পাগলা কানাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.38.33-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে InternetArchiveBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৮ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
পাগলা কানাই ১৮০৯ সালে তৎকালীন [[যশোর জেলা|যশোর জেলার]] [[ঝিনাইদহ]] মহকুমার, বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার, লেবুতলা গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁরতার জীবন কেটেছে বেড়বাড়ি বোনের বাড়িতে। বাবার নাম কুড়ন শেখ, মায়ের নাম মোমেনা বিবি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কানাই সবার বড়। ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল শেখ, বোন স্বরনারী। পাঠশালায় পড়াকালে তাঁরতার বাবা কুড়ন শেখ মারা যান। পিতৃহারা হয়ে কানাই ভবঘুরে হয়ে যান। জীবনের তাগিদে মোমেনা বিবি কোনো উপায়ান্তর না দেখে [[ঝিনাইদহ জেলা]]র [[কালীগঞ্জ উপজেলা]]র চেউনে ভাটপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে কিছুদিনের মধ্যে তিনিও মারা যান। মা হারিয়ে কানাই [[ঝিনাইদহ জেলা|ঝিনাইদহ জেলার]] [[হরিণাকুণ্ড উপজেলা|হরিণাকুণ্ড উপজেলার]] বলরামপুরে ভরস মণ্ডলের বাড়িতে রাখালির কাজ নেন। বোন স্বরনারী দুই ভাইকে সেখান থেকে নিজের আশ্রয়ে শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী [[মাগুরা জেলা |মাগুরা জেলায়]] বেড়াতে নিয়ে আসেন। বোনের শ্বশুরবাড়ির অবস্থা ভালো হওয়াতে কানাইয়ের গান চর্চার রাস্তা আরও সহজ হয়। কানাই বোনের বাড়ির গরুর পাল চরাতেন আর গান বাঁধতেন, তাতে সুর দিতেন।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/231148 খেয়ালি বাউল পাগলা কানাই], প্রথম আলো পত্রিকা, লেখক : ইমরান উজ-জামান, সংগ্রহের তারিখ ৩রা মার্চ ২০১২।</ref> ছোটবেলা থেকেই পাগলাকানাই দুরন্ত প্রকৃতির, পাগলাটে স্বভাবের এবং আধ্যাত্ম প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। এ খেয়ালীপনার জন্যে শৈশবে স্নেহবশতঃ লোকে তাঁরতার নামের সাথে "পাগলা' অভিধাটি (উপনাম) যুক্ত করে। তাঁরতার কর্মকীর্তির সাথে এ পাগলা উপাধিটি অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত হয়েছে।<ref name="কবি পাগলা কানাই">[http://www.dcjhenaidah.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=78&Itemid=88 ঝিনাইদহের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120918192425/http://www.dcjhenaidah.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=78&Itemid=88 |তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ }}, কবি পাগলা কানাই।</ref>
 
== কর্ম জীবন ==
সুর দেওয়া হয়ে গেলে আপন মনে গলা ছেড়ে তা গাইতেন। অস্থির পাগল এই স্বভাবকবির কোনো জায়গায় বেশি দিন ভালো লাগত না। গরু চরানো রেখে কাজ নেন মাগুরা জেলার আঠারখাদার জমিদার চক্রবর্তী পরিবারের বেড়বাড়ির নীলকুঠিতে। দুই টাকা বেতনের সেই খালাসির চাকরি বেশি দিন করা হয়ে ওঠেনি। গানের প্রতি টানে চাকরি ছেড়ে-ছুড়ে পথে বের হন আবারও।
 
গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারীগান গাইতেন এবং উপস্থিত সবাই তাঁরতার সঙ্গীত মুগ্ধ হয়ে শুনত। এভাবে ধুয়োজারীতে তাঁরতার হাতে খড়ি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরতার কোন সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও এখানকার তৎকালীন আউল-বাউল, সাধু-ফকির প্রভৃতি গুণীজনের পদচারণা সর্বোপরি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কবির আত্মার আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-অন্বেষণ তাঁকেতাকে প্রখর অধ্যাত্মজ্ঞানে পরিপূর্ণ করে তোলে। তাঁরতার গানে ইসলাম ও আল্লাহর প্রিয় নবীর, [[হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)]], প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পায়। পাগলা কানাই নিরক্ষর হলেও তাঁরতার স্মৃতি ও মেধা ছিল অত্যন্ত প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে একের পর এক গান রচনা করতে পারতেন।<ref name="কবি পাগলা কানাই"/> তিনি যশোর, [[কুষ্টিয়া]], [[পাবনা]] [[রাজশাহী]], [[বগুড়া]] প্রভৃতি স্থানে আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ গান গেয়ে বেড়াতেন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১১৭, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>
 
এ পর্যন্ত পাগলা কানাই রচিত গানের মধ্য মাত্র শ'তিনেক সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, ড, মাযহারুল ইসলাম, আবু তালিব, আমিন উদ্দিন শাহ, দুর্গাদাস লাহিড়ী, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য প্রমুখ মনীষীগণ পাগলা কানাইয়ের গানের সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন।
 
== শিক্ষাজীবন ==
গ্রামের মক্তবে তিনি কিছুদিন পড়াশোনা করলেও চঞ্চল স্বভাবের জন্যে তাঁরতার লেখাপড়া বেশীদূর অগ্রসর হতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে তাঁরতার রচিত একটি গানের মধ্যেই তাঁরতার স্বভাবসুলভ অভিব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়।<ref name="যশোর.ইনফো">[http://www.jessore.info/index.php?option=content&value=227 যশোর.ইনফো], কবি পাগলা কানাই, লেখক : কাজী শওকত শাহী, সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২০১২।</ref>
 
{{cquote|
৪২ নং লাইন:
 
== বাউলজীবন ==
তৎকালীন সময়ে কবিত্ব প্রতিভায় লালনের পরেই তাঁরতার স্থান নিরূপণ করা যায়। পুঁথিগত বিদ্যা না থাকলেও আধ্যাত্নিক চেতনায় জ্ঞানান্বিত হয়ে অপরূপ সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে দোতারা হাতে ঘুরে ফিরেছেন তিনি। তাঁরতার কণ্ঠের একটি গান আজও উচ্চারিত হয় মানুষের মুখে মুখে।
{{cquote|
৫৩ নং লাইন:
আল্লাহ তরাও হে আমায়।</poem>}}
 
পাগলা কানাই ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ অনুসারী ছিলেন এবং ইসলাম ধর্মের বিধি বিধানগুলি সঠিকভাবে মেনে চলতেন। তাঁরতার বিভিন্ন গানের মধ্য দিয়ে তাঁরতার এই অভিব্যক্তি পরিস্ফুটিত হয়েছে।
 
{{cquote|
৬১ নং লাইন:
মাগরেবের ওয়াক্ত হয়েছে, এই সময় নামাজ পড়।</poem>}}
 
যশোর জেলার কেশবপুরের রসুলপুর গ্রামের নয়ন ফকিরকে তাঁরতার ওস্তাদ বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এই স্বভাব কবির সর্বাপেক্ষা পদচারণা ছিল ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। পাবনার বিখ্যাত ভাবুক কবি ফকির আলীমুদ্দীনের সাথে তাঁরতার আন্তরিক সখ্যতা গড়ে ওঠে।
 
এ সকল অঞ্চলের বিভিন্ন আসরে গান বেঁধে বিভিন্ন ভঙ্গীতে পরিবেশন করে হাজার হাজার শ্রোতাকুলকে ঘন্টার পর ঘন্টা সম্মোহিত করে রাখতেন পাগলা কানাই। তাঁরতার কন্ঠস্বর ছিল অত্যন্ত জোরালো মধুর। ৩০/৩৫ হাজার স্রোতা তার গান মাইক ছাড়াই শুনতে পেত। তাঁরতার জনপ্রিয় আধ্যাত্নিক গানের কয়েকটি লাইন।<ref name="যশোর.ইনফো"/>
{{cquote|