লিওনার্দো দা ভিঞ্চি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অদৃশ্য মানব (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৬ নং লাইন:
}}
[[চিত্র:Firma de Leonardo Da Vinci.svg|thumb|238px|লিওনার্দো দা ভিঞ্চির স্বাক্ষর]]
'''লিওনার্দো দা ভিঞ্চি''' ([[ইতালীয় ভাষা|ইতালীয়]] Leonardo da Vinci ''লেওনার্দো দা ভিঞ্চি'', পূর্ণ নাম Leonardo di ser Piero da Vinci ''লেওনার্দো দি সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি'')({{অডিও|it-Leonardo di ser Piero da Vinci.ogg|উচ্চারণ}}) ([[এপ্রিল ১৪]]/[[এপ্রিল ১৫]], [[১৪৫২]] - [[মে ২]], [[১৫১৯]]) [[ইতালি|ইতালীয়]] [[রেনেসাঁ|রেনেসাঁসের]] কালজয়ী চিত্রশিল্পী। অবশ্য বহুমুখী [[প্রতিভা|প্রতিভাধর]] লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত- [[ভাস্কর]], [[স্থপতি]], সঙ্গীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক [[আবিষ্কার|আবিষ্কারের]] নেপথ্য জনক। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির [[জন্ম]] [[ফ্লোরেন্স|ফ্লোরেন্সের]] অদূরবতী ভিঞ্চি নগরের এক গ্রামে, ১৪৫২ সালের [[এপ্রিল ১৫|১৪/১৫ই এপ্রিল]]। তাঁরতার বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে [[মোনালিসা]], [[দ্য লাস্ট সাপার]] অন্যতম। তাঁরতার শৈল্পিক মেধার বিকাশ ঘটে খুব অল্প বয়সেই। আনুমানিক [[১৪৬৯]] সালে রেনেসাঁসের অপর বিশিষ্ট শিল্পী ও ভাস্কর [[আন্দ্রেয়া ভেরোচ্চিয়ো|আন্দ্রেয়া ভেরোচ্চিয়োর]] কাছে ছবি আঁকায় ভিঞ্চির শিক্ষানবিশ জীবনের সূচনা। এই শিক্ষাগুরুর অধীনেই তিনি [[১৪৭৬]] সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষত চিত্রাঙ্কনে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। [[১৪৭২]] সালে তিনি চিত্রশিল্পীদের গিল্ডে ভর্তি হন এবং এই সময় থেকেই তাঁরতার চিত্রকর জীবনের সূচনা হয়।
 
[[চিত্র:Mona Lisa, by Leonardo da Vinci, from C2RMF retouched.jpg|right|thumb|250px|লিওনার্দোর আঁকা [[মোনালিসা]]।]]
[[১৪৭৮]] সাল থেকে [[১৫১৬]]-১৭ ও [[১৫১৯]] সাল অর্থাৎ [[মৃত্যু|মৃত্যুর]] পূর্ব পর্যন্ত প্রসারিত এবং বিভিন্ন পর্বে বিভক্ত, এক দীর্ঘ ও অক্লান্ত কর্ম সাধনার জীবন তাঁর।তার। [[গির্জা]] ও [[রাজপ্রাসাদ|রাজপ্রাসাদের]] দেয়ালে চিত্রাঙ্কন এবং রাজকীয় ব্যক্তিবর্গের ভাস্কর্য নির্মাণের পাশাপাশি বেসামরিক এবং সামরিক প্রকৌশলী হিসাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের প্রয়োগ, [[অঙ্গব্যবচ্ছেদবিদ্যা]], [[জীববিদ্যা]], গণিত ও [[পদার্থবিজ্ঞান|পদার্থবিদ্যার]] মতো বিচিত্র সব বিষয়ের ক্ষেত্রে তিনি গভীর অনুসন্ধিৎসা প্রদর্শন করেন এবং মৌলিক উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেন।
 
আনুমানিক [[১৪৮২]] সালে তিনি [[মিলান]] গমন করেন এবং সেখানে অবস্থানকালে তাঁরতার বিখ্যাত দেয়াল চিত্র [[দ্য লাস্ট সাপার]] অঙ্কন করেন। আনুমানিক [[১৫০০]] সালে তিনি ফ্লোরেন্স ফিরে আসেন এবং সামরিক বিভাগে প্রকৌশলী পদে নিয়োগ লাভ করেন। এই সময়েই তিনি তাঁরতার বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা অঙ্কন করেন। জীবনের শেষকাল তিনি [[ফ্রান্স|ফ্রান্সে]] কাটান।
 
অনেক ঐতিহাসিক ও পণ্ডিত লিওনার্দোকে ''[[পলিমেথ|"ইউনিভার্সাল প্রতিভা"]]'' বা "রেনেসাঁ মানব" আখ্যা দিয়েছেন।.<ref name=HG>{{বই উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=Helen |শেষাংশ=Gardner |শিরোনাম=Art through the Ages |বছর=1970 |পাতাসমূহ=450–456}}</ref>
২৭ নং লাইন:
== জীবনী ==
=== কৈশোর (১৪৫২-১৪৬৬) ===
লিওনার্দোর জন্ম হয়েছিল ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল রাত্রি ত্রিপ্রহরে। তুসকান এর পাহাড়ি এলাকা ভিঞ্চি তে, আর্নো নদীর ভাটি অঞ্চলে। তিনি ছিলেন ফ্লোরেন্সের এক নোটারি পিয়েরে দ্য ভিঞ্চির এবং এক গ্রাম্য মহিলা ক্যাটরিনার অবৈধ সন্তান। তাঁরতার মা সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত দাসী ছিলেন। আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লিওনার্দোর নামে কোন বংশ পদবী ছিল না। “দ্য ভিঞ্চি” দিয়ে বোঝায় তিনি এসেছেন ভিঞ্চি নগরী থেকে। তাঁরতার পুরো নাম “লেওনার্দো দাই সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি” এর অর্থ হল পিয়েরোর পুত্র লিওনার্দো এবং সে জন্মেছে ভিঞ্চিতে।
 
