উইকিপিডিয়া:দৃশ্যমান সম্পাদনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SI Aador-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Habibullah Helali (আলোচনা | অবদান)
বাঁশতলা মুক্ত‌িযুদ্ধ উপত্যকা সীমান্তঘেঁষা বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রাম পেরুলেই আকাশের সঙ্গে পাহাড়ের মিলন চোখে পড়ে। তখনই গানের কথাগুলো মনে পড়ে- ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, যেথায় কোকিল ডাকে কুহুকুহু, দোয়েল ডাকে মুহুর্মুহু, নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়...’। গানের এই পঙক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে এখানে। বাঁশতলা হকনগরে রয়েছে ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৩ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১১টি সেক্টরের অন্যতম ৫ নং বাঁশতলা সাব-সেক্টর এটি। মুক্ত‌িযুদ্ধে...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
বাঁশতলা শহিদ স্মৃতিসৌধ
{| style="background:#EBF4FA; border:1px solid lightgray; text-align:center; margin: 1em auto 1em auto;"
|-
| style="font-size:150%; width:32%" | '''[[বিশেষ:পছন্দসমূহ#mw-prefsection-editing|দৃশ্যমান সম্পাদনা সক্রিয় করুন]]।'''
| style="font-size:150%; width:32%" | '''[[mw:Help:VisualEditor/User guide/bn|দৃশ্যমান সম্পাদনার ব্যবহার বিধি]] পড়ুন'''।
| style="font-size:150%" class="plainlinks" | [[mw:VisualEditor/Feedback|'''দৃশ্যমান সম্পাদনার''' একটি সমস্যার প্রতিবেদন''']]।
|-
| প্রবেশ করুন, [[বিশেষ:পছন্দসমূহ#mw-prefsection-editing|''দৃশ্যমান সম্পাদনা বেটা থাকাকালীন অবস্থায় সাময়িকভাবে এটি নিষ্ক্রিয় করুন'' থেকে টিকচিহ্ন উঠিয়ে দিন]], ঐচ্ছিকভাবে ''সম্পাদনা মোড'' পরিবর্তন করে "আমাকে উভয় সম্পাদক ট্যাব দেখান" নির্বাচন করুন এবং আপনার পছন্দ সংরক্ষণ। অথবা পরীক্ষার জন্য '''[//bn.wikipedia.org/wiki/ব্যবহারকারী:খেলাঘর?veaction=edit এই খেলাঘর সংযোগটি ব্যবহার]''' করুন।
| শিখে নিন সংযোগ, চিত্র যোগ বা স্থানান্তর, উদ্ধৃতি তৈরি, সন্নিবেশ টেমপ্লেট, টেবিল সম্পাদন, এবং আরো অন্যান্য জিনিষ কিভাবে তৈরি করতে হয়।
| অনুগ্রহ করে, আপনার '''ওয়েব ব্রাউজার''', '''অপারেটিং সিস্টেম''', এবং '''উইকিপিডিয়ার স্কিন''' (সাধারণত ভেক্টর, কখনও কখনও মোনোবুক) অন্তর্ভুক্ত করুন।
|}
{{ভিজ্যুয়ালএডিটর ন্যাভবক্স}}
{{সংক্ষিপ্ত|WP:VE}}
'''দৃশ্যমান সম্পাদনা''' প্রবেশদ্বারে স্বাগতম, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন (WMF) দ্বারা বিকশিত উইকিপিডিয়া সম্পাদনা করার একটি উপায় যার জন্য সম্পাদকদের উইকিমার্কআপ শেখার প্রয়োজন হয় না। দৃশ্যমান সম্পাদনার আগ পর্যন্ত, সম্পাদকদের অধিকাংশ সম্পাদনা করতে উইকিমার্কআপ শিখতে হয়েছিল। দৃশ্যমান সম্পাদনা উইকিপাঠ্য মার্কআপ শেখা ছাড়াই সব পৃষ্ঠা সম্পাদনা করতে অনুমতি দেবে এবং আশা করা যায় এটি পাঠকদের সম্পাদক হয়ে উঠতে উত্সাহিত করবে।
 
প্রতিক্রিয়া জানাতে, [[/প্রতিক্রিয়া]] অথবা [http://www.mediawiki.org/wiki/VisualEditor/Feedback মিডিয়াউইকি ওয়েবসাইটে অনুরূপ পাতায়] যান।
 
*[[:mw:VisualEditor/Portal]]
 
