তালেবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Mustakhye-এর করা 3658278 নং সংস্করণে ফেরত যাওয়া হয়েছে (Restorer)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
{{Infobox War Faction
|name = ''তালিবান'' <br /> طالبان
|war = [[আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ]] (১৯৯২ - ১৯৯৪২০০১), [[আফগান যুদ্ধ]] (২০০১ - বর্তমান) এবং [[ওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ]] (২০০৪ - ২০০৬)
|image = [[চিত্র:Flag of Taliban.svg|border|200px|Taliban flag]]
|caption = তালিবান পতাকা
|leaders = [[হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা|মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা]] (সুপ্রিম কমান্ডার)<br />মোল্লা [[মুহাম্মাদ রসুল]] (দলাদলি)
|clans =
|ideology = [[ইসলামী শরীয়াহমৌলবাদ]] আইনএবং [[পশতুন জাতীয়তাবাদ]]
|active = ১৯৯৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে
|headquarters =
১৬ নং লাইন:
|opponents = {{পতাকা|ইরান}}<br />{{পতাকা|আফগানিস্তান}}<br />{{পতাকা আইকন|Afghanistan|1992}} [[আফগান নর্দান অ্যালায়েন্স|নর্দান অ্যালায়েন্স]]<br />[[ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্স|আইএসএএফ]] ([[ন্যাটো]] পরিচালিত)<br />[[অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম]]
}}
'''তালিবান''' ([[পশতু ভাষা|পশতু ভাষায়]]: طالبان, ''তালেবান''-ও ব্যবহৃত হয়) ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি: সুন্নি ইসলামী এবং জাতিতে পশতুন। এটি একটি ১০০% ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত খিলাফাহ পুণঃপ্রতিষ্ঠারপশতুন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। [[১৯৯৬]] থেকে [[২০০১]] সাল পর্যন্ত [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানে]] এই শরীয়াহ আন্দোলনের নেতারা ক্ষমতাসীন ছিলেন এবং ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দেশ শাসন করেছেন। ৯/১১ কে কেন্দ্র করে ছিলেন। [[২০০১]] সালে [[নর্দার্ন অ্যালায়েন্স]] এবং [[ন্যাটো]] দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সেদেশে তালিবান শাসনের অবসান ঘটানো হয়, তালিবান নেতারা অনেকেই বন্দী হন। বাকি নেতারা শহরে মার্কিন জোটের বিমান হামলায় সাধারণ মানুষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শহর ছেড়ে পাহাড়ে চলে যান এবং সেখান থেকেই আগ্রাসী আমেরিকান জোটের বিরুদ্ধে গেরিলাহন, যুদ্ধবাকিরা শুরুপালিয়ে করেন।যান। "তালিবান" শব্দের অর্থ "ছাত্র"। বর্তমানেও দৃঢ় চেতনার অধিকারী তালিবান সমর্থকেরা [[পাকিস্তান]]-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে ক্ষমতাসীন (আমেরিকার বসানো) আফগান পুতুল সরকার, [[অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম]]-এ অংশগ্রহণকারী ন্যাটো সৈন্যবাহিনী এবং ন্যাটো পরিচালিত [[ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্স|ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্সের]] (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে [[গেরিলা]] যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
তালিবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা [[মুহাম্মাদ উমার]] রহ.। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল ও পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালিবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এছাড়াও [[ইউরোপ]] ও [[চীন]] থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালিবানরা ওসামা বিন লাদেনসহ আনঅফিসিয়াল বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। পাকিস্তান সরকার বিশেষত [[ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স]] তালিবানদের সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে, যদিও এর স্বপক্ষে কারো কাছেই কোন প্রমাণ নেই। হ্যা, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ১৯৭৮-১৯৮৯ এর সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে তৎকালীন আফগান মুজাহিদদেরকে সাহায্য করার কথা বিশ্ববাসী জানে এবং দেখেছেও। কিন্তু সোভিয়েত-আফগানের ঐ যুদ্ধের সময় তালেবানের কোন অস্তিত্বই ছিলনা। তালেবানের উত্থান হয় ১৯৯৪ সালে আফগানের গৃহযুদ্ধের সময় এবং ১৯৯৬ সালে মাত্র দুই বছরের মাথায় আফগানিস্তানের ৯৮% অংশ তালেবানরা দখল করে নেন। এবং এই ৯৮% এলাকা এতদিন যাদের দখলে ছিল তাদের কাছ থেকে অন্যান্য অস্ত্রের সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ ট্যাংক, ৩০-৩৫টির মত হেলিকপ্টার এবং কয়েকটি যুদ্ধবিমানসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্রশস্ত্র গণিমত হিসেবে পান তালেবানরা, যা পরবর্তীকালে ২০০১ সালের পর থেকে আমেরিকান এবং ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে সহায়ক হয়।হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মীত মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। এই মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল [[জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম]]।
 
