চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৮৪ নং লাইন:
২০০১ সালের ১লা আগস্ট সরকারিভাবে নবাবগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ করা। পূর্বে এই এলাকা নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, প্রাক-ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চল ছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহারভূমি এবং এর অবস্থান ছিল বর্তমান সদর উপজেলার দাউদপুর মৌজায়। নবাবরা (বিশেষ করে নবাব আলী বর্দি খানের নাম পাওয়া যায়) তাঁদের পাত্র-মিত্র ও পরিষদ নিয়ে এখানে শিকার করতে আসতেন বলে এ স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামের ইতিবৃত্ত নবাব আমলে মহেশপুর গ্রামে চম্পাবতী মতান্তরে ‘চম্পারানী বা চম্পাবাঈ’ নামে এক সুন্দরী বাঈজী বাস করতেন। তাঁর নৃত্যের খ্যাতি আশেপাশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি নবাবের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন। তাঁর নামানুসারে এই জায়গার নাম ‘চাঁপাই”। এ অঞ্চলে রাজা লখিন্দরের বাসভূমি ছিল। লখিন্দরের রাজধানীর নাম ছিল চম্পক। চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) বাঙলা সাহিত্যের কথা গ্রন্থের প্রথম খন্ডে বর্ণিত লাউসেনের শত্রুরা জামুতিনগর দিয়ে গৌড়ে প্রবেশ করে। বর্তমান ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া পূর্বে জামুতিনগর নামে পরিচিত ছিল। এসবের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গবেষক চাঁপাইকে বেহুলার শ্বশুরবাড়ি চম্পকনগর বলে স্থির করেছেন এবং মত দিয়েছেন যে, চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই নামের উৎপত্তি হয়েছে ।
 
== ভূগোল ==
==জনসংখ্যা==
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোট জনসংখ্যা ১৮০,৭৩১ জন।<ref name="4.1.24 Chapai Nawabganj">{{প্রতিবেদন উদ্ধৃতি |তারিখ= মার্চ ২০১৪ | শিরোনাম=Population & Housing Census-2011 |অনূদিত-শিরোনাম=[[আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১]] |ভাষা=ইংরেজি |ইউআরএল=http://203.112.218.65:8008/WebTestApplication/userfiles/Image/National%20Reports/Population%20%20Housing%20Census%202011.pdf |প্রকাশক= [[বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো]] |ধারাবাহিক=জাতীয় প্রতিবেদন |খণ্ড=ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011 | অধ্যায়=4.1.24 Chapai Nawabganj |পাতা=৭২,৭৩ |সংগ্রহের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭}}</ref> যার মধ্যে ৮৬,০১২ জন পুরুষ এবং ৯৪,৭১৯ জন মহিলা। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫,৪৯৩ জন লোক বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ৯৬ঃ১০০। এ শহরের মোট খানা রয়েছে ৩৯৪২২টি এবং সাক্ষরতার হার ৬০.৮% (৭ বছরের উর্দ্ধে)।