সীমান্তঘেঁষা বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রাম পেরুলেই আকাশের সঙ্গে পাহাড়ের মিলন চোখে পড়ে। তখনই গানের কথাগুলো মনে পড়ে- ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, যেথায় কোকিল ডাকে কুহুকুহু, দোয়েল ডাকে মুহুর্মুহু, নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়...’। গানের এই পঙক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে এখানে। বাঁশতলা হকনগরে রয়েছে ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৩ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১১টি সেক্টরের অন্যতম ৫ নং বাঁশতলা সাব-সেক্টর এটি। মুক্ত‌িযুদ্ধের স্মারক শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা চিলাই নদীর ওপর নির্মিত মনোরম স্লুইচ গেট, তিন দিকে মেঘালয় পাহাড়ে ঘেরা বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি ্রোতস্বিনী নদীর কলতান আর পাখির কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। এক কথায়, মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ এখানে বিদ্যমান। তিন দিকে পাহাড়বেষ্টিত এই এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন হেলাল ৫ নং বাঁশতলা সাব-সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। ’৭১-এর শহীদদের স্মরণে তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশতলা হকনগর স্মৃতিসৌধ। পাশাপাশি সরকারি অর্থায়নে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি বিলাসবহুল রেস্ট হাউস, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদ। স্মৃতিসৌধের পাশে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করা যায় ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য। বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকাটি এখন পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। এটা প্রকৃতি প্রেমিদের মন কেড়ে নেয়। এখানে ভারতীয় সীমানার কোল ঘেঁষে জুমগাঁও পাহাড়ের উপর গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের সাজানো-গোছানো ঘর-বাড়ির পরিবেশ অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের সীমান্ত। এখানের চারদিকে সবুজের সমারোহ। বিকেল বেলা পাখিদের কলরব ও বাতাসের মনমাতানো শব্দে প্রাণ জুড়ায়। ছোট ছোট টিলা আর পাহাড়ে সাজানো বিস্তীর্ণ এলাকা। দেখলে মনে হবে কেউ যেন চারদিকে সবুজ রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে। ভারত সীমান্তে পাহাড়ি ঝরনা চোখে পড়ার মত। এখান থেকে ফিরে হকনগরস্থ মৌলা নদীর উপর স্লুইস গেট দর্শন না করে যাওয়া যায় না। ১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সালে এটি নির্মিত হয়। যদিও নদী শাসন প্রকৃতি বিরোধী, তবুও বয়ে চলা পাহাড়ি ঝরনার মাঝে এ স্লুইস গেট আলাদা সৌন্দর্য্যরে সৃষ্টি করেছে। এখানে ঠান্ডা ও শীতল স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটলে সহজেই শরীরের ক্লান্তি দূর করে। স্লুইস গেট ছাড়িয়ে কিছুটা সামনে গেলেই দেখা মিলবে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের ৫ নং সদর দপ্তর। এখানে কিছুটা ত্রিভুজ আকৃতির শহীদ মিনারের বেদিতে বসলে প্রাকৃতিক ঠান্ডা বাতাস মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত। এখানকার আশপাশের পরিবেশ খুবই মনোরম। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশের মিতালি দেখে মনে হবে যেন ‘আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায়।’ দোয়ারাবাজারের অদূরে বাংলাবাজার ইউনিয়নের বৃহত্তর গ্রাম কলাউরা। গ্রামটি পাড়ি দিলেই চোখে পড়ে আকাশের সাথে যেন পাহাড়ের মিতালী। এখানে ভারত থেকে নেমে আসা মৌলা নদীর উপর নির্মিত সøুইস গেট, তিন দিকে মেঘালয় পাহাড়ে ঘেরা বাঁশতলা স্মৃতি সৌধ, পাহাড়ি ঝরনার কলরব, পাখ-পাখালির কুহু কুহু ডাকে মনের মণিকোঠায় স্পন্দন জাগে। বলতে গেলে বাঁশতলায় মনোমুগ্ধকর অসাধরণ এক পরিবেশ বিরাজমান। যা পর্যটকদের নজর কাড়ার মতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন হেলাল পাহাড় বেষ্টিত এই এলাকায় ৫নং সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। বাঁশতলাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন এখানেই তাদের সমাহিত করা হয়। এসব শহীদের স্মৃতি অম্লান করে রাখার জন্যে হকনগর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। সরকারী অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যটকদের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে একটি রেষ্ট হাউজ, হকনগর কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্মৃতি সৌধের পাশে রয়েছে দু’শতাধিক বছরের পুরোনো আদিবাসী পাহাড়। এখানে রয়েছে গারোদের বসবাস। পাহাড়ে উঠলে প্রকৃতির প্রকৃত চেহারা অবলোকন করতে প্রত্যহ হাজারো প্রকৃতি প্রেমী এখানে এসে জড়ো হয়। ঝুমগাঁও এলাকায় বসবাস করে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫টি পরিবার। তারা নিজ হাতে তৈরী করে নিজেদের ব্যবহার্য যাবতীয় আসবাবপত্র। গারো পাহাড়ে রয়েছে একটি মিশনারী স্কুল, একটি উপাসনালয় ও পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার জন্যে রয়েছে একটি সিঁড়ি। ছাতকের তৎকালীন এমএলএ মরহুম আব্দুল হকের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্যে তার জীবদ্দশায়ই এলাকাবাসী তার নামানুসারে গ্রামের নাম হকনগর রাখেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধচলাকালীন সময়ে তিনি এখানে প্রতিষ্ঠা করেন একটি হাসপাতাল। এখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো। হকনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় নামেও তিনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখনও মরহুম আব্দুল হকের নামানুসারে হকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হকনগর গ্রাম ও হকনগর স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে হকনগর হাসপাতালটি।
 
== বহিঃসংযোগ ==