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবানরা আফগান রাজধানী [[কাবুল|কাবুলে]] ক্ষমতাসীন ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: [[পাকিস্তান]], [[সৌদি আরব]] এবং [[সংযুক্ত আরব আমিরাত]]। কথিত মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং [[ইরান]], [[ভারত]], [[তুরস্ক]], [[রাশিয়া]], [[যুক্তরাষ্ট্র]] ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালিবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালিবান বিরোধী আহমদ শাহ মাসউদের আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।
 
আরক্ষমতায় থাকার কারণেইসময় তালিবানরা এযাবৎ কালের সবচেয়ে কঠোর মুসলিম শরিয়াহ্‌ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। নারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে অনেক নিন্দিত হতে হয়েছিল তালেবানকে।হয়েছিল। নারীদের [[বোরকা]] পরতে বাধ্য করা হতো, আট বছর বয়সের পর তাদেরকে খোলামেলাচাকরি বা পুরুষের তদারকি হয় এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং নারী-পুরুষের একসাথে সহশিক্ষাশিক্ষা লাভ করতে দেয়া হতো না। যারা পড়তে চাইতো তাদেরকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যালয়ে পাঠানো হতো এবং কারও সাথে অনৈসলামিক অবস্থায় ধরা পড়লে ইসলামী বিধানমত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। পুরুষ ডাক্তাররা নারীদেরকেতাদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। এ কারণেই তখন আফগানিস্তানে অবৈধ প্রেম এবং ভালোবাসর নামে দেহভোগ ও অশ্লীলতা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং যৌন হয়রানীঅনেকেই নেমেবিনা এসেছিলচিকিৎসায় শূণ্যেরকষ্টভোগ কোটায়।করতো। পুরুষ-নারী সবাইকেই তালিবান আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।
ক্ষমতায় থাকার সময় তালিবানরা এযাবৎ কালের ইতিহাসে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এবং পরিপূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ্‌ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল, পশ্চিমাদের ভাষায় যা "কঠোর" এবং "চরমপন্থি" আইন হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার অব্যাহত প্রোপাগান্ডা আর মিথ্যা প্রচারের প্রভাবে নারীদের প্রতি ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় পর্দা/হিজাব এবং শালীনভাবে বাহিরে চলাফেরার সাথে সাথে সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানের ৭০ এর দশকের কমিউনিজম প্রভাবিত সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ইসলাম বিরোধী হওয়ায় এবং এটাকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে বদলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল সিলেবাস প্রণয়নসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং বহু সময়ের। আর সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী আফগান গৃহযুদ্ধে আফগানিস্তানের রাস্তাঘাট, বাজার-মার্কেটসহ পুরো আফগানিস্তানের আমূল সংস্কার এবং এই সংস্কারের জন্য একইসাথে এতগুলো প্রজেক্ট একসাথে পরিচালনা করার আর্থিক এবং প্রকৌশলগত সামর্থ্য নতুন শাসক তালেবানদের ছিলনা। সেজন্য তারা প্রাথমিকভাবে ১৯৯৬-৯৮ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র পুরুষদের শিক্ষার সিলেবাস প্রণয়ন করে এবং ১৯৯৮-২০০১ সালের মধ্যে নারীদের জন্য পৃথক সিলেবাস এবং পুরুষহীন পৃথক ভবনের পুরো কাজও শেষ হয়ে যায়। আর শিক্ষা সংস্কারের এই বিলম্বের মুহুর্তটার সুযোগ নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী ইহুদী-খৃষ্টান নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব মিডিয়া অব্যাহত প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে যে, তালেবানরা নারী বিদ্বেষী, নারীর শিক্ষাদিক্ষার বিরোধী এবং নারীকে ঘরে আটকে রেখে শুধুমাত্র উপভোগের বস্তু মনে করে।
আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক মহলে অনেক নিন্দিত হতে হয়েছিল তালেবানকে। নারীদের [[বোরকা]] পরতে বাধ্য করা হতো, আট বছর বয়সের পর তাদেরকে খোলামেলা বা পুরুষের তদারকি হয় এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং নারী-পুরুষের একসাথে সহশিক্ষা লাভ করতে দেয়া হতো না। যারা পড়তে চাইতো তাদেরকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যালয়ে পাঠানো হতো এবং কারও সাথে অনৈসলামিক অবস্থায় ধরা পড়লে ইসলামী বিধানমত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। পুরুষ ডাক্তাররা নারীদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। এ কারণেই তখন আফগানিস্তানে অবৈধ প্রেম এবং ভালোবাসর নামে দেহভোগ ও অশ্লীলতা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং যৌন হয়রানী নেমে এসেছিল শূণ্যের কোটায়। পুরুষ-নারী সবাইকেই তালিবান আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।
 
== পতাকা ==