লিওনার্দোর জীবনের প্রথম অংশ বিষয়ে খুবই অল্প জানা গিয়েছে। তাঁরতার জীবনের প্রথম ৫ বছর কেটেছে আনসিয়ানো-র একটি ছোট্ট গ্রামে। তারপর তিনি চলে যান ফ্রান্সিসকো তে তার পিতা,দাদা-দাদী ও চাচার সাথে থাকতে। তার পিতা অ্যালবিরা নামে এক ষোড়শী তরুণী কে বিয়ে করেছিল। সে লিওনার্দো কে অনেক স্নেহ করত। কিন্তু অল্প বয়সেই সে মৃত্যবরণ করে। এর পরে কৈশোর জীবন বিষয়ে লিওনার্দো দুটি ঘটনার কথা লিপিবব্ধ করে গিয়েছেন। প্রথমটি হল — একবার একটি চিল হঠাৎ করে আকাশ থেকে নেমে তার দোলনার উপর দিয়ে যাবার সময় তার মুখে এর লেজের পালক বুলিয়ে যায়। লোকজন এই ঘটনাকে তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতার লক্ষণ হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। দ্বিতীয় ঘটনা হল — তিনি ছোটবেলায় একবার এক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একটা গুহা আবিষ্কার করেছিলেন। গুহাটা ছিল অন্ধকার, আর তার মনে হচ্ছিল এর ভিতরে নিশ্চয় কোনো অতিকায় দৈত্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু তার অদম্য কৌতূহলের কারণে তিনি এই গুহায় কী আছে, তা খুঁজেও দেখেছিলেন।
 
ষোড়শ শতাব্দীর জীবনী লেখক [[ভাসারি]] রেঁনেসার চিত্রশিল্পীদের জীবনী লিখেছিলেন। লিওনার্দো কে নিয়ে তিনি তাঁরতার বর্ননায় বলেছেন-লিওনার্দো-র বাবা কে স্থানীয় একজন লোক বলেছিল তিনি যেন তার ছেলেকে একটি ছবি আঁকতে বলেন। লিওনার্দো এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে একটি ছবি এঁকেছিল। এতে ছিল একটি সাপের মুখ থেকে আগুন নির্গত হচ্ছে। ছবিটি এত সুন্দর হয়েছিল যে পিয়েরো তা স্থানীয় চিত্র ব্যবসায়ীদের কাছে তা বেশ ভাল দামে বিক্রি করেছিলেন। আর যে লোকটি তাঁকেতাকে এ ছবিটি আঁকিয়ে নিতে বলেছিল, তিনি তাকে একটি হৃদয়ের ছবি আঁকা ফলক উপহার দিয়েছিলেন।
 
=== '''শিক্ষা''' ===
৬০ নং লাইন:
== প্রকৌশল এবং উদ্ভাবন ==
[[চিত্র:Design_for_a_Flying_Machine.jpg |thumb|একটি উড়ন্ত মেশিনের জন্য একটি নকশা, ফ্রান্স, প্যারিস (সি. ১৪৮৮) ইনস্টিটিউট]]
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার জীবদ্দশায় প্রকৌশলী হিসেবেও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লুভোডিকো মুরো নামক এক ব্যক্তিকে তিনি এক চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন যে তিনি একটি শহরের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য সয়ংক্রিয় কিছু যন্ত্র আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন। তারপর যখন তিনি ভেনিসে স্থানান্তরিত হলেন, তখন সেখানে তিনি এক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে চাকরি পান। যেখানে তিনি তার উদ্ভাবনী শক্তির পূর্ন বিকাশ সাধন করেন। শহরকে বহিরাগত আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি স্থানান্তর যোগ্য ব্যারিকেট তৈরিতে সক্ষম হণ যার ফলে তিনি অনেক খাতি অর্জন করেন। লিওনার্দো তাঁরতার পত্রিকায় বিভিন্ন বাস্তব এবং অবাস্তব যন্ত্রের বর্ণনা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে নানা রকম বাদ্যযন্ত্র , একটি যান্ত্রিক সৈন্য, হাইড্রোলিক পাম্প, ডানার মর্টার শেল এবং একটি বাষ্প কামান।
 
তিনি তাঁরতার জীবনের একটি বড় সময় উড্ডন সক্ষম যন্ত্র তৈরিতে ব্যয় করেন। তিনি তার জীবদ্দশায় উড়তে সক্ষম এরকম যন্ত্র ডিজাইনে ব্যাস্ত ছিলেন। তাঁরইতারই প্রদত্ত ডিজাইনে বর্তমানে আধুনিক বিমান নির্মাণ সক্ষম হয়েছে।
 
== শেষ জীবন,১৫১৩ থেকে ১৫১৯ ==