দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
94rain (আলোচনা | অবদান)
2409:4061:2003:323B:2195:13E3:3D27:A938-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 103.106.243.233-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল SWViewer [1.3]
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১০ নং লাইন:
 
== কারণ ==
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। তবে এ নিয়ে একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে যা অনেকাংশে গ্রহণযোগ্য। এই কারণটি যুদ্ধোত্তর সময়ে [[মিত্রশক্তি]]র দেশসমূহের মধ্যে তোষণ নীতির মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় যা নির্দেশক শক্তির ভূমিকা পালন করে [[যুক্তরাষ্ট্র]] এবং [[ফ্রান্স]]। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পর [[জার্মানি]] এবং জাপানের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদকে দায়ী করে এই কারণটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে যার বিস্তারিত এখানে উল্লেখিত হচ্ছে। তাছাড়া
 
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এর [[সাম্রাজ্যবাদ|সাম্রাজ্যবাদী]] চিন্তাধারার মূল কারণ ছিল জার্মানির হৃত [[অর্থনীতি|অর্থনৈতিক]], সামরিক এবং ভূমিকেন্দ্রিক সম্পদ পুণরুদ্ধার করা এবং পুণরায় একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এর পাশাপাশি [[পোল্যান্ড]] এবং [[ইউক্রেন|ইউক্রেনের]] সম্পদসমৃদ্ধ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে। জার্মানির একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ছিল [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পরপর সম্পাদিত [[ভার্সাই চুক্তি]] হতে বেরিয়ে আসার। এরই প্রেক্ষাপটে [[এডলফ হিটলার|হিটলার]] এবং তার [[নাজি]] বাহিনীর ধারণা ছিল যে একটি জাতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে সংগঠিত করা সম্ভব হবে।
১৯ নং লাইন:
[[চিত্র:Kobryn.png|thumb|350px|কোবরিনের যুদ্ধ (সেপ্টেম্বর ১৭,১৯৩৯)-মানচিত্রে জার্মান দ্বিতীয় মোটোরাইজড ডিভিশনের অগ্রযাত্রা এবং পোলিশ বাহিনীর পিছু হটা]] [[নাৎসি বাহিনীর পোল্যান্ড আক্রমণ]]এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিষ্ক্রিয় রাখার জন্য জার্মানী অনাক্রমণ চুক্তি করে। অন্যদিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স পোল্যান্ডের সাথে সহায়তা চুক্তি করে। ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড [[অভিযান]] শুরু হল। ৩রা সেপ্টেম্বর মিত্রবাহিনী জার্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল এবং শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
 
প্রথম দিনই জার্মান ঝটিকা বাহিনী পোল্যান্ডকে ছিন্নবিছিন্ন করে দিল। ফরাসি ও ব্রিটিশ বাহিনী সাহায্য করবার সুযোগ পেল না। এটি পশ্চিমের [[বিশ্বাস|বিশ্বাসভঙ্গতা]] হিসেবে পরিচিত। ১৭ই সেপ্টেম্বর গোপন সমঝোতা অনুসারে সোভিয়েত বাহিনীও [[আক্রমণ|আক্রমণে]] যোগ দিল। পরদিনই পোলিশ কর্তাব্যক্তিরা দেশ ছাড়লেন। ওয়ারস পতন হলো ২৭শে সেপ্টেম্বর। শেষ সেনাদল কক্ দূর্গেদুর্গে যুদ্ধ করে ৬ই অক্টোবর পর্যন্ত।
 
=== সোভিয়েত-ফিন শীতকালীন যুদ্ধ ===
৪৬ নং লাইন:
 
