দেশে যখন স্বাধীনতার সংগ্রাম জোরদার হতে থাকে তখন আব্দুল জলিল লন্ডনে ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি থেকে দেশে ফিরে আসেন। সে সময় তিনি লন্ডনের লিঁঙ্কনস ইন-এ আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছিলেন। আব্দুল জলিল সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে তিনি নওগাঁ তথা উত্তরাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের একীভূত করতে শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে আব্দুল জলিল নওগাঁ থেকে ৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তার দলবল নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান এবং বালুরঘাটে আত্রাই নদীর পূর্বতীরে শ্মশানকালী মন্দিরের পার্শ্বে একটি গৃহে অবস্থান গ্রহণ করেন। সেখান থেকে বাঙ্গালীপুর, মধুপুর, কামাড়পাড়া, প্যারিলাসহ ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ঐসব ক্যাম্প থেকে হায়ার ট্রেনিং এর জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের শিলিগুড়ির পানিঘাটায় পাঠিয়ে দেওয়ার বিশাল দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ]], [[জয়পুরহাট জেলা|জয়পুরহাট]], [[দিনাজপুর]], [[বগুড়া জেলা|বগুড়া]], [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জ]] ও [[পাবনা জেলা|পাবনার]] অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এসব ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করে। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে উত্তরাঞ্চলের জেনারেল হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://samakal.net/details.php?news=13&view=archiev&y=2013&m=03&d=07&action=main&option=single&news_id=332123&pub_no=1339|শিরোনাম=আবদুল জলিল আর নেই|প্রকাশক=সমকাল|তারিখ=৭ মার্চ ২০১৩|সংগ্রহের-তারিখ=৯ মার্চ ২০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305053944/http://samakal.net/details.php?news=13&view=archiev&y=2013&m=03&d=07&action=main&option=single&news_id=332123&pub_no=1339|আর্কাইভের-তারিখ=৫ মার্চ ২০১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> নওগাঁ শহরের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে আব্দুল জলিল চত্বরে তার প্রচেষ্টার নির্মিত হয় বিজয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। ৭১ ফুট উঁচু এই স্মৃতিস্তম্ভ ১৯৭১-এর স্মৃতি বহন করে।