উইকিপিডিয়া:নিবন্ধ উইজার্ড/উইজার্ড-বিষয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস কাউন্সিল। বন্ধুত্বের জয় হোক।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
National Friendship Society (NFS)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন:
{{Article wizard|1=linked|2=boxed|3=plain|4=plain|5=plain|6=plain|content=
গণবন্ধু রাহাত হুসাইন শান্ত দীঘির স্বচ্ছ জলের মত স্বভাব তার। খুব গুছিয়ে কথা বলেন। মানবসেবায় নেই এই তরুণের বিন্দুমাত্র আন্তরিকতার অভাব। তাইতো পেশাগত ব্যস্ততার ভিড়েও গড়ে তুলেছেন সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস কাউন্সিল।
 
‘মানবতার কল্যাণে বন্ধুত্ব’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে কাজ করছে সংগঠন দুটি। সঙ্গে রয়েছে সারাদেশের এক ঝাঁক তরুণ বন্ধু। যারা দিন-রাত নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছেন মানবসেবায়। রক্তদান, পথশিশুদের সহায়তা প্রদান, বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি, ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা মূলক কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
 
তবে তাদের এই পথচলা আরও ‘সহজ’ হতে পারতো। যদি অন্য বন্ধুরা তাদের পাশে এসে দাড়াতো। মানবিকতার জায়গা থেকেই নিজেদের অর্থায়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তারা।
তারপরেও দমে যাননি রাহাত হুসাইনরা। লড়ে যাচ্ছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভাসমান পাদুকা শ্রমিকদের ( মুচি) মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেছেন সংগঠনের পক্ষ থেকে। এছাড়া প্রতিবছর রোজার ঈদে পথবাসী মানুষকে ঈদ বস্র ও সেমাই চিনি বিতরণ, সরকারের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন সারাদেশে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি। কর্মজীবী ছেলে ও পুরুষদের জন্য নৈশ স্কুলও তৈরি করেছেন তার সংগঠনের বন্ধুরা।
 
রাহাত হুসাইন অনুভব করেন চাইলেই পাড়া-মহল্লা কিংবা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে জাতি ও মানবতার কল্যাণে ছোট ছোট ভালো কাজ করতে পারে। এজন্য দরকার শুধুমাত্র চিন্তার উন্নয়ন ও মানবিক বোধদয়ের। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছোট ছোট সভা- সেমিনার করতে পারি। বন্ধুরা মিলে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করতে পারি। ছোট ছোট ভালো কাজ থেকে বড় কিছু হতে পারে।
 
এই সংগঠক বলেন, আজও আমাদের সমাজে মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য পতিতালয়ে নিজের সম্ভ্রম ‘নামে মাত্র’ টাকায় বিক্রি করছে। বাসাভাড়া যোগাতে পারেন না এমন অনেক মানুষ, বাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। ডাস্টবিন কিংবা ফুটপাতে এখনো বৈধ অভিভাবকহীন শিশু পড়ে থাকে। অথচ এমনটা কাম্য নয়।
 
তিনি বলেন, মানবিকবোধ সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার সময় এখন বাংলাদেশের। দেশের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে সমতাবোধের আদর্শে মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা দিতে হবে। দিতে হবে সম্প্রীতি ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শিক্ষা। মানবতার কল্যাণে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সমাজের প্রতিটি মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে আমাদের। আমি যে ধর্ম-বর্ণের লোকই হইনা কেনো, মানুষ হিসেবে প্রত্যেক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
 
শৈশব থেকেই রাহাত হুসাইন সংগঠন প্রিয়। শিশু সংগঠন খেলাঘর আসর থেকেই তার সংগঠনের হাতেখড়ি। টুনটুনিদের খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম তিনি। ‘পড়ুয়া একটি পাঠাগার’ এরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই তরুণ। বর্তমানে রাহাত একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন।
 
সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে এসে তরুণ এই সংগঠক বললেন, দেশটা আমার-আপনার সকলের। তাই আসুন সরকারের পাশাপাশি নিজেরাও মানুষের পাশে দাঁড়াই। মনে করি নিজের পরিবারের মত, ওরাও আমাদের আপনজন। তবেই দেখবেন, সমাজ-রাষ্ট্রে ‘সমস্যা’ নামক অভিশাপটাই থাকবে না।
 
রাহাত হুসাইনের জন্য শুভ কামনা। তার পথচলা সুন্দর ও মসৃণ হোক।
 
====আপনি যে বিষয় নিয়ে নিবন্ধ তৈরি করতে চাইছেন তা কি অবিলম্বে আছে?====