ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮ নং লাইন:
}}
{{বাংলার ইতিহাস}}
'''ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজি''' ({{lang-fa|اختيار الدين محمد بن بختيار الخلجي}}) একজন আফগান সেনাপতি ত্ত প্রাথমিক [[দিল্লি সালতানাত|দিল্লি সুলতানাতের]] সৈনিক জেনারেল ছিলেন এবং প্রথম [[মুসলিম]] যে [[বাংলা]] জয় করেছিল| পূর্ব ভারতে তাঁরতার প্রতিষ্ঠার সময় আলিমদের ইসলামী দাওয়াতের কাজ সর্বাধিক সাফল্য অর্জন হয়েছিলো এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে বাংলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ [[ইসলাম]] ধর্ম গ্রহণ করেছিল।<ref>The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith By Sir Thomas Walker Arnold, pp. 227-228</ref><ref>Majumdar, Dr. R.C., ''History of Mediaeval Bengal'', First published 1973, Reprint 2006,Tulshi Prakashani, Kolkata, {{ISBN|81-89118-06-4}}</ref>
 
তিনি ভারত থেকে [[বৌদ্ধ ধর্ম]] প্রবলভাবে দুর্বল করে তুলেছিলো|<ref name="Hartmut_2002">{{citeবই bookউদ্ধৃতি |authorলেখক=Hartmut Scharfe |titleশিরোনাম=Handbook of Oriental Studies |urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=7s19sZFRxCUC&pg=PA150 |yearবছর=2002 |publisherপ্রকাশক=BRILL |isbnআইএসবিএন=90-04-12556-6 |pageপাতা=150 |quoteউক্তি=Nalanda, together with the colleges at Vikramasila and Odantapuri, suffered gravely during the conquest of Bihar by the Muslim general Muhammad Bhakhtiyar Khalji between A.D. 1197 and 1206, and many monks were killed or forced to flee.}}</ref> বখতিয়ার [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] শহর অধিকার করে তা ধ্বংস করেন এবং এই শহরে রাজধানী না করে গৌড়-লক্ষণাবতীতে গিয়ে রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি প্রথম পর্যায়ে [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেকের]] মন্ত্রী ছিলেন|
 
== পূর্ব জীবন ==
২২ নং লাইন:
== বিহার বিজয় ==
[[File:Nalanda University India ruins.jpg|thumb|নালন্দা বিহার।]]
১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দু হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকে, এতে করে তার সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি একদিন এক প্রাচীরবেষ্টিত দুর্গের মতো স্থানে আসেন এবং আক্রমণ করেন। প্রতিপক্ষ কোনো বাধাই দেয় নি। দূর্গজয়েরদুর্গজয়ের পর তিনি দেখলেন যে দুর্গের অধিবাসীরা প্রত্যেকেই মুণ্ডিতমস্তক এবং দূর্গটিদুর্গটি বইপত্র দিয়ে ভরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানতে পারলেন যে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার জয় করেছেন। এটি ছিল ওদন্ত বিহার বা ওদন্তপুরী বিহার। সেই সময় থেকেই মুসলমানেরা জায়গাটিকে বিহার বা বিহার শরিফ নামে ডাকে।
 
বিহার জয়ের পর বখতিয়ার খলজি অনেক ধনরত্ন সহ কুতুব-উদ্দিন আইবকের সাথে দেখা করতে যান এবং [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দিন]] কর্তৃক সম্মানিত হয়ে ফিরে আসেন। এর পরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন।
২৮ নং লাইন:
== বাংলা বিজয় ==
তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী [[নদিয়া জেলা|নদিয়ায়]] অবস্থান করছিলেন কারণ [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। এতে করে [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদিয়ার প্রবেশপথ রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Sen, Amulyachandra|বছর=1954|শিরোনাম=Rajagriha and Nalanda|ধারাবাহিক=Institute of Indology, volume 4|প্রকাশক=Calcutta Institute of Indology, Indian Publicity Society|অবস্থান=Calcutta|পাতা=52|oclc=28533779}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Far East Kingdoms|ইউআরএল=http://www.historyfiles.co.uk/KingListsFarEast/IndiaBengal.htm}}</ref>। বখতিয়ার সোজা রাজা [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] প্রাসাদদ্বারে উপস্থিত হন এবং দ্বাররক্ষী ও প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। এতে প্রাসাদের ভিতরে হইচই পড়ে যায় এবং লক্ষণ সেন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌপথে বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন। <br />
নদিয়া জয় করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর ([[গৌড়]]) দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। [[গৌড়]] জয়ের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাসণভারশাসনভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।
 
== তিব্বত আক্রমণ ==