সমুদ্রগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৬ নং লাইন:
===দিগ্বিজয়===
“শক্তিমান মাত্রেই যুদ্ধ করবে ও শত্রু নিপাত করবে” – [[চাণক্য|কৌটিল্যের]] এই নীতির প্রভাবে সিংহাসনে বসেই [[মহাপদ্মনন্দ]] ও [[চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য|চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের]] মতো দিগ্বিজয়ের পরিকল্পনা করেন সমুদ্রগুপ্ত। তাঁর রাজ্যজয়ের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে। প্রশস্তিকার হরিষেণ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের সান্ধিবিগ্রহিক অর্থাৎ শান্তি ও যুদ্ধ বিভাগের মন্ত্রী, কুমারমাত্য ও মহাদণ্ডনায়ক। এই কারণে সম্ভবত সমুদ্রগুপ্তের দিগ্বিজয়ে তিনি সম্রাটের সঙ্গী হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকগণ তাই এই প্রশস্তির বর্ণনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। এমনকি এই প্রশস্তিতে অতিরঞ্জনের সম্ভাবনা থাকলেও এর বক্তব্যগুলিকে অনেক ক্ষেত্রেই বিনা যুক্তিতে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। <ref>''ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ'', গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, [[কলকাতা]], তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩, পৃ.৬০১ দ্রঃ</ref>
 
এলাহাবাদ প্রশস্তির ১১ সংখ্যক ও ২১ সংখ্যক স্তবকে মোট দুইবার আর্যাবর্ত অভিযানের বিবরণ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বিবরণটিতে আবার প্রথম বিবরণে উল্লিখিত বিজিত রাজাদের নামের পুনরুল্লেখও দেখা যায়। এর থেকে এইচ সি রায়চৌধুরী, রমেশচন্দ্র মজুমদার, সুধাকর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ঐতিহাসিকবৃন্দ মনে করেন, সমুদ্রগুপ্ত দাক্ষিণাত্য অভিযানের আগে ও পরে মোট দুইবার উত্তর ভারতে অভিযান প্রেরণ করেছিলেন। অবশ্য ঐতিহাসিক এস আর গয়াল মনে করেন, উত্তর ভারতে নিজের শক্তি সুদৃঢ় না করে দাক্ষিণাত্যে অভিযান প্রেরণ করেননি সমুদ্রগুপ্ত। তাই তিনি একবার আর্যাবর্ত অভিযানের পক্ষে মত দিয়েছেন। যদিও তাঁর এই মত অনুমানমাত্র। <ref>''ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ'', গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, [[কলকাতা]], তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩, পৃ.৬৮৮ ১১ নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য</ref> যাই হোক, এ-কথা মোটামুটি স্বীকৃত যে আর্যাবর্তের মোট নয় রাজা ও দাক্ষিণাত্যের মোট এগারো জন রাজাকে পরাভূত করে সমুদ্রগুপ্ত নিজের দিগ্বিজয় সম্পন্ন করেছিলেন।
 
==পাদটীকা==