিত্ববাদ]] (trinity) বা এক ঈশ্বরের মধ্যে পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার মিলন, এই বিশ্বাসকে অস্বীকার করেন। ইসলামি ধারণায় আল্লাহ সম্পূর্ণ অতুলনীয় ও [[পৌত্তলিকতা|পৌত্তলিকতার]] অসমতুল্য, যার কোনোপ্রকার আবয়বিক বর্ণনা অসম্ভব। মুসলিমরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে বর্ণনা করেন তাঁরতার বিভিন্ন গুণবাচক নাম ও গুণাবলীর মাধ্যমে।
কিতাবুল ঈমানে আল্লাহর বর্ণনা এভাবে আছে :
{{উক্তি|আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, অতুলনীয়। তার কোন অংশ বা অংশিদার বা শরিক নেই। তিনি কারো উপন নির্ভরশীল নন, বরং সকলেই তার উপর নির্ভরশীল। তার কোন কিছুর অভাব নেই। তিনিই সকলের অভাব পূরণকারী। তিনি কারো পিতা নন, পুত্র নন, তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। একমাত্র তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা,রক্ষাকর্তা ও পালনকর্তা। কোন জ্ঞান বা চক্ষু আল্লাহ তাআলাকে আয়ত্ব করতে পারেনা।
৬১ নং লাইন:
 
{{মূল নিবন্ধ|ফেরেশতা}}
ফিরিশতা বা ফেরেশতা [[ফারসি|ফারসী]] শব্দ। ফেরেশতা [[আরবী]] প্রতিশব্দ হলো 'মালাইকা'। ফেরেশতায় বিশ্বাস ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসের একটি মূল নীতি। এরা অন্য সকল সৃষ্টির মতই আল্লাহর আরেক সৃষ্টি। তাঁরাতারা মুলত আল্লাহর দূত। তারা সর্বদা ও সর্বত্র আল্লাহর বিভিন্ন আদেশ পালনে রত এবং আল্লাহর অবাধ্য হবার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। ফেরেশতারা নূর তথা [[আলো|আলোর]] তৈরি। তারা খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করেন না। তারা পবিত্র স্থানে অবস্থান করেন। তারা আল্লাহর আদেশ অনুসারে যেকোনো স্থানে গমনাগমন ও আকৃতি পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন।
 
ফেরেশতাদের সংখ্যা অগণিত। ইসলামে তাদের কোনো শ্রেণীবিন্যাস করা না হলেও চারজন গুরুদায়িত্ব অর্পিত প্রধান ফেরেশতার নাম উল্লেখযোগ্য:
৭০ নং লাইন:
* ইসরাফিল – এই ফেরেস্তা আল্লাহর আদেশ পাওয়া মাত্র শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়ার মাধ্যমে কিয়ামত বা বিশ্বপ্রলয় ঘটাবেন। তার কথা কুরআন শরীফে বলা না হলেও হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
* মালাকুল-মাউত – ইনি মৃত্যুর ফেরেশতা ও প্রাণ হরণ করেন।
বিশেষ শ্রেণীর ফেরেশতা যাদেরকে কুরআনে 'কিরামান কাতিবিন' (অর্থ: সম্মানিত লেখকগণ) বলা হয়েছে তাঁরাতারা প্রতিটি মানুষের ভালো মন্দ কাজের হিসাব রাখেন। কবরে মুনকির ও নাকির নামের দুই ফেরেশতা মানুষকে তার কৃত কর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মালিক নামের ফেরেশতা নরক বা জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণ করেন এবং রিদওয়ান নামের আরেক ফেরেশতা জান্নাত বা বেহেশতের দেখভাল করেন বলে বর্ণিত আছে।
ইসলাম, খৃস্টান ও ইহুদী ধর্ম ছাড়া হিন্দুধর্মেও ফেরেশতা তথা স্বর্গীয় দূতদের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে।
 
৯৭ নং লাইন:
বলা হয়, হযরত আদম থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ পর্যন্ত আল্লাহ পৃথিবীতে প্রায় ১,২৪,০০০ (আনুমানিক) নবী ও রাসূল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।{{cn}} আর তাদের মধ্যে হযরত আদম সর্ব প্রথম মানুষ ও আল্লাহর সর্ব প্রথম নবী এবং সর্ব শেষ ও সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ।
 
মুসলিমগণ বিশ্বাস করে যীশু(ঈসা) আল্লাহর পুত্র নন বরং তিনি আল্লাহর রাসূল। তাঁরতার উপর ইঞ্জিল কিতাব নাজিল হয়েছে। তিনি কেয়ামতের আগে আবার পৃথিবীতে আবার আসবেন এবং [[মুহাম্মাদ]]ের অনুসারী হিসেবে মৃত্যু বরণ করবেন ।
 
