মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯৫ নং লাইন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার (৩৭.৯ লক্ষ বর্গমাইল)। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৯০ লক্ষ। সামগ্রিক আয়তনের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। আবার স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যমণ্ডিত [[বহুজাতিক সমাজ|বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা]]। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন|বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিবাসনের]] ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি [[বহুসংস্কৃতিবাদ|বহুসংস্কৃতিবাদী]] দেশ।<ref name="DD">Adams, J.Q., and Pearlie Strother-Adams (2001). ''Dealing with Diversity''. Chicago: Kendall/Hunt. {{আইএসবিএন|0-7872-8145-X}}.</ref> [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি]] বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় অর্থনীতি। ২০০৮ সালে দেশের আনুমানিক [[জিডিপি]] হার ছিল ১৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (নামমাত্র বিশ্ব জিডিপির এক চতুর্থাংশ এবং [[ক্রয় ক্ষমতা সমতা]]য় বিশ্ব জিডিপির এক পঞ্চমাংশ)।<ref name="IMF GDP">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.imf.org/external/pubs/ft/weo/2008/02/weodata/index.aspx|প্রকাশক=International Monetary Fund|শিরোনাম=World Economic Outlook Database|month=October|বছর=2008|সংগ্রহের-তারিখ=2008-10-27}}</ref><ref>The [[European Union]] has a larger collective economy, but is not a single nation.</ref>
 
[[আমেরিকার আদিম অধিবাসী|আমেরিকার আদিম অধিবাসীরা]] সম্ভবত [[নতুন বিশ্বে অভিবাসনের মডেল|এশীয় বংশোদ্ভুত]]। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে এরা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। তবে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেটিভ আমেরিকান|নেটিভ আমেরিকানদের]] জনসংখ্যা [[আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপন|ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের]] পর থেকে মহামারী ও যুদ্ধবিগ্রহের প্রকোপে ব্যাপক হ্রাস পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল|আটলান্টিক মহাসাগর তীরস্থ]] উত্তর আমেরিকার [[তেরোটি উপনিবেশ|তেরোটি ব্রিটিশ উপনিবেশ]] নিয়ে গঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলি একটি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র|স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র]] জারি করে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে উপনিবেশগুলি তাঁদেরতাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে। [[আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ|আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে]] এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি [[গ্রেট ব্রিটেন রাজ্য|গ্রেট ব্রিটেনকে]] পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল [[ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস|ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে]] প্রথম সফল ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা যুদ্ধ।<ref>Dull, Jonathan R. (2003). "Diplomacy of the Revolution, to 1783," p. 352, chap. in ''A Companion to the American Revolution'', ed. Jack P. Greene and J. R. Pole. Maiden, Mass.: Blackwell, pp. 352–361. {{আইএসবিএন|1-4051-1674-9}}.</ref> ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর [[ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন]] বর্তমান [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান|মার্কিন সংবিধানটি]] গ্রহণ করে। পরের বছর এই সংবিধান সাক্ষরিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার সহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ১৭৯১ সালে সাক্ষরিত এবং দশটি [[মার্কিন সংবিধান সংশোধনের তালিকা|সংবিধান সংশোধনী]] সম্বলিত [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল অফ রাইটস|বিল অফ রাইটস]] একাধিক [[স্বাভাবিক অধিকার|মৌলিক নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা]] সুনিশ্চিত করে।
 
ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র [[লুইজিয়ানা ক্রয়|ফ্রান্স]], [[অ্যাডামস-ওনিস চুক্তি|স্পেন]], [[ওরেগন কান্ট্রি|যুক্তরাজ্য]], [[মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধ|মেক্সিকো]] ও [[আলাস্কা ক্রয়|রাশিয়ার]] থেকে জমি অধিগ্রহণ করে এবং [[টেক্সাস প্রজাতন্ত্র]] ও [[হাওয়াই প্রজাতন্ত্র]] অধিকার করে নেয়। ১৮৬০-এর দশকে [[রাজ্যসমূহের অধিকার]] ও [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা|দাসপ্রথার বিস্তারকে]] কেন্দ্র করে [[দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|গ্রামীণ দক্ষিণাঞ্চল]] ও [[উত্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|শিল্পোন্নত উত্তরাঞ্চলের]] বিবাদ [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ|এক গৃহযুদ্ধের]] জন্ম দেয়। উত্তরাঞ্চলের বিজয়ের ফলে দেশের চিরস্থায়ী বিভাজন রোধ করা সম্ভব হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে [[মার্কিন সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী|দাসপ্রথা আইনত রদ]] করা হয়। ১৮৭০-এর দশকেই মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির শিরোপা পায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|লেখক=Maddison, Angus|ইউআরএল=http://www.ggdc.net/maddison/Historical_Statistics/horizontal-file_09-2008.xls|শিরোনাম=Historical Statistics for the World Economy|প্রকাশক=The Groningen Growth and Development Centre, Economics Department of the University of Groningen|বছর=2006|সংগ্রহের-তারিখ=2008-11-06}}</ref> [[স্পেন-মার্কিন যুদ্ধ]] ও [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] সামরিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা দান করে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় এই দেশ [[পারমানবিক অস্ত্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|প্রথম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র]] হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং [[রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ|রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে]] স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। [[ঠান্ডা যুদ্ধ|ঠান্ডা যুদ্ধের]] শেষভাগে এবং [[সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস (১৯৮৫–১৯৯১)|সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর]] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র [[মহাশক্তিধর রাষ্ট্র|মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে]] পরিণত হয়। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের দুই-পঞ্চমাংশ খরচ করে এই দেশ। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিধর রাষ্ট্র।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|লেখক=Cohen, Eliot A.|ইউআরএল=http://www.foreignaffairs.org/20040701faessay83406/eliot-a-cohen/history-and-the-hyperpower.html|শিরোনাম=History and the Hyperpower|কর্ম=Foreign Affairs|তারিখ=July/August 2004|সংগ্রহের-তারিখ=2006-07-14|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060825044410/http://www.foreignaffairs.org/20040701faessay83406/eliot-a-cohen/history-and-the-hyperpower.html|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৬-০৮-২৫|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}} {{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/americas/country_profiles/1217752.stm|শিরোনাম=Country Profile: United States of America|প্রকাশক=BBC News|তারিখ=2008-04-22|সংগ্রহের-তারিখ=2008-05-18}}</ref> ১৯৩০ এর দশকে ও একবিংশ শতকের প্রথম দশকের শেষে আমেরিকার অর্থনীতি 'অর্থনেতিক মহামন্দা' বা 'গ্রেট ডিপ্রেশন'র স্বীকার হয়।