বাইবার্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৬ নং লাইন:
আইন জালুতের যুদ্ধ কেবল মিসর ও ইসলামের ইতিহাসে নয়,বরং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। যদি ধ্বংসাত্মক মোঙ্গল শক্তি এ যুদ্ধে জয় লাভ করতো,তাহলে তারা উত্তর আফ্রিকা,স্পেন এবং ইউরোপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে যুগপৎ প্রাচ্য ও প্রতিচ্যের ইসলামি ও খৃস্টীয় সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতো। তাই আইন জালুতের যুদ্ধে একই সঙ্গে ইসলাম ও বিশ্বসভ্যতা রক্ষা পেয়েছিল।
এদিকে আইন জালুতের চরম প্রতিশোধ নিতে সেই হালাকু খানই আবার ধেয়ে আসে মিসর-সিরিয়া পানে। মহানদী ফোরাত অতিক্রম করে তার অজেয় বাহিনী একসময় আছড়ে পড়ে মামলুক সীমান্তের অভ্যন্তরে। চোখের পলকে হিমস পর্যন্ত শামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হালাকু খান ফের কব্জা করে নেয়। ১২৬২
এছাড়াও সুলতান বাইবার্স আইন জালুত যুদ্ধে মঙ্গোলদের সাহায্যকারী ক্রুসেডারদেরকে বিশেষ করে এন্টিয়কের রাজা ৬ষষ্ঠ বহিমন্ডকে শায়েস্তা করতে চাইলেন। এন্টিয়ক ছিল এশিয়ায় খৃস্টানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘাঁটি । সুলতান বাইবার্স এন্টিয়ক অবরোধের জন্য একটি বাহিনী প্রেরন করেন এবং দীর্ঘদিন তা অবরোধ করে রাখেন। অবশেষে আর্মেনীয় রাজা হিথম তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসলে সুলতান বাইবার্স অবরোধ তুলে নেন। এরপর ১২৬৩ সালে তিনি ক্রুসেডারদের অন্যতম শক্ত দুর্গ আক্কা অবরোধ করেন। এরপর তিনি একে একে ক্রুসেডারদের সকল দুর্গগুলো গুঁড়িয়ে দিতে থাকেন। ১২৬৫ সালে ক্রুসেডারদের দখলে থাকা জেরুজালেমের নিকটবর্তী কাইসারিয়া ও হাইফা শহরদুটি জয় করেন। বিনা যুদ্ধে জাফাও দখলে নেন। এরপর ৪০ দিনের অবরোধ শেষে আরসুফও দখল করে নেন। ১২৬৬ সালে সাফেদ ও রামলা শহর দুটিও ক্রুসেডারদের দখলমুক্ত করে ফেলেন। এভাবে একের পর রাজ্য হারিয়ে ক্রুসেডাররা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে কোন কোন ক্রুসেড রাজ্য তাদের দখলে থাকা কিছু ভখন্ড স্বেচ্ছায় সুলতান বাইবার্সকে উপহার দিয়ে তাকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে।
৪৪ নং লাইন:
বাইবার্সের রাজত্বকালে হাসান-বিন-সাবাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গুপ্তঘাতক হাশাশিন সম্প্রদায় পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইতঃপূর্বে হালাকু খান এ সম্প্রদায়কে ভীষণভাবে পর্যুদস্ত করলেও তাদের শক্তিকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। গুপ্তঘাতক সম্প্রদায় মিসরের জন্য হুমকি সৃষ্টি করলে তিনি তাদের মোকাবিলা করেন। ১২৭০-১২৭৩ সালের মধ্যে বাইবার্স তাদের ৯টি দুর্গই দখল করে উক্ত অঞ্চলসমূহকে তার সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। এই আক্রমণে গুপ্তঘাতকদের ক্ষমতা চিরতরে খর্ব করেন তিনি। এইভাবে যবনিকাপাত হয় ত্রাস ও ষরযন্ত্রে ভরা দীর্ঘ এক শাসনকালের।
১২৭৬
==আব্বাসি খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা==
ক্ষমতায় এসেই কায়রোতে আব্বাসীয় খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা সুলতান বাইবার্সের রাজত্বকালের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা। ১২৫৮
==শিল্প ও সংস্কারে বাইবার্স==
এরপর সুলতান বাইবার্স পবিত্র স্থানসমূহ সংস্কারের কাজে মনোনিবেশ করেন। প্রথমেই তিনি ঐতিহ্যবাহী আল-আজহার মসজিদের সংস্কার করেন এবং নব-উদ্যমে সেখানে লেখপড়া ও খুৎবার ব্যবস্থা করেন। অতঃপর সেখানে শাফি মাযহবের একজন প্রধান বিচারকের অধিনে প্রতিটি মাযহাবের প্রতিনিধি হিসাবে চারজন কাযীকে নিযুক্ত করেন যারা পবিত্র কোরআন ও হাদীস অনুসারে বিচার কার্য পরিচালনা করতেন। এছাড়াও মিশরের বাইরে তিনি বেশি কিছু সংস্কারমূলক কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে মদিনায় মসজিদে নববীর উন্নয়ন এবং ফিলিস্থিনের আল খালিলে মাসজিদ ইবরাহিমের সংস্কার। ১২৬২
==মৈত্রী স্থাপনে বাইবার্সঃ==
|