বিহারীলাল চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
কলামের তালিকা ও/বা div col টেমপ্লেট সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৮ নং লাইন:
}}
 
'''বিহারীলাল চক্রবর্তী''' (২১ মে, ১৮৩৫ - ২৪ মে, ১৮৯৪) বাংলা ভাষার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি-কবি হিসেবে তিনি সুপরিচিত। [[রবীন্দ্রনাথ]] তাঁকেতাকে বাঙলা গীতি কাব্য-ধারার 'ভোরের পাখি' বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরতার সব কাব্যই বিশুদ্ধ গীতিকাব্য। মনোবীণার নিভৃত ঝংকারে তার কাব্যের সৃষ্টি। বাঙালি কবি মানসের বহির্মুখী দৃষ্টিকে অন্তর্মুখী করার ক্ষেত্রে তাঁরতার অবদান অনস্বীকার্য।<ref name="ReferenceA">[[সেলিনা হোসেন]] ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; ''[[বাংলা একাডেমী]] চরিতাভিধান''; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ২৫২, {{আইএসবিএন|984-07-4354-6}}</ref>
 
অতি অল্পকালের ভিতরে তিনি বাংলা কবিতার প্রচলিত ধারার পরিবর্তন ঘটিয়ে নিবিড় অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে গীতিকবিতার ধারা চালু করেন। এ বিষয়ে তিনি সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্যের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। বিহারীলাল তাঁরতার কবিতায় ভাবের আধিক্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকৃতি ও প্রেম, সংগীতের উপস্থিতি, সহজ-সরল ভাষা বিহারীলালের কবিতাকে দিয়েছে আলাদাধারার বৈশিষ্ট্য।<ref>দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২১ নভেম্বর ২০১২, [http://www.kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&type=gold&data=Tax&pub_no=1068&cat_id=1&menu_id=37&news_type_id=1&index=1&archiev=yes&arch_date=21-11-2012 দেশ জানো বিশ্ব জানো বিহারীলাল চক্রবর্তী]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=মার্চ ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
==জন্ম ও শৈশব==
বিহারীলাল চক্রবর্তী ২১ মে, ১৮৩৫ তারিখে কলকাতার নিমতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরতার পিতার নাম দীননাথ চক্রবর্তী। মাত্র চার বছর বয়সে মাতা মারা যান।<ref name="ReferenceA" />
 
==শিক্ষাজীবন==
৫২ নং লাইন:
 
==কর্মজীবন==
তাঁরতার রচনাবলীর মধ্যে ''স্বপ্নদর্শন'', ''সঙ্গীত শতক'' (১৮৬২), ''বঙ্গসুন্দরী'' (১৮৭০), ''নিসর্গসন্দর্শন'' (১৮৭০), ''বন্ধুবিয়োগ'' (১৮৭০), ''প্রেম প্রবাহিনী'' (১৮৭০), ''সারদামঙ্গল'' (১৮৭৯), ''মায়াদেবী'', ''ধুমকেতু'', ''দেবরাণী'', ''বাউলবিংশতি'', ''সাধের আসন'' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পূর্ণিমা, সাহিত্য সংক্রান্তি, অবোধবন্ধু ইত্যাদি তাঁরতার সম্পাদিত পত্রিকা। সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।<ref>[[রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)|রফিকুল ইসলাম]] ও অন্যান্য সম্পাদিত; ''কবিতা সংগ্রহ''; [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৫০-৪৫১।</ref><ref>অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, নভেম্বর ২০১৩, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৪৯৪।</ref>
 
''সারদামঙ্গল'' কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য। আখ্যানকাব্য হলেও এর আখ্যানবস্তু সামান্যই। মূলত গীতিকবিতাধর্মী কাব্য এটি। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] এই কাব্য সম্পর্কে লিখেছেন, “সূর্যাস্ত কালের সুবর্ণমণ্ডিত মেঘমালার মত সারদামঙ্গলের সোনার শ্লোকগুলি বিবিধরূপের আভাস দেয়। কিন্তু কোন রূপকে স্থায়ীভাবে ধারণ করিয়া রাখে না। অথচ সুদূর সৌন্দর্য স্বর্গ হইতে একটি অপূর্ণ পূরবী রাগিণী প্রবাহিত হইয়া অন্তরাত্মাকে ব্যাকুল করিয়া তুলিতে থাকে।”<ref>[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], ''আধুনিক সাহিত্য''; [http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/7082 বিহারীলাল] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160304212846/http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/7082 |তারিখ=৪ মার্চ ২০১৬ }}</ref> সমালোচক [[শিশির কুমার দাশ|শিশিরকুমার দাশের]] মতে, “মহাকাব্যের পরাক্রমধারার পাশে সারদামঙ্গল গীতিকাব্যের আবির্ভাব এবং শেষপর্যন্ত গীতিকাব্যের কাছে মহাকাব্যের পরাজয়ের ইতিহাসে সারদামঙ্গল ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ কাব্য।{{cn}} বিহারীলালের লেখা কবিতার চারটি চরণ খুবই বিখ্যাতঃ