কাজী ইমদাদুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mrisunny (আলোচনা | অবদান)
→‎সাহিত্য: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত Mrisunny (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে NahidSultanBot-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৬৪ নং লাইন:
১৯৬৮ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড (আজকের বাংলা একাডেমি) আবদুল কাদিরের সম্পাদনায় প্রকাশ করে 'কাজী ইমদাদুল হকের রচনাবলি'।
 
অধুনা সৈয়দ আবুল মকসুদের সম্পাদনায় 'শুদ্ধস্বর' প্রকাশনী তার রচনাবলী প্রকাশ করেছে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
 
 
 
 
# মোঃ রবিউল ইসলাম,
 
* কাজী ইমদাদুল হকের উপন্যাস আবদুল্লাহ
-----------------------------------------------------------------------
প্রায় দেড় বছরকাল মুসলিম ভারতে আবদুল্লাহ প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়া উপন্যাসটি অসমাপ্ত থেকে যায়। এর ইমদাদুল হকের স্বাস্থ্য ক্রমাগত ভেঙ্গে পড়তে থাকায় উপন্যাসটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। উপন্যাসের ৩০টি কাজী ইমদাদুল হক রচনা করেন এবং অবশিষ্ট অংশ টুকু তিনি খসড়া রেখে গিয়েছিলেন। ৩১ থেকে শেষ ৪১ পর্যন্ত অংশের খসড়া কাজী ইমদাদুল হক রেখে গিয়েছিলেন তা অবলম্বনে উপন্যাসটি সম্পন্ন করার দায়িত্বপান কাজী আনারুল কাদির। রেখে যাওয়া ১১টি পরিচ্ছেদের খসড়া অবলম্বন করে কাজী আনারুল কাদির উপন্যাসটি শেষ করেন। আনারুল কাদিরের রচিত অংশের পরিমার্জনা করে কাজী শাহদাত হোসেন। কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর [[১৯৩৩]] সালে আবদুল্লাহ উপন্যাস প্রথম গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।[[১৯৬৮]] সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে আব্দুল কাদিরের সম্পাদনায় কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলী প্রকাশিত হয়।
 
কাজী ইমদাদুল হক আব্দুল্লাহ উপন্যাসে যে বিষয় বস্তু উপস্থাপনা করেছেন সে সম্পর্কে আব্দুল কাদির মন্তব্য করেছেন বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে বাঙালী মুসলমান সমাজে যে অবস্থা ছিল তার একটি নিখুঁত চিত্র আবদুল্লাহ উপন্যাসে বিধৃত হয়েছে। কাজী ইমদাদুল হক বৈচিত্রপূর্ণ সাহিত্য সৃষ্টির অধিকারী হলেও তাঁর প্রধান কৃত্বি আবদুল্লাহ উপন্যাস। তাঁর অপরাপর রচনার গুরুত্ব কালের আবর্তে নিঃশেষ হলে গেলেও আবদুল্লাহ উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় করে রেখেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আবদুল্লাহ বইটির মন্তব্যে লিখেছিলেন আমি খুশি হয়েছি বিশেষ কারণে, এই বই থেকে মুসলমানদের ঘরের কথা জানা গেল।
 
বিংশ শতকের প্রথম ভাগে বাংলার মুসলিম সমাজে যেসব সমস্যা, কুসংস্কার পুঞ্জিভূত দেখা যায় আবদুল্লাহ উপন্যাসখানি তাঁর দুঃসাহসী প্রতিবাদ। এ সময় বাংলার মুসলিম সমাজে আশরাফ-আতরাফ ভেদ,পীর মুরিদী। কঠোর পর্দা প্রন্থা,আধুনিক ইংরেজী শিক্ষার বিরোধিতা, অহেতুক ধর্মীয় গোড়ামি,বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি বিরূপতা,বংশ গরিমার নামে ব্যয়বহুল অর্থহীন আচার অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য কুসংস্কার সমাজকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়েগিয়েছিল। হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের মধ্যেও তিক্ততা বিরাজ করেছিল। কাজী ইমদাদুল হক ছিলেন প্রগতিশীল চিন্তাবীদ। সমাজের বিরাজমান সমস্যা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তাই আবদুল্লাহ উপনস্যাসে তিনি সামাহিক ব্যাধির একজন নিপুন চিকিৎসকের মত সমাজ বিশ্লেষণ করেছেন এবং রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি কেবল সমস্যা তুলে ধরে ক্ষান্ত হননি সাথে সাথে বিজ্ঞান সম্মত সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
 
==ব্যক্তিজীবন==