নীরদচন্দ্র চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২১ নং লাইন:
উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দরী চৌধুরানীর ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নীরদ চৌধুরী তৎকালীন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]]) [[কিশোরগঞ্জ জেলা|কিশোরগঞ্জ জেলার]] [[কটিয়াদী|কটিয়াদীতে]] ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এবং [[কলকাতা|কলকাতায়]] পড়াশোনা করেছেন। এফএ পরীক্ষা পাশ করে তিনি কলকাতার [[রিপন কলেজ|রিপন কলেজে]] (বর্তমান [[সুরেন্দ্রনাথ কলেজ]]) অন্যতম বাঙালি লেখক [[বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] সাথে একত্রে ভর্তি হন। এরপর নীরদ কলকাতার অন্যতম খ্যাতিমান [[স্কটিশ চার্চ কলেজ|স্কটিশ চার্চ কলেজে]] ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধীন স্কটিস চার্চ কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি [[ইতিহাস|ইতিহাসে]] সম্মানসহ [[স্নাতক]] ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মেধা তালিকায় নিজের স্থান করে নেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সেমিনারে ভারতবর্ষের অতিপরিচিত ব্যক্তিত্ব ও [[ইতিহাসবেত্তা]] প্রফেসর [[কালিদাস নাগ|কালিদাস নাগের]] সাথে অংশগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ১৯২০-এর অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় [[স্নাতকোত্তর]] ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি। ইতোমধ্যে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে ''Objective Methods in History'' শিরোনামে একটি তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা করেন|
নীরদ চৌধুরীর কর্মজীবনের সূত্রপাত হয় ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ অধিদপ্তরে একজন [[কেরাণী]] হিসেবে। চাকুরির পাশাপাশি একই সময়ে তিনি বিভিন্ন
নীরদ চৌধুরী হিসাবরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অল্প কিছুদিন পরই চাকুরি ত্যাগ করেন এবং সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে নতুন কর্মজীবন শুরু করেন। ঐ সময়ে কলকাতা কলেজ স্কয়ারের কাছাকাছি মির্জাপুর স্ট্রিটে অন্যতম লেখক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও [[দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার|দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের]] সাথে একত্রে বোর্ডার হিসেবে ছিলেন। তিনি তখনকার সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ইংরেজি ও [[বাংলা সাময়িকী]] হিসেবে [[মডার্ন রিভিউ]], [[প্রবাসী (পত্রিকা)|প্রবাসী]] এবং [[শনিবারের চিঠি|শনিবারের চিঠিতে]] সম্পাদনা কর্মে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়াও, তিনি দুইটি ক্ষণস্থায়ী অথচ উচ্চস্তরের সাময়িকী - '''সমসাময়িক''' এবং '''নতুন পত্রিকা''' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে [[দ্য মডার্ন রিভিউ]] পত্রিকায় [[রমানন্দ চ্যাটার্জি|রমানন্দ চ্যাটার্জির]] অধীনে সহকারী সম্পাদকের চাকুরি গ্রহণ করেন। ১৯২৭-এ বাংলা সাময়িকী [[শনিবারের চিঠি]] সম্পাদক পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ বছরই রবীন্দ্রনাথের সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘটে।
নীরদ চৌধুরী ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে লেখিকা [[অমীয়া ধর|অমিয়া ধরের]] সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে নীরদচন্দ্র চৌধুরী [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে]] সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদ [[শরৎ চন্দ্র বসু|শরৎ চন্দ্র বসুর]] একান্ত সচিব হিসেবে চাকুরি গ্রহণ করেন। ফলশ্রুতিতে তিনি খ্যাতিমান মহাপুরুষ যেমন: [[মহাত্মা গান্ধী]], [[জওহরলাল নেহরু]], নেতাজী [[সুভাষ চন্দ্র বসু]]-সহ অনেক খ্যাতিমান রাজনৈতিক নেতাদের সংস্পর্শ পান। ভারতীয় রাজনীতির অভ্যন্তরে কাজ করার দরুন ও রাজনীতির সাথে নিবীড় ঘনিষ্ঠতা থাকায় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি সম্বন্ধে সন্দিহান হন। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী স্বাধীনতা আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এ পর্যায়ে তিনি বাংলা ভাষায় লেখালিখি ছেড়ে দেন।
সচিব হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নীরদচন্দ্র চৌধুরী বাংলা ও ইংরেজী দৈনিক, সাময়িকীগুলোতে প্রবন্ধ রচনা প্রকাশ করতে থাকেন। এছাড়াও, তিনি [[অল ইন্ডিয়া রেডিও|অল ইন্ডিয়া রেডিও'র]] (এআইআর) [[কলকাতা]] শাখার [[রাজনৈতিক বিশ্লেষক]] হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৪১
নীরদ চৌধুরী ভারত ত্যাগ করে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে পাড়ি জমান ১৯৭০
নীরদ চৌধুরীর মহান কীতি ''Thy Hand! Great Anarch! India: 1921—১৯৫২'' নামীয় গ্রন্থটি। এই গ্রন্থটি ১৯৮৭ তে প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স নব্বুই। এ বয়সে তার দৈহিক এবং মানসিক কর্মক্ষমতা অটুট ছিল। পাণ্ডিত্য ও মণীষার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯০
১৯৯৪: দুঃখের বৎসর, অমিয়া চৌধুরানীর দেহত্যাগ।
১৯৯৯
== উল্লেখযোগ্য কর্ম ==
[[File:Chaudhuri house, Oxford.JPG|thumb|২০ লাইব্রেরি রোডে নীরদচন্দ্র চৌধুরীর প্রাক্তন বাসবভন]]
নীরদচন্দ্র চৌধুরী'র প্রধান সাহিত্যকর্ম ''দি অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান'' (আইএসবিএন ০-২০১-১৫৫৭৬-১) ১৯৫১
প্রকৃতপক্ষে বইয়ের উৎসর্গ অংশে বলা হয়েছে - অনেক ক্ষুদ্ধ ভারতীয়দের অভিমত: রাজনৈতিক এবং আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নব্য সাম্রাজ্যবাদের অনুকরণমাত্র।
৪৯ নং লাইন:
নীরদ চৌধুরী পরবর্তীতে অবশ্য বলেছিলেন যে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তার বন্ধু, সম্পাদক, ঐতিহাসিক এবং ঔপন্যাসিক খুশবন্ত সিংয়ের মতে, "বইয়ের উৎসর্গটির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন করা যা আমাদেরকে সাম্যের দিকে ধাবিত করতে পারেনি।" - [[গ্রান্তা]] নিবন্ধে চৌধুরীর ভাষ্য। "প্রতিকল্প হিসেবে প্রর্দশনস্বরূপ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, প্রাচীন [[রোম|রোমের]] সাথে সমান্তরাল পথে পা রাখছে ভারত।"
[[১৯৫৫]]
[[১৯৬৫]]
[[১৯৭২]]
নীরদ চৌধুরী [[১৯৮৮]]
== সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং লেখার ধরণ ==
৬৪ নং লাইন:
== সম্মাননা ও পুরস্কার ==
* [[১৯৬৬]]
* [[১৯৭৫]]
* [[১৯৯০]]
* [[১৯৯২]]
* [[১৯৯৬]]
== রচিত পুস্তকাদি ==
|