আইসোটোপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎ব্যবহার: ব্যাকরণ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯ নং লাইন:
 
==সংকেত==
কোন মৌলিক পদার্থের আইসোটোপ বা [[নিউক্লাইড]]কে মৌলিক পদার্থটির নামের পর হাইফেন বসিয়ে এর [[আণবিক ভর সংখ্যা|ভরসংখ্যা]] যোগ করে প্রকাশ করা হয় (যেমন— [[হিলিয়াম-3]], [[হিলিয়াম-4]], [[কার্বন-12]], [[কার্বন-১৪|কার্বন-14]], [[ইউরেনিয়াম-235]], [[ইউরেনিয়ান-239]] ইত্যাদি)।<ref>[[IUPAC]] (Connelly, N. G.; Damhus, T.; Hartshorn, R. M.; and Hutton, A. T.), [http://old.iupac.org/publications/books/rbook/Red_Book_2005.pdf ''Nomenclature of Inorganic Chemistry – IUPAC Recommendations 2005''], The Royal Society of Chemistry, 2005; IUPAC (McCleverty, J. A.; and Connelly, N. G.), ''Nomenclature of Inorganic Chemistry II. Recommendations 2000'', The Royal Society of Chemistry, 2001; IUPAC (Leigh, G. J.), ''Nomenclature of Inorganic Chemistry (recommendations 1990)'', Blackwell Science, 1990; IUPAC, [http://pac.iupac.org/publications/pac/pdf/1971/pdf/2801x0001.pdf ''Nomenclature of Inorganic Chemistry, Second Edition''], 1970; probably in the 1958 first edition as well</ref> [[রাসায়নিক প্রতীক]] দিয়ে আইসোটোপ লেখার ক্ষেত্রে প্রতীকটির বাম পার্শ্বে উপরে [[আণবিক ভর সংখ্যা|ভরসংখ্যা]] এবং বাম পার্শ্বে নিচে [[পারমাণবিক সংখ্যা]] উল্লেখ করতে হয় (যেমন— {{nuclide|He|3}}, {{nuclide|He|4}}, {{nuclide|C|12}}, {{nuclide|C|14}}, {{nuclide|U|235}}, {{nuclide|U|239}} ইত্যাদি।).<ref>This notation seems to have been introduced in the second half of the 1930s. Before that, various notations were used, such as [https://books.google.com/books?id=jkMcAQAAIAAJ&q=isotope Ne(22) for neon-22 (1934)], [https://books.google.com/books?id=7KQOAAAAIAAJ&q=neon-22+Ne22 Ne<sup>22</sup> for neon-22 (1935)], or even [https://books.google.com/books?id=HD7OAAAAMAAJ&q=isotope Pb<sub>210</sub> for lead-210 (1933)].</ref> প্রতিটি মৌলের প্রতীক একটি নির্দিষ্ট পারমাণবিক সংখ্যা নির্দেশ করায় অনেক সময় শুধুমাত্র ভরসংখ্যা উল্লেখ করা হয় (যেমন— {{SimpleNuclide2|He|3}}, {{SimpleNuclide2|He|4}}, {{SimpleNuclide2|C|12}}, {{SimpleNuclide2|C|14}}, {{SimpleNuclide2|U|235}}, {{SimpleNuclide2|U|239}} ইত্যাদি)। কখনো কখনো [[নিউক্লিয় আইসোমার]] নির্দেশ করতে ভরসংখ্যার শেষে ''m'' যুক্ত করা হয় (যেমন— {{nuclide|Tantalum|180|m}} ([[ট্যান্টালাম-180m]])। উল্লেখিত সংকেত ব্যবস্থাটি হল আইসোটোপের আদর্শ সংকেত যা এখন "''AZE'' সংকেত" নামে পরিচিত যেখানে ''A'' হল [[আণবিক ভর সংখ্যা|ভরসংখ্যা]], ''Z'' হল [[পারমাণবিক সংখ্যা]] এবং ''E'' হল মৌলটির প্রতীক।
 
সাধারণত "''AZE'' সংকেত" যেভাবে লেখা হয় সেভাবে এটি পড়া হয় না। যেমন— {{nuclide|He|4}} কে সাধারণত চার-দুই-হিলিয়াম এর পরিবর্তে ''চার-হিলিয়াম'' বা ''4-হিলিয়াম'' পড়া হয়। অনুরূপভাবে {{nuclide|U|235}} কে ''২৩৫-ইউরেনিয়াম'' পড়া হয়।
 
