প্রকৌশল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ |
অ সংশোধন |
||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Maquina vapor Watt ETSIIM.jpg|right|thumb|[[ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিন]], শিল্প বিপ্লবের অন্যতম একটি আবিষ্কার]]
'''প্রকৌশল''' [[পেশা]]দারি ও [[সমাজকল্যাণ|সমাজমুখী]] [[ব্যবহারিক বিজ্ঞান|ব্যবহারিক বিজ্ঞানের]] একটি বৃহৎ ক্ষেত্র, যেখানে [[গণিত]] ও [[প্রাকৃতিক বিজ্ঞান|প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে]]র তাত্ত্বিক শাখাগুলিতে আলোচিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক [[বল]] ও [[পদার্থ|পদার্থের]] [[পদার্থের ধর্ম|ধর্মাবলিকে]] শাসনকারী [[বৈজ্ঞানিক বিধি]] ও [[বৈজ্ঞানিক মূলনীতি|মূলনীতি]]গুলিকে অধ্যয়ন করা হয় এবং যুগের আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে, বাস্তব বিশ্বের [[অভিজ্ঞতা]], [[যুক্তি]], [[কল্পনা]] ও সুক্ষ্ম [[অন্তর্দৃষ্টি]]র সহায়তা নিয়ে এবং [[ত্রুটিহীনতা]], [[দীর্ঘস্থায়িত্ব]], [[দ্রুততা]], সরলতা, [[দক্ষতা]], [[অর্থসাশ্রয়]], [[অপচয়]] হ্রাস, জানমালের [[নিরাপত্তা]], ইত্যাদি বিষয়ে [[সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধান]] করে এই বিধি ও মূলনীতিগুলিকে সচেতনভাবে প্রয়োগ করে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন সম্পদ ও শক্তিকে (যান্ত্রিক, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক, ইত্যাদি) [[কাঁচামাল]]
যারা প্রকৌশল ক্ষেত্রের উপরোক্ত কর্মকাণ্ডগুলির সাথে জড়িত, তাদেরকে প্রকৌশলী বলে। প্রকৌশলীরা যা কিছু নকশা, সৃষ্টি ও নির্মাণ করেন, তাকে প্রযুক্তি বলে। যেমন [[পুরকৌশল]] ক্ষেত্রে সেতু, সড়ক, ভবন; [[তড়িৎ প্রকৌশল]] ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা; [[কম্পিউটার প্রকৌশল]] ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবস্থা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা জালক; [[যন্ত্রকৌশল]] ক্ষেত্রে ইঞ্জিন, মোটরগাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন, যন্ত্রসামগ্রী; [[রাসায়নিক প্রকৌশল]] ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ, এগুলি প্রস্তুতির যন্ত্রপাতি; [[জৈব প্রকৌশল]] ক্ষেত্রে জৈব পদার্থ বা জীব, ইত্যাদি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হয়। প্রকৌশলের উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেরই বহুসংখ্যক উপক্ষেত্র আছে, যেগুলির সম্মিলিত পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক এবং আধুনিক সমাজ ও সভ্যতার প্রতিটি ক্ষেত্রে এগুলির অবদান পরিলক্ষিত ও অনুভূত হয়।
প্রকৌশল হল সেই সুসংগঠিত শক্তি যা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাস বদলে দেয়। মানব সভ্যতার ইতিহাস ও প্রকৌশলের ইতিহাস তাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিশ্বসভ্যতার যা কিছু বস্তুগত উন্নতি হয়েছে, তাতে প্রকৌশলবিদ্যার সর্বব্যাপী গভীর অবদান আছে। প্রকৌশলবিদ্যায় কেবল তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের খাতিরে বিশ্লেষণ করা হয় না কিংবা অস্তিত্বহীন কোনও কাল্পনিক, তাত্ত্বিক সমস্যার অসাধারণ প্রতিভাদীপ্ত সমাধান সন্ধান করা হয় না। প্রকৌশলবিদ্যার উদ্দেশ্য জ্ঞানবিজ্ঞানের নিরন্তর বিশ্বকোষীয় সংগ্রহ নয়, বরং সংগৃহীত তাত্ত্বিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সম্ভাব্য উপকারী দিকগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। প্রকৌশল ছাড়া বিজ্ঞানের টেকসই বাস্তব উপকারী প্রয়োগ সম্ভব নয়। আবার প্রকৌশল কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানবিজ্ঞান ও বাস্তব বিশ্বের মেলবন্ধনই ঘটায় না, এটি বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজ, মানুষের কায়িক পরিশ্রম ও অর্থনীতির মধ্যকার যোগসূত্র হিসেবেও কাজ করে। প্রকৌশল চিন্তাভাবনাহীন কায়িক পরিশ্রম নয়, বরং কায়িক পরিশ্রমের বিজ্ঞানভিত্তিক সর্বোচ্চ কৌশলী ব্যবহার। প্রকৌশলবিদ্যা যুগের চাহিদা ও সমাজের চাহিদার ব্যাপারে সচেতন। প্রকৌশলবিদ্যা ছাড়া সমাজ ও সভ্যতার বস্তুগত অগ্রগতি প্রায় অচল হয়ে যাবে। প্রকৌশলবিদ্যা ছাড়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির দক্ষতা হ্রাস পাবে ও এগুলির প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়বে।
== প্রয়োগপদ্ধতি ==
|