এস্তের দুফ্লো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ফরাসি অর্থনীতিবিদ যোগ
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
২৫ নং লাইন:
}}
'''এস্তের দুফ্লো'''<ref group="টীকা">এই ফরাসি ব্যক্তিনাম বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে [[উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ফরাসি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ]] শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।</ref> ({{lang-fr|Esther Duflo}}) (জন্ম [[১৯৭২]], [[প্যারিস]], [[ফ্রান্স]]) একজন ফরাসি অর্থনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে [[ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি|ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে]] দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থনীতিতে অধ্যাপক। [[আবদুল লতিফ জামিল প্রভার্টি একশন এইড]]-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক।
বৈশ্বিক দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় তারভারতীয়-বংশোদ্ভূত স্বামীমার্কিন অর্থনীতিবিদ [[অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়বন্দ্যোপাধ্যায়]] ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ [[মাইকেল ক্রেমার]]ের সাথে ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
 
এস্তের অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী ২য় নারী এবং সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ৪৫ বছর বয়সে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও নোবেল জয়ী ৫ম দম্পতি হিসেবে অভিজিৎ-এস্তের একসাথে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।<ref>{{cite news|url=https://bdnews24.com/bn/detail/economy/1676369|title= দারিদ্র্য বিমোচনের গবেষণায় অর্থনীতির নোবেল|publisher = bdnews24|accessdate = 14 October 2019}}</ref> দুফ্লো স্নাতক পর্যায়ে
[[একোল নর্মাল সুপেরিয়র|একোল নর্মাল সুপেরিয়রে]] পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি প্রথমে ইতিহাস পড়া শুরু করেন ও পরে ফরাসি অর্থনীতিবিদ [[তোমা পিকেতি]]-র উপদেশে অর্থনীতিতে মনোযোগ দেন এবং উভয় বিষয়েই ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অর্থশাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগে যোগ দেন। তাঁর পিএইচডি অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল ''Three Essays in Empirical Development Economics'' অর্থাৎ "অভিজ্ঞতাবাদী উন্নয়ন অর্থশাস্ত্রের উপর তিনটি প্রবন্ধ"। ২০০২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি স্থায়ী চাকুরির নিশ্চয়তাসহ সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি এমআইটি-র স্থায়ী চাকুরির নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠদের একজন। এছাড়া তিনি [[কোলেজ দ্য ফ্রঁস|কোলেজ দ্য ফ্রঁসের]] "Savoirs contre pauvreté" ("দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে জ্ঞান") আন্তর্জাতিক চেয়ার।
 
দুফ্লোর গবেষণার মূল বিষয় উন্নয়ন অর্থশাস্ত্র, যেখানে তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জেন্ডার, রাজনীতি ও ঋণগ্রহণের ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি এমআইটিতে অভিজিৎ ব্যানার্জিরবন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে পভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের সহ-পরিচালক। তিনি অর্থশাস্ত্রে কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাঠ পরীক্ষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
 
দুফ্লো তাঁর গবেষণার জন্য ২০০৩ সালে মার্কিন অর্থনৈতিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ইলেইন বেনেট পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারটি চল্লিশ বছরের কম বয়সের প্রতিভাবান মহিলা অর্থনীতিবিদদের দেওয়া হয়ে থাকে। ২০০৫ সালে ফ্রান্সের পত্রিকা [[ল্য মোঁদ]] তাঁকে "সেরা তরুণ ফরাসি অর্থনীতিবিদ" পুরস্কার প্রদান করে।