=== ইসলামের নবী মুহাম্মদ ===
{{মূল নিবন্ধ|মুহাম্মদ}}
{{Wide image|Madina Haram at evening.jpg|1400px|<center>বর্তমান সৌদি আরবের, [[হেজাজ]] অঞ্চলের, [[মদিনা]]য় অবস্থিত [[মসজিদে নববী]] (নবীজীর মসজিদ) এঁর প্যানারমিক দৃশ্য। ইসলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।</center>}}
[[মুহাম্মদ]] ছিলেন তৎকালীন আরবের [[কুরাইশ বংশ|কুরাইশ বংশের]] একজন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে তাঁরতার গুণের কারণে তিনি আরবে "আল-আমীন" বা "বিশ্বস্ত" উপাধিতে ভূষিত হন। স্রষ্টার নিকট হতে নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে [[ইসলাম ধর্ম]] এর দিকে দাওয়াত দেন। তাঁকেতাকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ বাণী-বাহক (নবী) হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, পূর্বের একেশ্বরবাদী ধর্ম বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।
 
ইসলাম ধর্মমতে, তিনি চল্লিশ বছর বয়স হতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৩ বছরের বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে ঐশী বাণী লাভ করেন। এই বাণীসমূহের একত্ররূপ হলো পবিত্র কুরআন, যা তিনি মুখস্থ করেন ও তাঁরতার অনুসারীদের (সাহাবী) দিয়ে লিপিবদ্ধ করান। কারণ, তিনি নিজে লিখতে ও পড়তে জানতেন না।
 
কুরআনে বলা হয়েছে,
১১১ নং লাইন:
{{cquote|"সে যদি আমার নামে কোনো কথা রচনা করতো, তবে আমি তাঁর ডান হাত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তাঁর গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।" ৬৯:৪৪-৪৭ <ref name="ফাহদ" />}}
 
মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, ঐশ্বিক বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলামের নবী কখনো ভুল করেননি। আরো বিশ্বাস করা হল, তাঁরতার জীবনকালে তিনি সম্পূর্ণ আলৌকিকভাবে মেরাজ লাভ করেন।
 
মুসলিমদেরকে শেষ বাণীবাহক মুহাম্মদের নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে "সাল্লাল্লা-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম" বলতে হয়। এর অর্থ: 'আল্লাহ তাঁরতার উপর রহমত এবং শান্তি বর্ষণ করুন।' একে বলা হয় দরুদ শরীফ। এছাড়াও আরও অনেক দরুদ হাদীসে বর্ণীত আছে। তাঁরতার মধ্যে এটাই সর্বপেক্ষা ছোট। কোনো এক বৈঠকে তাঁরতার নাম নিলে দরুদ একবার বলা অবশ্যকর্তব্য (ওয়াজিব)।
 
==== হাদিস ====
{{মূল নিবন্ধ|হাদিস}}
'হাদীস' (اﻠﺤﺪﻴث) আরবি [[শব্দ]]। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কথা, বাণী, কথা-বার্তা, আলোচনা, কথিকা, সংবাদ, খবর, কাহিনী ইত্যাদি। <ref>আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান, ড.ফজলুর রহমান, রিয়াদ প্রকাশনী ২০০৫</ref> ইসলামী পরিভাষায় [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদের]] (সাঃ) কথা, কাজ, অনুমোদন এবং তাঁরতার দৈহিক ও চারিত্রিক যাবতীয় বৈশিষ্ট্যকে হাদীস বলে। মুহাম্মদের জীবদ্দশায় তাঁরতার সাহাবীরা তাঁরতার হাদীসসমূহ মুখস্থ করে সংরক্ষণ করতেন। প্রথমদিকে হাদীস লেখার অনুমতি ছিলো না। তখনকার অনুন্নত মুদ্রণব্যবস্থার কারণে কেউ লিখিত হাদিসকে ভুলক্রমে কুরআনের আয়াত মনে করতে পারে এই আশংকা ছিল। পরবর্তীতে ইসলামের নবী তাঁরতার কোনো কোনো সাহাবী বা সহচরকে হাদীস লেখার অনুমতি প্রদান করেন।<ref>Khatib Bagdadi, ''Taq-eedul 'Ilm.'' Beirut: Ihya-us-sunnah An-nabawiah.</ref> তার মৃত্যুর পর তার সাহাবীরা নিয়মিত তাঁরতার হাদিসগুলো চর্চা করতেন ও তাদের ছাত্রদের কাছে বর্ণনা করতেন। সাহাবীদের ছাত্র তথা তাবেঈরা ওমর ইবন আব্দুল আযীযের আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হাদীস লিখিত আকারে সংরক্ষণ করেন।<ref>প্রাগুক্ত।</ref>
 
মুহাম্মদের কথা-কাজসমূহের বিবরণ এভাবে লোকপরম্পরায় সংগ্রহ ও সংকলন করে সংরক্ষণ করা হলে তাঁরতার বক্তব্যসমূহ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উন্মুক্ত হয়। মুসলিম পণ্ডিতদের সংকলিত সেসব হাদিস-সংকলন গ্রন্থগুলোর মধ্যে ছয়টি গ্রন্থ প্রসিদ্ধ হয়েছে। এগুলোকে 'ছয়টি হাদিস গ্রন্থ' (কুতুবুস সিত্তাহ) আখ্যা দেয়া হয়। হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের বিভিন্ন মাপকাঠি রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাদীসের ''সনদ'' বা হাদিসের বর্ণনাকারীদের নির্ভরযোগ্য যাচাই।
 
=== কিয়ামত ===