সমুদ্রগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৫ নং লাইন:
 
==জীবন==
সমুদ্রগুপ্তের জীবন ও রাজত্বকালের ইতিহাস মূলত জানা যায় তাঁর চারটি শিলালেখ থেকে। এগুলি হল – এলাহাবাদ প্রশস্তি, [[মধ্যপ্রদেশ|মধ্যপ্রদেশের]] [[মালব|মালবে]] স্থিত এরানে প্রাপ্ত শিলালেখ, [[নালন্দা|নালন্দায়]] প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের পঞ্চম বর্ষে রচিত) ও [[গয়া|গয়ায়]] প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের নবম বর্ষে রচিত)। এই শিলালিপিগুলির ঐতিহাসিকতা আধুনিক ঐতিহাসিকগণ স্বীকার করেন। এছাড়া সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা থেকে তাঁর রাজত্বের বহু তথ্য জানা যায়; বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীকল্প-এও তাঁর নামোল্লেখ করা হয়েছে ও অন্যান্য তথ্য আলোচিত হয়েছে।
সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ও লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীর সন্তান। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এলাহাবাদ প্রশস্তির ২৯ সংখ্যক ছত্রে সমুদ্রগুপ্তকে ‘লিচ্ছবি-দৌহিত্র’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তৎসঙ্গে এও বলা হয়েছে যে তিনি ছিলেন লিচ্ছবি বংশের কন্যা মহাদেবী (মহারানি) কুমারদেবীর পুত্র (‘মহাদেব্যাং কুমারদেব্যামুপন্তস্য মহারাজাধিরাজ শ্রীসমুদ্রগুপ্তস্য’)। এলাহাবাদ প্রশস্তি ছাড়াও গুপ্ত যুগের অন্যান্য শিলালিপিগুলিতেও এই তথ্য উল্লিখিত আছে। <ref>''ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ'', গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, [[কলকাতা]], তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩, পৃ. ৫৯৩</ref>
 
সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ও লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীর সন্তান। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এলাহাবাদ প্রশস্তির ২৯ সংখ্যক ছত্রে সমুদ্রগুপ্তকে ‘লিচ্ছবি-দৌহিত্র’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তৎসঙ্গে এও বলা হয়েছে যে তিনি ছিলেন লিচ্ছবি বংশের কন্যা মহাদেবী (মহারানি) কুমারদেবীর পুত্র (‘মহাদেব্যাং কুমারদেব্যামুপন্তস্য মহারাজাধিরাজ শ্রীসমুদ্রগুপ্তস্য’)। এলাহাবাদ প্রশস্তি ছাড়াও গুপ্ত যুগের অন্যান্য শিলালিপিগুলিতেও এই তথ্য উল্লিখিত আছে। <ref>''ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ'', গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, [[কলকাতা]], তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩, পৃ. ৫৯৩</ref>
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালের ইতিহাস মূলত জানা যায় তাঁর চারটি শিলালেখ থেকে। এগুলি হল – এলাহাবাদ প্রশস্তি, [[মধ্যপ্রদেশ|মধ্যপ্রদেশের]] [[মালব|মালবে]] স্থিত এরানে প্রাপ্ত শিলালেখ, [[নালন্দা|নালন্দায়]] প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের পঞ্চম বর্ষে রচিত) ও [[গয়া|গয়ায়]] প্রাপ্ত তাম্রলেখ (রাজত্বকালের নবম বর্ষে রচিত)। এই শিলালিপিগুলির ঐতিহাসিকতা আধুনিক ঐতিহাসিকগণ স্বীকার করেন। এছাড়া সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা থেকে তাঁর রাজত্বের বহু তথ্য জানা যায়; বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীকল্প-এও তাঁর নামোল্লেখ করা হয়েছে ও অন্যান্য তথ্য আলোচিত হয়েছে।
 
===সিংহাসনারোহণ===