আবদুস সাত্তার (বীর উত্তম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
টেমপ্লেট |
|||
৩৩ নং লাইন:
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
আবদুস সাত্তারের বাড়ি [[বরিশাল জেলা]] সদরের কাশীপুরের গণপাড়ায়। তার বাবার নাম রহমত আলী হাওলাদার এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম রেহেনা পারভীন।
== কর্মজীবন ==
আবদুস সাত্তার [[১৯৭১]] সালে [[রাজশাহী জেলা|রাজশাহী]] [[বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ|ইপিআর]] ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। [[২৭ মার্চ]] তারা বিদ্রোহ করে [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] যোগ দেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে তিনি [[ভারত|ভারতে]] যান। ভারতে অবস্থানকালে
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[কুড়িগ্রাম জেলা| কুড়িগ্রাম জেলার]] রৌমারীর কোদালকাটিতে ছিল মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান। কয়েকটি চরের সমন্বয়ে কোদালকাটি। প্রতিটি চরেই ছিল মুক্তিবাহিনী। একটি চরে ছিলেন আবদুস সাত্তার। তার দলের নেতৃত্বে ছিলেন ওহাব। [[৪ আগস্ট]] [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনী আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে কোদালকাটির একাংশ দখল করে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল রৌমারী থানা সদরে [[১৪ আগস্ট]] পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা। [[১৩ আগস্ট]] বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা গানবোট, লঞ্চ ও বার্জে করে সোনাভরী নদীর মোহনা হয়ে রৌমারীর রাজিবপুরের দিকে অগ্রসর হয়। তখন নটারকান্দি গ্রামে অবস্থানরত আবদুস সাত্তারের দল এবং অন্যান্য চরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের দল পাকিস্তানিদের প্রতিহত করার জন্য একযোগে আক্রমণ করে। সারা দিন ব্যাপক গোলাগুলি বিনিময় হয়। বিকেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিছু হটে তাদের কোদালকাটি ঘাঁটিতে অবস্থান নেয়। রাতে আবদুস সাত্তাররা অবস্থান নেন হাজীর চরের গোয়ালঘর এলাকায়। কাছেই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান। সেখানে তাদের গানবোট, লঞ্চ ও বার্জ নোঙর করা ছিল। আবদুস সাত্তার দলনেতা ওহাবের নির্দেশে সহযোদ্ধা তরিকুলকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে নদী সাঁতরে একটি গানবোটের কাছে গিয়ে তাতে মাইন লাগান। কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়ে ওই গানবোট ধ্বংস হয়ে যায়।
এটা ছিল আবদুস সাত্তারের মুক্তিযোদ্ধা-জীবনের প্রথম সফল অপারেশন। তার এই দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রৌমারীতে তাদের পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন খান খান হয়ে যায়। [[২৩ অক্টোবর]] আবদুস সাত্তারদের দলের সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়াইনঘাট অবস্থানে আক্রমণের জন্য সেখানে সমবেত হন। [[২৪ অক্টোবর]], ভোর সাড়ে পাঁচটায় তারা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সময় পাকিস্তানিরাই
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
|