==তেজস্ক্রিয়, আদিম ও স্থিতিশীল আইসোটোপ==
যেসব আইসোটোপ [[তেজস্ক্রিয়তা]] প্রদর্শন করে তাদেরকে ''তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ'' বা ''[[তেজস্ক্রিয় নিউক্লাইড]]'' বলা হয়, অপরদিকে যেসব আইসোটোপের কখনোই তেজস্ক্রিয় ক্ষয় ঘটে না তাদেরকে ''স্থিতিশীল আইসোটোপ'' বা ''[[স্থিতিশীল নিউক্লাইড]]'' বলা হয়। যেমন— {{SimpleNuclide2|C|14}} হল কার্বনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ অপরদিকে {{SimpleNuclide2|C|12}} এবং {{SimpleNuclide2|C|13}} হল কার্বনের স্থিতিশীল আইসোটোপ। আবার যেসব আইসোটোপ পৃথিবী সৃষ্টির আদি (''[[মহা বিস্ফোরণ]]'') থেকে [[সৌরজগৎ|সৌরজগতের]] গঠণেরগঠনের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল তাদেরকে ''আদিম আইসোটোপ'' বা কখনো কখনো ''[[আদিম নিউক্লাইড]]'' বলা হয়। [[বিসমাথ]], [[থোরিয়াম]], [[ইউরেনিয়াম]] এবং [[প্লুটোনিয়াম]] হল আদিম নিউক্লাইড। কারণ এদের [[অর্ধায়ু]] এমনই দীর্ঘ যে অদ্যাবধি পৃথিবীতে এদের পাওয়া যায়। এছাড়াও [[পটাশিয়াম-40]] একটি আদিম নিউক্লাইড।<ref>[https://www.nuclear-power.net/glossary/primordial-matter/primordial-radionuclides/ "Primordial Radionuclides"]</ref>
পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে প্রায় ৩৩৯টি নিউক্লিয়াইড পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ২৮৬টি আদিম নিউক্লাইড।<ref name="lindsay">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.don-lindsay-archive.org/creation/isotope_list.html|titleশিরোনাম=Radioactives Missing From The Earth}}</ref> এদের মধ্যে ২৬৯টি স্থিতিশীল এবং ৭০টি তেজস্ক্রিয়। এছাড়াও কণা ত্বরক যন্ত্রে ১৬৫০টি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে।
 
== সমস্থানিকের বৈশিষ্টসমূহের বিভিন্নতা ==
২৫ নং লাইন:
 
===কৃষিবিদ্যায় ব্যবহার===
কৃষিবিদ্যা রেডিও আইসোটোপের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের খরচের মধ্যে জমির সার একটি প্রধান খরচ। ফসফেট জাতীয় সারের সাথে রেডিও ফসফরাস আইসোটোপ মিশ্রিত থাকে বলা যেতে পারে গাছের মধ্যে এই সার গাছের বৃদ্ধির কোন স্তরে কি কি কাজ করছে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, মাটির উপর ফসফেট দেবার সাথে সাথেই গাছপালা শিকড় দিয়ে সেগুলিকে টেনে নেয়। রেডিও আইসোটোপের সাহায্যে আরো জানা গেছে যে, তামাক, ভুট্টা, তুলা, বিট প্রভৃতি গাছ কেবল চারা অবস্থাতেই ফসফেট গ্রহণ করতে সক্ষম। চারা অবস্থাতেই এই সার দেওয়া না হলে তেমন কোনো কাজে আসে না। পর্যবেক্ষক আইসোটোপ ব্যবহার করে জানা গেছে যে, জমিতে জল সেচনের পূর্বে ওই জলে ফসফরিক এসিড মিশ্রিত করে দিলেই জমিতে ফসফেট দেওয়ার আর কোনো প্রয়োজন হয় না।
 
তেজস্ক্রিয় সাহায্যে নতুন নতুন জাতের বীজ সৃষ্টি করাও বর্তমানে সম্ভব হয়েছে। অধিকন্তু আলু পেঁয়াজ রসুন প্রভৃতি বিভিন্ন কৃষিজাত ফসল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে পোকামাকড় বা জীবাণু আক্রমণে ফসল সহজে নষ্ট হয় না; আলু পেঁয়াজের চারা গজানো এবং বিভিন্ন রকম ফলের পাকা বা পচে যাওয়া বিলম্বিত হয়।
 
তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সাহায্যে বিভিন্ন দেশে ফসলের ক্ষতিকর নানা রকম কীটপতঙ্গ ধ্বংস করার পদ্ধতিও বেশ সাফল্যজনক প্রমাণিত হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বিকিরণের সাহায্যে বিপুল সংখ্যক পুরুষ পতঙ্গের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় যেখানে ফসলে ওই পতঙ্গের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে ধ্বংস করার পদ্ধতি বিপুল সংখ্যক
৩৮ নং লাইন:
 
===চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহার===
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে তথা গবেষণা ও উন্নয়নে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বহুল প্রয়োগ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চালু হয়েছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির হাতিয়ার হচ্ছে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। রোগভেদে এবং রোগাক্রান্ত অঙ্গ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। সচরাচর গামা রশ্মি নিঃসরণকারী স্বল্প [[অর্ধায়ু]]র তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। আজকাল অনেক ক্ষেত্রে পজিট্রন বিচ্ছুরণকারী আইসোটোপ যথা: তামা-64, কার্বন-11 এবং অক্সিজেন-15 রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহারে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। গড়ে প্রতিদিন 1000 থেকে 10,000 টি পরীক্ষার মধ্যে একটি ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
 
পরমাণু চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসোটোপগুলির মধ্যে সবচেয়ে যেসব বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলি হচ্ছে আয়োডিন-131, আয়োডিন-125, টেকনিশিয়ান-99, স্ট্রনশিয়াম-90 ইত্যাদি।