আফগানিস্তানের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
Regents Professor of Geography and Geology, University of Nebraska. Editor, Himalaya to the Sea: Geology, Geomorphology, and the Quaternary and other books).</ref> [[২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ|২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের]] পর [[মধ্য এশিয়া]] থেকে এই এলাকায় লোক আসতে শুরু করে। এদের অধিকাংশই ছিল [[আর্য জাতি|আর্য]], যারা [[ইরান]] ও [[ভারত|ভারতেও]] বসতি স্থাপন করেছিল। তখন এই এলাকার নাম ছিল [[আরিয়ানা]]।
 
[[খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতক|খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের]] মাঝামাঝি সময়ে [[পারস্য সাম্রাজ্য]] আরিয়ানা দখল করে। [[৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ|৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে]] [[মহামতি আলেকজান্ডার]] পারস্যের সম্রাটকে পরাজিত করে আরিয়ানার পূর্ব সীমান্ত ও তারও পূর্বে চলে যেতে সক্ষম হন। [[৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ|৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে]] আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর অনেকগুলি রাজ্য তাঁরতার এশীয় সাম্রাজ্যের দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ছিল [[সেলুসিদ সাম্রাজ্য]], [[বাকত্রিয়া সাম্রাজ্য]] ও ভারতীয় [[মৌর্য সাম্রাজ্য]]।
 
=== বৌদ্ধ পর্ব ===
৯ নং লাইন:
 
=== ইসলামী পর্ব ===
খ্রিস্টীয় [[৭ম শতক|৭ম শতাব্দীতে]] [[আরব]] সৈন্যরা আফগানিস্তানে নতুন ধর্ম [[ইসলাম]] নিয়ে আসে। পশ্চিমের [[হেরত প্রদেশ|হেরত]] ও [[সিস্তন প্রদেশ]] আরবদের নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু আরব সৈন্য চলে যাওয়া মাত্রই সেখানকার জনগণ তাদের পুরনো ধর্মে ফেরত যায়। [[১০ম শতক|১০ম শতকে]] বর্তমান [[উজবেকিস্তান|উজবেকিস্তানের]] [[বুখারা]] থেকে [[সামানিদ]] নামের মুসলিম শাসকবংশ আফগান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। এক সামানিদ [[গজনী|গজনীতে]] [[গজনভি রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা করেন। গজনীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা [[মাহমুদ]] [[৯৯৮]] থেকে [[১০৩০]] খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ এলাকা শাসন করেন এবং তাঁরতার সময়েই সমগ্র আফগানিস্তানে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। গজনী সাহিত্য ও শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয়।
 
মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনীর প্রভাব হ্রাস পেতে থাকে এবং [[১২শ শতক|১২শ শতকে]] পশ্চিম-মধ্য আফগানিস্তানের [[ঘুর প্রদেশ|ঘুর]] শহরে [[ঘুরি সাম্রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়। ঘুরিদরা আবার [[১৩শ শতক|১৩শ শতকে]] মধ্য এশিয়ার [[খোয়ারিজমি শাহ|খোয়ারিজমি শাহদের]] কাছে পরাজিত হন। [[১২২০]] সালে [[মঙ্গোল]] সেনাপতি [[চেঙ্গিস খান]] এদের সবাইকে পরাজিত করে দেশটির অশেষ ক্ষতিসাধন করেন।
 
[[১৪শ শতক|১৪শ শতাব্দীর]] শেষে মধ্য এশীয় সেনাপতি [[তৈমুর লং]] আফগানিস্তান জয় করেন ও ভারতে অগ্রসর হন। তাঁরতার সন্তান ও পৌত্রেরা তাঁরতার সাম্রাজ্যের পুরোটা ধরে রাখতে পারেনি, তবে তারা বর্তমান আফগানিস্তানের অধিকাংশ হেরাত থেকে শাসন করতে সক্ষম হয়।
 
ঘুরিদ থেকে তিমুরীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলে এখানে ইসলামী স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। এসময় তৈরি বহু মসজিদ ও মিনার আজও [[হেরাত]], [[গজনী]] ও [[মাজরে শরীফ|মাজরে শরীফে]] দাঁড়িয়ে আছে। হেরাতে [[১৫শ শতক|১৫শ শতকে]] ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার বিকাশ ঘটে।