=== উত্তর আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল সমূহে অভিযান ===
১৯৪০ এর জুন মাসের শুরুতে ইতালিয়ানরা মাল্টায় তাদের বিমান বাহিনী যোগে আক্রমণ করে এবং ব্রিটিশ উপনিবেশটিকে ঘেরাও করে। সে বছরেরই গ্রীষ্মের শেষ থেকে বসন্তের শুরুর সময়ের ভেতর ইতালিয়ানরা ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড দখল করে নেয় এবং স্থলপথে ব্রিটিশ অধিকৃত মিশরে হামলা চালায়। অক্টবরের দিকে ইতালিয়ানরা গ্রীসে অসফল একটি অভিযান পরিচালনা করে, যেটাতে তাদের পক্ষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এবং আঞ্চলিক সীমানাতেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন আসেনি। ইতালিকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে জার্মানীও বলকানে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল যেখানে তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজরা যাতে সেখানে শক্ত কোন অবস্থান নিতে না পারে (কারণ ইংরেজরা যদি বলকানে দখল নিতে পারত তাহলে রুমানিয়ার তৈলখনিগুলো জার্মান আওতার বাইরে চলে যেত) এবং একই সাথে ভুমধ্যসাগরে ব্রিটিশদের একাধীপত্তের ওপর আঘাত হানা।
 
১৯৪০ এর ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সমরশক্তি মিশর ও ইতালী অধিকৃত পুর্ব আফ্রিকায় ইতালীয় ফ্যাসিস্ট বাহিনীর ওপর অত্যন্ত সফল পালটা হামলা পরিচালনা করে। এই হামলার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারীর শুরুতেই ইতালী পুর্ব লিবিয়ার দখল হারাল এবং সেই সাথে তাদের বিপুল পরিমাণ সৈনিক বন্দি হল। স্থল শকির সাথে সাথে ইতালীয় নৌশক্তিও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হল। তরান্তোর যুদ্ধে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌ বহরের বিমানবাহী জাহাজের হামলায় তিনটি যুদ্ধজাহাজ অকেজো হয়ে গেল এবং কেইপ মাটাপানের যুদ্ধে আরো কিছু জাহাজ নষ্ট হল।
 
আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরে ইতালীয় বাহিনীর পরাজয় জার্মানীকে ওই অঞ্চলে একটি অভিযানকারী বাহিনী পাঠাতে বাধ্য করল এবং তার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের মার্চের শেষে মার্শাল রোমেলের আফ্রিকা কর্পস আক্রমণ শুরু করে। মার্শাল রোমেলের বাহিনী কমনওয়েলথ বাহিনীকে পিছু হঠতে বাধ্য করল এবং মাসখানেকের ভেতর তারা পশ্চিম মিশর পর্যন্ত অগ্রসর হল এবং তব্রুক বন্দর ঘেরাও করল।
 
১৯৪১ সালের মার্চের শেষ দিকে বুলগেরিয়া এবং যুগোস্লাভিয়া ত্রিদলীয় চুক্তিতে (এটি বার্লিন চুক্তি নামেও পরিচিত) স্বাক্ষর করে, যদিও এর দুদিন পরেই ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা যুগোস্লাভ সরকারের পতন হয়। জার্মানী সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং যুগপৎ ভাবে ১৯৪১ সালের ৬ এপ্রিল যুগোস্লাভিয়া এবং গ্রীসে হামলা চালায়। উভয় দেশই মাসখানেকের ভেতর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মে মাসের শেষ দিকে গ্রীসের ক্রিট দ্বীপে ছত্রীসেনা অবতরণ অভিযানের ভেতর দিয়ে জার্মানির বলকান বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়। জার্মানি যদিও এই অঞ্চলে দ্রুত বিজয় লাভ করেছিল, কিন্তু এরপর পরই জার্মানির দখলদারিত্বের প্রতিবাদে যুগোস্লাভিয়াতে বৃহৎ আকারের প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় যেটা মহাযুদ্ধের শেষ সময় পর্যন্ত চালু ছিল।
 
সেই সময়, অর্থাৎ '৪১ সালের মে মাসে কমনওয়েলথ বাহিনী ইরাকে জার্মান সমর্থিত একটি অভ্যুত্থান বানচাল করে দেয়। এই অভ্যুত্থানে ভিশি ফ্রান্সের দখলে থাকা সিরিয়ার বিমান ঘাঁটি থেকে জার্মান বিমান বাহিনী প্রত্যক্ষ সহায়তা দিচ্ছিল। জুন জুলাই মাসের দিকে কমনওয়েলথ বাহিনীগুলো সিরিয়াতে ও লেবাননে সফল হামলা করে এবং উক্ত দেশদুটি দখলে নিয়ে আসে। এই অভিযানে তাদেরকে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেয় মুক্ত ফ্রান্সের মুক্তিকামী সৈন্যরা।
 
=== '''অক্ষশক্তি কতৃক সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ''' ===
<blockquote>''মুল নিবন্ধঃ [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পুর্ব ফ্রন্ট]]'' </blockquote>মুলতঃ পুর্ব ফ্রন্ট নামে অধিক পরিচিত। সোভিয়েতদের কাছে পরিচিত "পিতৃভূমি রক্ষার যুদ্ধ" নামে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিককার সমস্ত আঁচ ছিল পশ্চিম ইয়োরোপের দেশগুলোর ওপর। যেসব দখলের মাধ্যমে জার্মানী বেশ ভালো রকমের রসদ পেয়েছিল যুদ্ধ চালিয়ে যাবার। একই সাথে জার্মানীর প্রধান একজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমিয়ে ফেলা হয়েছিল। যেটা ছিল ফ্রান্স। ফ্রান্সকে মাত্র ১মাসের ভেতর হারিয়ে দিয়ে হিটলার জার্মান জাতির প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অপমানের প্রতিশোধ নিয়ে ফেলে, যেটা জার্মান জনগণকে নাৎসিজমের সাথে এবং হিটলারের সাথে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
 
উদ্ভুত পরিস্থিতকে সামনে রেখে জার্মানী, জাপান এবং সোভিয়েত রাশিয়া প্রস্তুতি নিতে থাকে। জাপানের সাথে রাশিয়ার অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদিত হয়ে যায়। জার্মানীও রাশিয়ার সাহে একটা মতৈক্যে আসার চেষ্টায় ছিল, কারণ সেই সময়টায় হিটলারের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডকে বশে আনা।
 
ইংল্যান্ড যাতে করে আমেরিকা আর রাশিয়াকে যুদ্ধে টেনে আনতে না পারে সেই লক্ষ্যে হিটলার রাশিয়ার সাথে একটা চুক্তি চেয়েছিল। একই সাথে সে রাশিয়া আক্রমণের জন্য সীমান্তে বিশাল সৈন্য সমাবেশ করছিল। কারণ যদি সে রাশিয়ার সাথে চুক্তিতে ব্যর্থ হয় তবে রাশিয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত ফয়সালা করতে হবে যুদ্ধের মাধ্যমে।
 
বনিবনা না হওয়ায় রাশিয়া জার্মানী চুক্তি হল না, এবং ১৯৪০ সালের ১৮ ডিসেম্বর হিটলার রাশিয়া আক্রমনের প্রস্তুতি নেওয়ার আদেশ প্রদান করে।
 
২২জুন, ১৯৪১ সালে জার্মানী মিত্র ইতালি এবং রোমানিয়াকে নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে আক্রমন করে। এই অভিযান "[[অপারেশন বারবারোসা|অপারেশন বার্বারোসা]]" নামে পরিচিত। এই অভিযানের মুল লক্ষ্য ছিলো ১৯৪১ এর ভেতর রাশিয়ার বিশাল উর্বর অংশের এবং শিল্পাঞ্চলসমূহের দহল নেয়া, [[কমিউনিজম|কমিউনিজমে]]<nowiki/>র বিনাশ করা এবং জার্মানীর পরবর্তী শত্রুদের বিপরীতে যুদ্ধ পরিচালনার পর্যাপ্ত রসদ যোগানো।
 
<br />